নিচের
প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছেন শায়খ আব্দুল হামীদ মাদানীঃ
(১) পানি ব্যবহার করা উত্তম,
,কিন্তু পানি থাকা সত্বেও কেউ যদি পেশাব পায়খানার পরে টিস্যু দ্বারা নাপাকী দূর
করে হবে কিনা? এটা অনেকেই করে।
উত্তরঃ নাপাকী দূর হয়ে গেলে জায়েজ
হবে।
(২) সুরা মুলকের ফযীলত পাঔয়ার
জন্যে কি রাতেই পড়তে হবে নাকি দিনে রাতে যেকোণ এক সময়ে পড়লে হবে?
উত্তরঃ দিনে রাতে যেকোন এক সময়েই
পড়লে হবে...শোবার সময় পড়া সুন্নত।
(৩) ইমাম ইবনে তাইমিয়া, শায়খ বিন
বাজ নারীদের ঋতু অবস্থায় কুরান পড়া বৈধ বলেছেন। কোন নারী এই ফতোয়া মানলে গুনাহ হবে?
উত্তরঃ হ্যা, প্রয়োজনে স্পর্শ না
করে নিজে পড়তে বা অন্যদেরকে পড়াতে পারবে।
(৪) নামাযে নারীদের পা ঢাকতেই
হবে? অনেক নারীই ঢাকেনা।
উত্তরঃ এনিয়ে আলেমদের মাঝে মতভেদ
আছে। সন্দেহমুক্ত থাকার জন্যে ঢেকে নেওয়াই ভালো।
(৫) অনেক নারীর চুল লম্বা, উল্টা
দিক থেকে মাসাহ করতে গেলে এলোমেলো হয়ে যায়।উল্টা দিক থেকে মাসাহ করা ফরয নাকি, না
করলেও হবে?
উত্তরঃ চুলের উপরে হাত ফিরিয়ে
সামনের দিকে নিয়ে আসবে।
____________________________
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাদের
দেওয়াঃ
১. ফরজ নামাজে যেখানে যেখানে
ক্বিরাত জোরে পড়া হয়, মেয়েরা যখন ঘরে একা নামাজ পড়বে তখন কি মেয়েদেরকেও ফরজ
নামাজের ক্বিরাতগুলো শব্দ করে পড়তে হবে?
উত্তরঃ কোন গায়ের মাহরাম পুরুষ না
থাকলে পুরুষদের মতো জোরে কিরাত পড়ার জায়গায় নারীরাও জোরে পড়তে পারবে এবং নিজেদের
কিরাত নিজেরা বা ঘরে লোকেরা শুনতে পারে। অবশ্য গায়ের মাহরাম পুরুষ থাকলে চুপে চুপে
পড়তে হবে।
২. কোন অসুবিধাজনক পরিস্হিতিতে
যদি মেয়েরা একা নামাজ পড়ার সময় ফরজ নামাজের ক্বিরাত জোরে পড়তে না পারে তাহলে কোন
অসুবিধা হবে?
উত্তরঃ কোন অসুবিধা নেই, একাকী
জোরে কিরাত পড়া নারী বা পুরুষ কারো জন্যেই ফরয নয়।
৩. ক্বিরাত শব্দ করে পড়া ফরজ,
সুন্নাত নাকি ওয়াজিব?
উত্তরঃ একাকী হলে সুন্নত।
৪. মেয়েরা যখন বাসায় একা নামাজ পড়বে
তখন কি ইকামত দিবে?
উত্তরঃ হ্যা দিতে পারে, তবে দেওয়া
ফরয নয়।
৫. ইকামত দেয়া ফরজ, সুন্নাত নাকি
ওয়াজিব?
উত্তরঃ সুন্নত।
৬. ওয়াক্ত হয়ে যাবার পর কিন্তু
মসজিদে আযান দেয়ার আগেই যদি মেয়েরা ঘরে নামাজ পড়া শুরু করে তাহলে কি আযান দিয়ে
নামাজ শুরু করতে হবে?
উত্তরঃ ওয়াক্ত হয়ে গেলে ওয়াক্তের
প্রথম দিকে নামায পড়া বেশি সওয়াবের কাজ। আমাদের দেশের মসজিদে আযান দিতে অহেতুক
দেরী করে, যা সুন্নত সম্মত নয়। তাই নারীরা ফযর, জোহর, আসর ওয়াক্তের শুরুর দিকেই
পড়ে নেবে, আযান দিতে দেরী করলেও তারা পড়তে পারবে। তাদেরকে আযান দিতে হবেনা। অবশ্য
এশার নামায একটু দেরী রাতের এক তৃতীয়াংশ পড়ে পড়া ভালো।
৭. যদি করতে হয় তাহলে এই আযান
দেয়া ফরজ, সুন্নাত নাকি ওয়াজিব?
উত্তরঃ একটা এলাকায় একটা মসজিদে
আযান দিলে বাকী সবার জন্যে যথেষ্ঠ, এরপরে বাকি সবার জন্যে সুন্নত।