#রুয়াইবিদা
বর্তমান যুগে বাংলা
বা ইংরেজী ভাষাভাষী অনেকেই রয়েছে, যারা দ্বীনের ব্যপারে কথা বলছে। মিষ্টি ভাষায় দীর্ঘ
আর্টিকেল লিখে কিংবা হৃদয় গলানো ভিডিও পাবলিশ করে উম্মতকে ‘দ্বীন শিখানোর’ জন্যা তারা দিন-রাত যুদ্ধ-জিহাদ করে যাচ্ছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা নিজেরাই দ্বীনের ব্যপারে সঠিক ও পূর্ণাংগ জ্ঞান অর্জন
না করার কারণে, আলেম-ওলামাদের সংস্পর্শে না আসার কারণে তাদের অজ্ঞতাপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর
লিখালিখি দ্বারা সাধারণ মুসলমানদেরকে ভ্রষ্টতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এই সমস্ত নির্বোধ
ও ফালতু লোক, সাধারণ মুসলমানেরা ইলমের দৈন্যতার কারণে যাদেরকে “আলেম” বলে ধোঁকা খাচ্ছে, কিন্তু মূলত তারা জাহেল, হাদীসের পরিভাষায়
এদেরকে “রুয়াইবিদা” বলা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“মানুষের মাঝে অচিরেই
এমন একটা সময় আসবে যখন ধোঁকাবাজি বাড়বে। তখন মিথ্যাবাদীকে সত্যবাদী মনে করা হবে আর
সত্যবাদীকেই মিথ্যাবাদী মনে করা হবে। আমানতদারকে খিয়ানতকারী মনে করা হবে আর খিয়ানতকারীকেই
আমানতদার মনে করা হবে। আর রুয়াইবিদারা কথা বলবে।” আল্লাহর রাসুলকে জিজ্ঞাসা করা হলোঃ রুয়াইবিদা কারা? তিনি
বললেন, “সাধারণ মানুষের কর্মকান্ডে
হস্তক্ষেপ করে এমন ব্যক্তি।”
ত্বাবারানি, কিতাবুল ফিতান, বাব সিদ্দাতুয যামানঃ ২/৩২৬১।
হাদীসের অন্য বর্ণনায়
রয়েছে, জিজ্ঞাসা করা হল, রুয়াইবাদা কে? রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “অপদার্থ ব্যক্তি”।
.
ইসলামী বক্তা বা লেখক,
কুরআন এক্সপার্ট, মডার্ণ ফকিহ, নারীবাদী লেখিকা, জিহাদী আলেম. . .ইত্যাদি টাইটেলধারী
লোকেরা যারা “আলেম” হিসেবে পরিচিত কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জাহিল, এমন
লোকদের কথা যারা শুনবে, তাদেরকে যারা অনুসরণ করবে, তারাও নিন্মমানের লোকদের অন্তর্ভুক্ত।
আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আ’নহু বলেছেন,
“মানুষ হচ্ছে তিন প্রকার,
(১) আ’লিম (শিক্ষিত বা দ্বীনের ব্যপারে জ্ঞানী ব্যক্তি),
(২) মুতাআ’ল্লিম (দ্বীনের শিক্ষার্থী),
- এই দুই প্রকারের লোকজনই
হচ্ছে মুক্তির পথে।
(৩) নিম্নমানের এমন
লোকজন, যারা যেকোন লোকের কথা অনুসরণ করে এবং তার ডাকে সাড়া দেয়।”
উসুলুস সুন্নাহ (বাংলা),
পৃষ্ঠা-১০৭।
ফেইসবুকে এমন রুয়াইবিদা
এবং তাদের অনুসারী নারী ও পুরুষের সংখ্যা কম নয়, বরং একটু বেশিই।
সুতরাং, সম্মানিত দ্বীনি
ভাই ও বোনেরা!
আলেমদেরকে চিনুন, আলেমদের
কাছ থেকে উপকৃত হন এবং নীচু মানের, ফালতু লোকদেরকে বর্জন করুন। ফিতনাহ থেকে বাঁচুন,
অন্যদেরকেও সতর্ক করুন।
.
বন্ধু...
সব রোগেরই চিকিৎসা আছে,
কিন্তু দ্বীনের মাঝে
যেই ব্যধি, তার চিকিৎসা কোথায়?