শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৪

মওদুদীর ভ্রান্ত আকীদাহ (পর্ব - ১)


মওদুদীর ভ্রান্ত আকীদাহ (পর্ব - ১)

মওদুদীদেরকে নিয়ে আমাদের পোস্টে রেফারেন্স দেওয়া ছিলো, যারা আমাদের বিরোধীতা করছেন তাদের উচিত ছিলো তাদের নিজেদেরই যাচাই করে দেখা। অনেকেই স্ক্রীনশটে প্রমান চেয়েছেন, যাই হোক আজকে আমি ২টি শিরকী আকীদার স্ক্রিনশট দিলাম

১/ শিরকি আকীদাহঃ মানুষের মাঝে আল্লাহর সিফাতের প্রতিচ্ছবি!
মাওলানা মওদুদী সাহেব সুরা আল-হিজর এর ২৯ নাম্বার আয়াত যখন আমি তাকে পূর্ণ অবয়ব দান করবো এবং তার মধ্যে আমার রূহ থেকে কিছু ফুঁকে দেবো এর তাফসীরে লিখেছেন, এ থেকে জানা যায়, মানুষের মধ্যে যে রূহ ফুঁকে দেয়া হয় অর্থাৎ প্রাণ সঞ্চার করা হয় তা মূলত আল্লাহর গুণাবলীর একটি প্রতিচ্ছায়া। জীবন, জ্ঞান, শক্তি, সামর্থ্য, সংকল্প এবং অন্যান্য যতগুলো গুণ মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়, যেগুলোর সমষ্টির নাম প্রাণ----সেসবই আসলে আল্লাহরই গুণাবলীর একটি প্রতিচ্ছায়া। মানুষের মাটির দেহ-কাঠামোটির ওপর এ প্রতিচ্ছায়া ফেলা হয়। আর এ প্রতিচ্ছায়ার কারণেই মানুষ এ পৃথিবীতে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে গণ্য হয়েছে এবং ফেরেশতাগণসহ পৃথিবীর যাবতীয় সৃষ্টি তাকে সিজদা করেছে

এটা বড় শিরক, কারণ আল্লাহর সিফাত শুধুমাত্র তাঁর জন্য প্রযোজ্য। মানুষ বা সৃষ্টী জগত আল্লাহর গুণাবলীর একটি প্রতিচ্ছায়া এটা সূফীদের ওহদাতুল ওজুদের শিরকী আকীদাহ, যাকে ওলামারা ফিরাউনের শিরকের চাইতে জঘন্য বলেছেন। মওদুদী আরো লিখেছেন, আল্লাহর সিফাতের প্রতিচ্ছায়ার কারণেই নাকি ফেরেশতারা আদম আঃ এর সিজদা করেছিলো - মনগড়া শিরকি অপব্যখ্যা, এই শিরকি ব্যখ্যা দিয়ে হিন্দুরা মূর্তিপূজা করে।

২/ রাসুল সাঃ আন্দাজে মনগড়া কথা বলেছেন (নাউযুবিল্লাহ)
তর্জমানুল ক্বুরান, রবিউল আউয়াল ১৩৬৫ (উর্দুতের মূল বইয়ের স্ক্রিনশট)
রাসুল সাঃ এর ধারণা ছিলো, তাঁর জামানাতে বা তাঁর জামানার কাছাকাছি সময়েই দাজ্জাল বের হবে, কিন্তু ১৩৫০ বছরের মধ্যেও দাজ্জাল বের হয়নি। এটাই প্রমান করে যে, এই হাদীসগুলো ঠিক নয়, এইগুলো প্রচার করা ইসলামী আকীদাহও নয়। মওদুদি আরো বলেন, দাজ্জালের কাহিনীর কোন ভিত্তি নেই, দাজ্জালের হাদীসগুলো ইসলামী আকীদা নয়, আর রাসুল সাঃ দাজ্জালের কথাগুলো আন্দাজে, চিন্তা-ভাবনা করে বলেছেন (অর্থাৎ ওয়াহী নয়, নাউযুবিল্লাহ), তিনি আন্দাজ করে (দাজ্জালের) যেই কথাগুলো  বলেছেন সেইগুলো ভুল এতে কোন সন্দেহ নেই, আর রাসুল সাঃ আন্দাজে যেই ভুলগুলো করেছেন, সেইগুলো তাঁর নবুওতির জন্য অসম্মানজনক নয়।

৩/ মহানবী (সঃ) নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষন করেছেন।
[তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী]

কেউ যদি বলে - মহানবী (সাঃ) নিজের মনগড়া কথা বলেছেন, এটা মারাত্মক কুফুরী ও শিরকি একটা কথা। কারণ, আল্লাহ তাআলা কুরানুল কারীম ঘোষণা করেছেন
তিনি তাই বলেন যা তাকে ওয়াহী করা হয়।

সুরা নাজম।