যেই পোশাক পরে নারী
ও পুরুষেরা জাহান্নামে যাবেঃ
>> পুরুষঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“তিন প্রকার লোক এমন রয়েছে, যাদের সাথে আল্লাহ কথা বলবেন
না, আর না কেয়ামতের দিন তাদের দিকে তাকাবেন, আর না তাদের পবিত্র করবেন বরং তাদের
জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।”
আমি (আবু হুরাইরা) বললাম, আল্লাহর রাসূল! তারা কারা?
ওরা তো ক্ষতিগ্রস্ত!
তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তারা হচ্ছে,
(১) টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী,
(২) ব্যবসার সামগ্রী মিথ্যা কসম দিয়ে বিক্রয়কারী এবং
(৩) কাউকে কিছু দান করার পর তার খোটাদাতা।”
সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, নং ২৯৪।
>> নারীঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দুই প্রকার জাহান্নামী মানুষ আসবে, যাদেরকে আমি আমার
যুগে দেখতে পাচ্ছিনা। এক প্রকার হচ্ছে, ঐ সকল মহিলা যারা “কাপড় পরিধান করেও উলংগ” থাকবে। তারা সাজ-সজ্জা করে পর পুরুষকে
আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও অন্য পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে। তাদের মাথার খোপা (সাজ
সজ্জা ও ফ্যাশানের দরুণ) উটের কুঁজের মত এদিক ওদিক হেলানো থাকবে। তারা জান্নাতে
প্রবেশ করবে না, এমনকি তারা জান্নাতের সুগন্ধিটুকুও পাবে না। অথচ, জান্নাতের
সুগন্ধি পাঁচশ বছর রাস্তার দূরত্ব থেকেও অনুভব করা যাবে।” সহীহ মুসলিমঃ ২১২৮।
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ এই
হাদীসের ব্যখ্যায় বলেছেন,
“কাপড় পড়েও উলংগ হচ্ছে সেই সমস্ত নারী, যারা এতো পাতলা
কাপড় পরিধান করে যে, কাপড়ের মধ্য দিয়ে তাদের গায়ের চামড়া দেখা যায়, অথবা এমন টাইট
পোশাক পরে যে, যার কারণে তাদের শরীরের আকৃতি বোঝা যায়।”
মাজমু’
ফাতাওয়াঃ ১৪৬/২২।
>> জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সামান্য বর্ণনাঃ
আল্লাহ তায়া'লা বলেছেন,
“নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারী অবাধ্য লোকদের জন্যে জাহান্নাম
শত্রুর মতো ওত পেতে বসে আছে, তাদেরকে গ্রাস করার জন্য। তারা সেখানে শতকের পর শতক
ধরে থাকবে। কিন্তু সেখানে তারা তৃপ্তিদায়ক কোন খাবার বা পানি খেতে পারবেনা।
তাদেরকে শুধুমাত্র ফুটন্ত গরম পানি ও দুর্গন্ধযুক্ত পচা পূজ খাওয়ানো হবে। এটাই
হচ্ছে তাদের উপযুক্ত প্রতিদান, কারণ তারা হিসাব-নিকাশের কোন পরোয়া করতোনা। আর আমার
আয়াত (বা নিদররশন) স্মূহকে মিথ্যা বলতো।”
সুরা নাবার ২২-২৮ আয়াতের তর্জমা থেকে নেওয়া।