ইন্টারনেট মুসলিম, ভার্চুয়াল
ইসলামঃ
(পর্ব-১)
(১) সবাই কুরান হাদীস
ফলো করে, তবে নিজ নিজ বুঝ অনুযায়ী।
(২) সবাই চায় আপনি তার
মতের সাথে মিল রেখেই পোস্ট করবেন।
(৩) বন্ধুত্ব ততক্ষণ
পর্যন্ত, যতক্ষণ পর্যন্ত সে যা বলবে, তাই সঠিক বলে মেনে নিবেন।
(৪) যাদের জন্য আল্লাহর
যিকির করা কষ্টকর, তাদের জন্যে ফালতু তর্কে লিপ্ত হওয়া সহজ।
(৫) আমার পছন্দের দল/ব্যক্তির
পক্ষ হয়ে গালি-গালাজ করলেও সেটা সহীহ(!), যদিওবা সেটা অশ্লীল বা আপত্তিকর হয়।
(৬) মাথায় কিছু থাক
বা না থাক, নারী লেখিকাদের কদর পুরুষদের মাঝে সব সময়েই বেশি।
(৭) জনপ্রিয়তা বা বন্ধুত্ব
রক্ষা করার জন্যে শিরক ও বিদাতের ব্যপারে চুপ থাকতে হয়, অনেক সময় ফতোয়া চেঞ্জ করতে
হয়।
(৮) আলেমরা অপরিচিত,
জাহিল বক্তা ও লেখকেরা ‘ইসলামিক সেলেব্রিটি’।
(৯) অন্ধ ভক্তি ও আবেগ
যেখানে সচল, যুক্তি সেখানে অচল।
.
(পর্ব-২)
একজন আলেম ৩০ বছর, ৪০
বছর পড়াশোনা করে, আরাম-আয়েশ বিসর্জন দিয়ে দ্বীন শিখেন, কিন্তু তাঁকে কেউ চিনেনা, এমনকি
মানুষ তাঁর নামও জানে না। আলেম ঈমান-আকিদাহর উপরে, ফিকহের উপরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বই
লিখেন, দারস দেন, ইসলাম প্রচার করেন কিন্তু মানুষ তাঁর কাছ থেকে দ্বীন শিখতে আগ্রহী
হয় না। অন্যদিকে, একজন মানুষ সারা জীবন ডাক্তারী/ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে জীবনটা ব্যয় করলো,
অথবা কোন ফাসেক মুসলমান যে কিনা সারাজীবন গান-বাজনা নিয়ে পড়ে ছিলো, অথবা একজন জিনাকারী
মহিলা যে সারাজীবন পর পুরুষদের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত ছিলো, আল্লাহর রহমতে তাদের হেদায়েত
হলো, আর সামান্য কিছু ইসলামী কথা শিখে আর সেই অল্প ইলমের উপর ভিত্তি করে ‘আধা-ইসলামিক বয়ান’ দেওয়া শুরু করলো। মানুষ তাদেরকে
‘আল্লামাহ’ মনে করা শুরু করলো। তার কাছ থেকে
দ্বীন শেখার(!) জন্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। বিশেষ করে, সে যদি হয় কোন অল্প বয়ষ্ক ইসলামিক
লেখিকা, যে কিনা ইসলাম শিখানোর সাথে নরম ও মিষ্টি ভাষায় কিছু লুলামি মার্কা কথা লিখবে,
পুরুষদেরকে লাভ, রিলেশান, ইসলামিক রোমান্স শিখাবে, তাহলেতো পুরুষদের মাঝে তার বিশাল
কদর। ইসলাম শিখা হলো পাশাপাশি, ভার্চুয়াল নারী সংগ লাভ হলো।
বিষয়টা আশ্চর্য জনক,
কিন্তু আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম প্রায় ১৪০০ বছর পূর্বেই আমাদেরকে সতর্ক করে বলেছেন, “কেয়ামতের একটা লক্ষণ হচ্ছে যে, মানুষ
জাহেল (মূর্খ) লোকদের কাছ থেকে ইলম (দ্বীনের জ্ঞান) অর্জন করবে।” তাবারানি, জামি আস-সাগীরঃ ২২০৩।
.