মানুষের বিপদ ও দুর্ভাগ্যের
কারণঃ
(১) আল্লাহর প্রতি প্রকৃত
ভয় ও যথার্থ ভালোবাসা না থাকা।
(২) নামায না পড়া, নামাযে
অবহেলা করা।
(৩) পিতা-মাতাকে অসম্মান
করা, তাদের অবাধ্য হওয়া।
(৪) দুনিয়াকে অত্যাধিক
ভালোবাসা ও আখেরাতের চাইতে দুনিয়াকে প্রধান্য দেওয়া।
(৫) পরনারী / পরপুরুষের প্রতি অন্তর লালায়িত থাকা।
(৬) নিজেকে নিজে বড়
মনে করা ও অন্তরে অহংকার লালন করা।
(৭) অন্তরে হিংসা, ক্রোধ
বা প্রতিশোধ পরায়ন মনোভাব রাখা।
(৮) জনপ্রিয়তা, সুনাম
ও মানুষের মাঝে নিজেকে প্রকাশ করার প্রতি মোহ।
(৯) স্বামীর অবাধ্য
হওয়া।
(১০) স্ত্রীর হক্ক নষ্ট
করা।
(১১) ক্বুরআন না পড়া,
ক্বুরআন থেকে দূরে থাকা।
(১২) প্রকৃত আলেমদেরকে
চিনতে না পারা, তাদের সম্মান ও মূল্য বুঝতে ব্যর্থ হওয়া।
(১৩) পথভ্রষ্ট, বিদআ’তী, জাহেল লোকদেরকে আলেম মনে করে
প্রতারণার শিকার হওয়া।
(১৪) সন্তানদেরকে দ্বীন
শিক্ষা না দেওয়া, দ্বীনি পরিবেশ থেকে দূরে রাখা, তাদেরকে পাপাচারে ছেড়ে দেওয়া।
(১৫) টিভি বা রেডিওতে
হারাম অনুষ্ঠান দেখা বা শোনা।
(১৬) বাজে কিংবা বেহুদা
কথা ও কাজের দ্বারা ফেইসবুক, ইন্টারনেটে সময় নষ্ট করা।
(১৭) মানুষের সাথে তর্ক
কিংবা বিবাদে লিপ্ত হওয়া।
(১৮) বেশি কথা বলা,
পানাহার বেশি করা ও অধিক ঘুমে অভ্যস্ত হওয়া।
(১৯) গায়ের মাহরাম নারী/পুরুষের
সাথে পর্দাহীন মিলা-মিশা করা, বন্ধুত্ব, নির্জনে একাকী দেখা-সাক্ষাত ও অবস্থান করা,
প্রাইভেটে কথা বলা।
(২০) কাফির জাতি ও তাদের
সংস্কৃতি-সভ্যতা, ফ্যাশানের অনুকরণ করা, সেইগুলোকে উত্তম বলে ধারণা করা।
(২১) তোওবা না করে ক্রমাগত
পাপ কাজে লিপ্ত থাকা।
(২২) যিনা-ব্যভিচার,
পরকীয়ায় লিপ্ত থাকা, স্বামী/স্ত্রীকে ধোঁকা দেওয়া, হস্ত-মৈথুন, পর্নোগ্রাফী, ঋতু অবস্থায় বা পায়ুপথে
স্ত্রীর সাথে সহবাস করা, এমন যেকোন অশ্লীল কাজে লিপ্ত থাকা।
(২৩) কঠোর প্রকৃতির,
বদ মেজাজী ও দুশ্চরিত্রের অধিকারী হওয়া।
(২৪) শুদ্ধ উচ্চারণে ক্বুরআন পড়তে না পারা।
(২৫) পাপাচারে লিপ্ত
থাকা কিংবা বিদআ’তী দলের অন্তর্ভুক্ত থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করা।
(২৬) আল্লাহ সম্পর্কে,
দ্বীনের ব্যপারে ওয়াসওয়াসা (সন্দেহের) মাঝে পড়া।
(২৭) কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করা।
(২৮) হারাম উপার্জনের উপর খুশি থাকা।
(২৯) নিজেকে আল্লাহওয়ালা,
জ্ঞানী লোক বলে আত্মতৃপ্তি বোধ করা।
(৩০) মৃত্যু, কবরের আযাব ও আখেরাতকে ভুলে থাকা।