ক্বুরান মানবজাতির জন্যে আশ্চর্যজনক
এক মুজিজা। এই মহান কিতাবের পুরোটাই বরকতময়...এই কিতাব পড়লে বরকত, এটা শুনলে বরকত,
এর উপরে আমল করে বরকত। একটু মনোযোগ দিয়ে নিচের কয়েকটা পড়ে দেখুন, মনের উপর কি
আশ্চর্য প্রভাব ফেলে!
আ’উযুবিল্লা হিমিনাশ-শাইতানির রাযীম।
(১) আল্লাহ মুমিনদের ওলী (অভিভাবক)। তাদেরকে তিনি অন্ধকার থেকে আলোর দিকে
বের করে আনেন। আর যারা কুফুরী করে, তাদের অলী হচ্ছে তাগুত। তারা তাদেরকে আলো থেকে
বের করে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়। এরাই হচ্ছে জাহান্নামের অধিবাসী, সেখানে তারা
চিরকাল থাকবে। [সুরা বাক্বারাহঃ ২৫৭]
(২) আল্লাহ তোমাদের অন্তরে ঈমানের প্রতি #মহব্বত সৃষ্টি করে দিয়েছেন এবং
তা তোমাদের জন্যে #হৃদয়গ্রাহী করে দিয়েছেন। পক্ষান্তরে তোমাদের অন্তরে কুফুরী,
পাপাচার ও নাফরমানীর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। [সুরা হুজুরাতঃ ৭]
(৩) হে বনী-আদম (অর্থাৎ হে মানুষেরা)! শয়তান যেন তোমাদেরকে কিছুতেই
বিভ্রান্ত না করে; যেমন সে তোমাদের পিতা-মাতাকে বিভ্রান্ত করে জান্নাত থেকে এমন
অবস্থায় বের করে দিয়েছিলো যে, তাদের পোশাক তাদের থেকে খুলে দিয়েছিলো, যাতে
তাদেরকে তাদের লজ্জাস্থান প্রকাশ হয়ে পড়ে। সে (ইবলিস শয়তান) এবং তার দলবল
তোমাদেরকে এমন জায়গা থেকে দেখতে পায়, যেখান থেকে তোমরা তাদেরকে দেখতে পাওনা। আমি
শয়তানদেরকে তাদের বন্ধু করে দিয়েছি, যারা ঈমান আনেনা। [সুরাহ আ’রাফঃ ৩২]
(৪) আপনি আমার বান্দাদেরকে বলে দিন, যারা ঈমান এনেছে তারা যেনো নামায কায়েম
রাখে এবং আমার দেওয়া রিযিক থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে; ঐদিন আসার পূর্বেই,
যেদিন কোন বেচা কেনা থাকবেনা এবং কোন বন্ধুত্বও থাকবেনা। [সুরা ইব্রাহীমঃ ৩১]
(৫) তিনি যদি তোমাদের রিযিক বন্ধ করে দেন, তাহলে এমন কে আছে যে তোমাদেরকে
রিযিক দিবে? বরং তারা অবাধ্যতা ও বিমুখতায় ডুবে রয়েছে। [সুরা মুলকঃ ২১]
(৬) যদি গোনাহগারদের কাছে পৃথিবীর সমস্ত কিছু থাকে এবং তার সাথে সমপরিমাণ
আরও থাকে, তবে অবশ্যই তারা কেয়ামতের দিন শাস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যে মুক্তিপন
হিসেবে সে সবকিছুই দিয়ে দেবে। অথচ তারা দেখতে পাবে, আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন শাস্তি,
যা তারা কখনো কল্পনাও করত না। [সুরা যুমারঃ ৪৭]
(৭) আমি জান্নাতী নারী (হুরদেরকে) বিশেষভাবে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর তাদেরকে
করেছি চিরকুমারী (প্রতিবার স্বামীর সাথে সহবাসের পর তাদেরকে পুনরায় কুমারী বানিয়ে
দেওয়া হবে)। এবং তারা (এমন কামিনী নারী হবে যে), তারা শুধুমাত্র তাদের
স্বামীদেরকেই প্রাণভরে ভালোবাসবে, এবং তাদের স্বামীর সমবয়স্কা নারী হবে। [সুরা
ওয়াক্বিয়াঃ ৩৫-৩৭]