শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬

গালি দেওয়া ভারী মজা?

গালি দেওয়া ভারী মজা?
কিছু মানুষ আমাকে গালি গালাজ করে ব্যপক মজা পায়, এমনকি সংযমের এই রমযান মাসেও তারা থেমে থাকেনি। অবশ্য আমি এতে রাগ করিনা বা কষ্ট পাইনা, বরং খুশি হই। সত্যি কথা বলতে, আমাকে গালি দেওয়া যদি কোন হারাম কাজ না হতো, তাহলে আরো বেশি গালি দেওয়ার জন্যে আমি তাদেরকে উৎসাহিত করতাম। কারণ, তারা নামায রোযা করবে, আর আমাকে গালি দিয়ে ফ্রী ফ্রী কিছু সওয়াব তারা আমার আমলনামায় হাদিয়া হিসেবে দিয়ে যাবে (ইন শা আল্লাহ)।
=> গালিবাজ লোকদের উদ্দেশ্যে শায়খ মুক্ববিল বিন হাদী রাহিমাহুল্লাহর মতো আমিও বলতে চাই,
আমার শত্রুরা আমার বিরুদ্ধে যা বলতে চায় বলুক, কারণ আমার পাপ অনেক। আমি আশা করি তাদের গীবতের কারণে আমার পাপকে হালকা করা হবে, আর তাদের উপর সেই পাপের বোঝা চাপানো হবে।
=> যে কোন মুসলমানকে গালি দেয়, সে একজন ফাসেকঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, মুসলমানদেরকে গালমন্দ করা ফাসেকী, আর তাদের বিপক্ষে যুদ্ধ করা কুফরী। সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম।
=> যে কোন মুসলমানকে কাফের বলে, সে নিজেই কাফেরঃ
কছু অহংকারী লোককে এই হাদীস দিলে তারা আমাকে কাফের বা মুনাফেক বলে। নাউযুবিল্লাহি মি্ং যালিক, তাদের জন্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই হাদীস পেশ করছি,
যে ব্যক্তি তার অপর কোন ভাইকে কাফের বলে, তাহলে তা দুইজনের যেকোন একজনের দিকে ফিরবে। যদি সে যা (কাফের) বলেছে বাস্তবে তাই হয়, তাহলেতো ঠিক আছে। আর সে যদি কাফের না হয় তাহলে উক্ত বিষয়টি (কুফুরী) যে বলেছে, তার দিকেই ফিরে আসবে। সহীহ মুসলিমঃ ২২৫।
=> ইসলামের কথা, ক্বুরান ও হাদীসের কথা শুনলে যারা কটুক্তি করে, মিথ্যা অপবাদ দেয়, তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটা হাদীস পেশ করছি, যে ব্যক্তি কোন মুমিন ব্যক্তি সম্পর্কে এমন কটূক্তি করবে, যা তার মাঝে প্রকৃতপক্ষে নেই, আল্লাহ তাকে রাদগাতুল খাবাল তথা জাহান্নামীদের গলিত রক্ত-পূজের স্তুপে বসবাস করাবেন। আবূ দাউদ, বিচার অধ্যায়, ৩১২৩ নং হাদীস।
=> সর্বশেষ, কুরআন ও হাদীসের কথা বললে, আহলে সুন্নাহর মহান পথের অনুসরণ করলে, মনপূজারী ও বিদাতী লোকেরা গালি দিবে, এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং, এ ব্যপারে আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।
শায়খ আব্দুল কাদের জীলানী রাহিমাহুল্লাহ (মৃত্যুঃ ৫৬১ হিজরী) বলেছেন,
বিদআতীদের লক্ষণ হচ্ছে আহলে হাদীসদের গালি দেওয়া এবং তাদেরকে বিভিন্ন খারাপ নামে সম্বোধন করা। এগুলি সুন্নাতপন্থীদের বিরুদ্ধে তাদের দলীয় বিদ্বেষ ও অন্তঃর্জ্বালার বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়। কেননা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অন্য কোন নাম নেই, একটি নাম ছাড়া। আর সেটি হচ্ছে আসহাবুল হাদীছ বা আহলে হাদীস। গুনিয়া-তুত্তালিবিনঃ ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৯০।