#রাষ্ট্রধর্ম
একজন মুসলমান চাইবে প্রতিটা জায়গায় ইসলাম মেনে চলতে, আল্লাহ ও
তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আদেশ ও
নিষেধ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে। সেটা ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, সামাজিক
জীবনে কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনে হোক, একজন ঈমানদার সর্বদাই, সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর
প্রতি অনুগত থাকার জন্য অংগীকারাবদ্ধ। কখনো এমন হবেনা যে, কোন মুসলমান ইসলামের কিছু
বিষয় মানবে আর কিছু বিষয়কে অস্বীকার করবে। কেউ যদি বলে, আমি আল্লাহর এই আইন মানি
আর অমুক আইন মানিনা, বা বর্তমান যুগে এই আইন মানা সম্ভব না, এটা এক প্রকার কুফুরী,
যা মুনাফেকীর অন্তর্ভুক্ত। আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামী আইন মানা হয়না। সত্যি
কথা বলতে আমাদের দেশ ও আইন-আদালত ক্বুরান ও সুন্নাহ দ্বারা নয় বরং, ইংল্যান্ডের
খ্রীস্টানদের বানানো মানব রচিত আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। তারপরেও কোন একভাবে
নামমাত্র হলেও বাংলাদেশের সংবিধানে “রাষ্ট্রধর্ম
ইসলাম” একথাটি
লিখা হয়েছিলো। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম দেশের প্রায়
৮৫ ভাগ মানুষের পূর্ণ সমর্থনে বলবৎ ছিলো। কিন্তু কিছু মানুষ যারা ইসলাম পছন্দ করেনা, দেশের মানুষের অন্তর
থেকে ইসলামকে মুছে দিতে চায়, তারা চায়না বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকুক। তারা চায়, বাংলাদেশ যেনো রাশিয়ার মতো ‘নাস্তিক’ কিংবা
‘সেকুলার’ (ধর্মহীন) রাষ্ট্রে পরিণত হোক। এরা
আমাদের মুসলমানদের দেশ ও জনগণের শত্রু। আমাদের মুসলমানদের এমন ধর্মদ্রোহী লোকদের
ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিৎ, তাদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সকলকে সচেতন করে তোলা
উচিৎ। মানুষকে আস্তে আস্তে ঈমানহারা করে নাস্তিক বানানোর জন্যে কথিত এই সেকুলার
গোষ্ঠীর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার জন্যে আমাদের মুসলমানদের কার্যকরী ভূমিকা
পালন করা উচিৎ।