ইসলাম প্রচারকারীর
পোশাকে পথভ্রষ্টতা ও গোমরাহীর দিকে আহবানকারী ব্যক্তিদের কিছু লক্ষণঃ
(১) আবুল আলা মওদুদী, হাসান আল-বান্না, সাইয়েদ কুতুবের প্রতি ভক্তি এবং
তাদের লিখা পড়তে মানুষকে উৎসাহিত করা।
(২) আত্মঘাতী বোমা হামলাকে জায়েজ মনে
করা।
(৩) সৌদী আরবের সরকার ও বাদশাহকে কাফির
বলা।
(৪) ইউসুফ কারযাভী, মুহাম্মদ হাসসান, আনোয়ার আল-আওলাকি, জসীম উদ্দিন রাহমানী, মুহাম্মদ আল-আরিফীর মতো ফিতনাহ,
বিদ্রোহের ব্যপারে উস্কানিদাতাদের বক্তব্য ও লিখনী মানুষের মাঝে
প্রচার করা।
(৫) ইমাম আবু হানীফা রহঃ কে অপমান বা
তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা।
(৬) ইখতিলাফি বিষয়ে (যেমন আমিন জোরে বলা,
বুকে হাত বাঁধা, রুকুর আগে ও পরে রাফউল করা)
এমন সুন্নত বা মুস্তাহাব বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি ও কঠোরতা অবলম্বন করা।
(৭) মদীনা ইসলামিক ইউনিভার্সিটির বড় একজন
আলেম, শায়খ রাবী বিন হাদী আল-মাদখালী হাফিঃ এর সাথে শত্রুতা
পোষণ করা এবং তাঁকে নিয়ে অন্যদেরকে ‘মাদখালী’ বলে গালি দেওয়া।
(৮) মুসলিম রাষ্ট্রের বৈধ আমির বা শাসক
ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তি, দল বা সংগঠের কাছে বাইয়াত করার
জন্যে আহবান করা।
(৯) শায়খ বিন বাজ, শায়খ
ইবনে উসায়মিন, শায়খ নাসির উদ্দিন আলবানী ও অন্যান্য ‘সালাফী’ আলেমদের বক্তব্যকে কাটছাঁট
করে নিজের প্রবৃত্তি অনুযায়ী উপস্থাপন করা এবং সেইগুলোকে নিজেদের গোমরাহীর পক্ষে
ব্যবহার করা।
(১০) আহলে সুন্নাহর দেশ সৌদি আরবের আলেম
ও সরকার সম্পর্কে মানুষের মাঝে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা প্রচার করা।
(১১) নিজের পছন্দমতো দেশি-বিদেশী বক্তা ও
লিখকদেরকে ইমাম, আল্লামাহ, শায়খুল
ইসলাম, কিংবদন্তী সালাফী আলেম, মুফতি,
মুফাসসির, মুজাহিদ, মুজাদ্দিদ
- ইত্যাদি টাইটেল বিতরণ করা।
(১২) নিজেকে COOL প্রমান
করা জন্যে, লোকদেরকে বিনোদন দেওয়ার জন্যে, জনপ্রিয়তা / লাইক / শেয়ার বাড়ানোর জন্যে দ্বীনের বিষয় নিয়ে হাসি-ঠাট্টা
করা।
(১৩) ‘নাশিদ’ বা ইসলামী গান নাম দিয়ে
গান-বাজনা শোনা ও সেইগুলো প্রচার করা।
(১৪) অল্প ইলম সম্পন্ন ‘সেলেব্রিটি’ বক্তা ও লিখক, যারা আলেম সেজে লোকদেরকে প্রতারণা করছে, তাদেরকে
অন্ধভাবে সমর্থন করা এবং তাদের বিভ্রান্তির পক্ষ অবলম্বন করে অন্যায় তর্কে লিপ্ত
হওয়া।
(১৫) বিদাতপন্থী দলের লোকদের সাথে
বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা রাখা, সুন্নাহর অনুসারী লোকদের সাথে
শত্রুতা ও বিদ্বেষ পোষণ করা।
(১৬) আহলে সুন্নাহর আলেমদের থেকে বিমুখ
থাকা এবং লোকদেরকে আলেমদের থেকে দূরে থাকার জন্যে আহবান করা।
(১৭) সঠিক ঈমান, আকিদাহ
ও ইলম অর্জনের উপরে গুরুত্ব দেওয়াকে অস্বীকার করা বা কটাক্ষ করা।
(১৮) ‘আমি শুধু কুরান ও
হাদীস মানি’, ‘only মুসলিম’ ‘সহিহ আকিদাহ’ ইত্যাদি নামে বেনামে স্লোগান নিয়ে ‘ফিকহ’ ও আলেমদের মর্যাদাকে
অস্বীকার করা।
(১৯) চাঁদ দেখা নিয়ে মুসলিম দেশের
স্থানীয় সরকার, আলেম ও জনগণের বিরোধীতা করে মুসলিম জামাতের
মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করা।
(২০) উদারপন্থা, মধ্যমপন্থা,
মুসলিম ঐক্যের স্বার্থে(!) শিরক ও বিদাতের সমালোচনার বিরোধীতা করা।
(২১) ‘আরব বসন্ত’ এবং ৯/১১ এর টুইন টাওয়ার
হামলাকে ইসলামের মহান খেদমত বলে মনে করা।
(২২) দেশে বা বিদেশে জংগী সংগঠনগুলো
কর্তৃক নিরীহ কাফির হত্যাকে জায়েজ মনে করা।
(২৩) মক্কা ও মদীনার আলেমদের কাছ থেকে
ফতোয়া নিতে নিষেধ করা।
(২৪) শিয়া, কবরপূজারী,
সূফী, মডার্নিস্ট, হাদীস
অস্বীকারকারী মতো বিদাতপন্থী দলের সাথে বন্ধুত্বের এবং তাদের সমালোচনা থেকে বিরত
থাকার চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া।
(২৫) আলেমরা বর্তমান যুগ সম্পর্কে জানেন
না, তাঁরা বিশ্ব রাজনীতি বুঝেন না, আলেমরা
অনেক সময় বাস্তবতা বিরোধী ফতোয়া দেন বলে আলেমদের মর্যাদাকে আক্রমন করা।
(২৬) মসজিদের মিম্বরে বসে মুসলিম দেশের
বৈধ সরকার ও শাসকের বিরুদ্ধে মুসলমানদেরকে উস্কানি দেওয়া।
(২৭) দাওয়াত নাম দিয়ে বাহাস, তর্ক-বিতর্ক, ডিবেট, চ্যালেঞ্জ
ছুঁড়ে দেওয়ার মতো উপকারবিহীন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা।