(১) সুদী ব্যংকে চাকুরী করা হারাম। শায়খ আব্দুল হামীদ মাদানী বলেছেন, হারাম উপার্জনে লিপ্ত ছেলেকে বিয়ে করা জায়েজ নয়।
(২) জসীম উদ্দিন রাহমানী একজন চরমপন্থী, জাহিল বক্তা।
পীরদের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কিছু রক্ত গরম করা
লেকচার দিলেই আলেম হওয়া যায়না। আলেম হওয়ার জন্যে ইলম থাকা প্রয়োজন, হেকমত থাকা প্রয়োজন, কথা ও আচরণে মানুষের মাঝে উত্তম
হওয়া প্রয়োজন। জসীম উদ্দিন রাহমানীর দাওয়াত জেএমবি, আইসিসের
মতো খারেজী দলের দাওয়াত, সাইয়েদ কুতুবের দাওয়াত - একই
দাওয়াত। এদের আদর্শ হচ্ছে মুসলমানদেরকে কাফের ফতোয়া দিয়ে তাদেরকে হত্যা করা।
(৩) প্রেম ভালোবাসা, জিনা ব্যভিচার, বেপর্দা, বেহায়াপনা, বিয়ে,
তালাকের মতো বিষয়গুলোতে সমাজের মানুষের অবস্থা কতটা নিচে নেমে গেছে
আশ্চর্য হতে হয়। এ থেকে বাঁচার উপায় হচ্ছে পুরুষদের দৃষ্টি ও লজ্জাস্থান
নিয়ন্ত্রনে রাখা, নারীদেরকে পূর্ণ হিজাব-পর্দার মাঝে রাখা,
নারী ও পুরুষদের আলাদা অবস্থান নিশ্চিত করা, উপযুক্ত
বয়সে ছেলে মেয়েদেরকে বিয়ে দেওয়া। অথচ সমাজে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থা বিরাজ করছে।
অধিকাংশ মেয়েই নারী-পুরুষ মিক্সড শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ছে, যার
ফলে পুরুষেরা খুব সহজেই তাদেরকে গার্লফ্রেন্ড নামক “আধুনিক সমাজের নব্য রক্ষিতা” বানিয়ে তাদেরকে অন্যায়ভাবে ভোগ
করছে। মুসলমান ভাই ও বোনদের উচিৎ, সারা দুনিয়া জাহান্নামে
গেলেও কিভাবে নিজেকে বাঁচানো যায়, কিভাবে নিজের পরিবারকে
বাঁচানো যায়, সেই চিন্তা-ফিকির করা। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত
করুন, আমিন।
(৪) ‘ইলম’ বা দ্বীনি জ্ঞান হচ্ছে বৃষ্টির
মতো। বৃষ্টি হলে যেমন শুষ্ক ভূমিতে সবুজ উদ্ভিদ ও লতা পাতা জন্মিয়ে প্রাণের সঞ্চার
হয়। ঠিক তেমনি কারো বুকের মধ্যে ঈমানের বীজ থাকলে ইলমের ছোয়া পেলে তার ঈমান
লতাপাতা গজিয়ে মজবুত ও সুন্দর হয়। তার আক্বিদাহ ও আমল শুদ্ধ, সুন্দর ও আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। সুতরাং দ্বীনি ভাই বোনেরা ইলম অর্জন
করুন। সেজন্য আলেমদের মজলিসে বসার চেষ্ট করুন। প্রকৃত আলেমরা হচ্ছেন ইলমের ধারক ও
বাহক। আর আলেম-এর পোশাক পড়া জাহেল লোকেরা মানুষকে জান্নাতের রাস্তা দেখানোর আশা
দিয়ে তাদেরকে বিভ্রান্ত করে।
(৫) আহলে হাদিস, সালাফী, সহীহ
আকিদাহর অনুসারী, ক্বুরান সুন্নাহর অনুসারী, ডা জাকির নায়েকের অনুসারী - এমন সুন্দর সুন্দর লেবেল থাকলেই যথেষ্ঠ নয়।
বৃক্ষ তোমার নাম কি, ফলে পরিচয়। একজন ব্যক্তি নাজাতপ্রাপ্ত
দলের অন্তর্ভুক্ত কিনা, সেটা নির্ভর করে তার আকিদাহ ও আমলের
উপরে। নাম বা লেবেল সুন্দর, কিন্তু আমল খারাপ হলে জাহান্নামে
যেতে হবে। সেইজন্য কোন ব্যক্তি বা দলের অন্ধ অনুসারী হবেন না।
(৬) ইসলামী রাষ্ট্রের নেতা বা আমির ব্যতীত অন্য যে কারো কাছে ‘বাইয়াত’ করা বিদআ’ত এবং অবৈধ। সুতরাং,
- পীরদের কাছে বাইয়াত করা বিদাত
- কোন আলেমের কাছে বাইয়াত করা বিদাত
- ‘আহলে হাদিস আন্দোলন’ সংগঠনের কাছে বাইয়াত করা বিদাত
- ‘জামাতে ইসলামীর’ নেতাদের কাছে বাইয়াত করা বিদাত
- আইসিসের মতো খারেজী দলগুলোর কাছে বাইয়াত করা বিদাত
এইগুলোর
কোন একটির কাছে বায়াত করে থাকলে সেই বায়াত ভংগ করা ওয়াজিব। এ ব্যপারে সমস্ত আলেমরা
একমত। সুতরাং, এর তার কথা শুনে অজ্ঞতাপূর্ণ বাইয়াতে শরীক হবেন না। এনিয়ে আমাদের লেখা আছে
যা ব্লগে পোস্ট করা আছে, কেউ পড়তে চাইলে ইন শা আল্লাহ লিংক
দিয়ে দিবো।
(৭) একজন মানুষের জন্য সঠিক ঈমান নিয়ে, নেক আমলের
সাথে মৃত্যু বরণ করতে পারাই চূড়ান্ত সফলতা। সেইজন্য দুয়া করতে হবে, ঈমানে সহিত মৃত্যুর জন্য। সয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচার জন্যে। যে ব্যক্তি
আল্লাহর সাথে দেখা করতে ভালোবাসে, আল্লাহও তার সাথে দেখা
করতে ভালোবাসেন, আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে দেখা করতে
অপছন্দ করে, আল্লাহও তার সাথে দেখা করতে ঘৃণা করেন। আল্লাহর
সাথে দেখা করার জন্যে আমাদের উচিৎ নেক আমল সংগ্রহ করা। বিশেষ করে, সুরা কাহাফের সর্বশেষ আয়াতে আল্লাহ শর্ত দিয়েছেন, যে
ব্যক্তি আল্লাহর সাথে দেখা করতে আশা করে যে নেক আমল করে এবং আল্লাহর সাথে কাউকে
সরীক না করে।