জ্ঞানী
ব্যক্তিদের কথা (পর্ব-৪)
(১) বিদআ’তী ব্যক্তির চেহারার মাঝে বিদাতের কলংকের দাগ লেগে থাকে, এমনকি সে দিনে ২০বার করে মুখ ধুইলেও সেই কালো
দাগ যাবে না।
(২) এমন লোকদের ব্যপারে সাবধান থাক, যে তোমার সাথে
মিশে এবং তোমার শত্রুদের সাথেও চলা-ফিরা করে।
(৩) সময় নষ্ট করোনা, সময় অত্যন্ত মূল্যবান। এক মিনিট
সময়ের মূল্য ১০০০ স্বর্ণমুদ্রার চাইতে বেশি।
(৪) তোমার হিসাব গ্রহণের পূর্বে তুমি নিজেই তোমার হিসাব গ্রহণ করো।
(৫) দুয়া কবুল হতে দেরী হলে ধৈর্য্য ধারণ করো, তাড়াহুড়া
করোনা।
(৬) হায়! আমি যদি পড়ে থাকা গাছের কোন পাতা হইতাম।
(৭) একজন নারীর জিহবা যত লম্বা হবে, স্বামীর সাথে তার
সংসারের দিন তত কম হবে।
(৮) তোমরা এমন হয়োনা যে, বাহিরে দ্বীন প্রচার করো আর
ঘরে নিজ স্ত্রীর সাথে শুধু দুনিয়াবী কথা নিয়ে ব্যস্ত থাকো। বরং তুমি যা শিখেছো,
তোমার স্ত্রীকে সেই শিক্ষা দাও।
(৯) তুমি যতটুকু সুখী হতে চাও, তত বেশি কুরআন পড়ো।
(১০) যে আল্লাহর উপর যত বেশি ভরসা করে, সে তত বেশি
অন্তরের দিক থেকে ঐশ্বর্য লাভ করে। যে আল্লাহ ব্যতীত অন্য কিছুর উপর ভরসা করে,
সে তত বেশি সংকীর্ণতার মাঝে পড়ে।
(১১) নেক আমল মানুষের সর্বোত্তম বন্ধু।
(১২) যখন তোমার জন্যে সৌভাগ্যের একটা দরজা উন্মুক্ত হবে, তুমি দ্রুত সেটা গ্রহণ করো। কারণ, তুমি জানোনা সেই
দরজা কখন বন্ধ হয়ে তোমার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে।
(১৩) জ্বরের মতো অসুখ আর হয়না। কারণ এটা শরীরের প্রত্যেকটা অংগ-প্রত্যংগে
প্রবেশ করে এবং গুনাহর কাফফারা হয়।
(১৪) তুমি যদি লোকদেরকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করো, তাহলে লোকেরাও
তোমাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে।
(১৫) কোন নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে একারণে প্রথম স্ত্রীর তালাক চাওয়া
ভুল। সে যদি স্বামীর অপর স্ত্রীর ব্যপারে ধৈর্য্য ধারণ করে, তাহলে
আল্লাহ এর জন্যে তার অন্তরকে প্রশস্ত করে তার কষ্ট দূর দেবেন, এবং এই ধৈর্য্যের
কারণে তাকে উত্তম কিছু দান করবেন। অবশ্য, স্বামী যদি তার হক্ক থেকে বঞ্চিত করে
তাহলে তালাক চাইতে পারবে।
(১৬) বাবা জীবিত না থাকলে বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত বোনের দায়িত্ব নেওয়া
ভাইদের জন্যে ফরয। এমন নারীদের দ্বিতীয় বিয়ে করতে না চাওয়া অনেক বড় ভুল। সবকিছুই
তাকদীরের অংশ। অনেক মহিলা সাহাবীর তালাক বা স্বামীর মৃত্যুর কারণে দ্বিতীয় বিয়ে
হয়েছিলো। “নারীদের দ্বিতীয় বিয়ে না করা ভালো”,
এমন ধারণা অজ্ঞতা ও অমুসলিম সম্প্রদায় থেকে এসেছে। ইদ্দত পালন শেষ
হলেই উপযুক্ত পাত্র দেখে তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবা নারীদের বিয়ের চেষ্টা করা উচিত।
(১৭) টিভি, ফেইসবুক, ইউটিউব,
টুইটার ইত্যাদি মাধ্যমগুলোতে আলেম বা জাহেল, দ্বীনের
ব্যপারে যে কেউ ফতোয়া বা মতামত দিতে পারে। এটা অনেক বড় একটা ফেতনাহ, কারণ অধিকাংশ মানুষ ভালো ও মন্দের পার্থক্য ধরতে পারে না।
(১৮) দুনিয়ার হিরো কিন্তু আখেরাতের জিরো, এমন
ক্ষতিগ্রস্থ হয়ো না।
(১৯) কাফেরদের দেশ যেখানে প্রকাশ্যে ক্রুশের পূজা করা হয়, মূর্তি পূজা করা হয়, মদ পান ও জুয়ার আসর বসানো হয়,
জিনা-ব্যভিচার, অবৈধ সন্তানের ছড়াছড়ি, উলংগ নারী দিয়ে রাস্তা-ঘাট পূর্ণ হয়ে থাকে, সেখানে
একজন তাওহীদপন্থী, ঈমানদার কিভাবে শান্তি পেতে পারে?
(২০) ইলম বা দ্বীনের জ্ঞান, আল্লাহর যিকিরের দ্বারা
আমরা যেই শান্তি পাই, সেটা যদি রাজা-বাদশাহরা জানতে পারতো, তাহলে
এইগুলো পাওয়ার জন্যে তারা আমাদের সাথে যুদ্ধ করতো।
বিঃদ্রঃ
কথাগুলো বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত বড় বড় ইমাম ও আলেমদের কাছ থেকে সংগৃহীত।