শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৬

খিলাফাহ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর

আস সালামু আলাইকুম। আমার একটা প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ে। এখন যে অবস্থা, তাতে মুসলিম উম্মাহর কি কোন কিছু করনীয় নেই সুন্নাহ অনুযায়ী? খিলাফাহ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হলে কিভাবে সম্ভব? নাকি খিলাফাহ কায়েম করতে মুসলিমদের চিন্তা ভাবনা করা জরুরী নয়? যদি জরুরী হয় শুরু কিভাবে করা উচিত?
উত্তরঃ ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি বারাকাতুহু।
(১) মুসলিম উম্মাহর কি কোন কিছু করনীয় নেই সুন্নাহ অনুযায়ী?
মুসলিম উম্মাহর করণীয় হচ্ছে তারা শিরক, কুফর ও কবীরাহ গুনাহ ত্যাগ করে ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করবে। তাহলে আল্লাহ তাদের অবস্থার সংশোধন করে দিবেন। নিজেরা শিরক, কুফর বা ভ্রান্ত মতবাদে জড়িত থাকবে...আর উমার ইবনে খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতো একজন খলিফাহ এসে রাতারাতি এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে উদ্ধার করবেন...এমনটা ভাবতে ভালোই লাগে, কিন্তু তা বাস্তবতা বিবর্জিত একটা অলীক কল্পনা ছাড়া কিছুইনা। আর কুরআন ও সুন্নাহ আমাদেরকে এমন সাথে বিপরীত।
(ক) বিতাড়িত শয়তানের কুমন্ত্রনা হতে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
৫৫. তোমাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ওয়াদা দিয়েছেন যে, তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসনকর্তৃত্ব দান করবেন। যেমন তিনি শাসনকতৃত্ব দান করেছেন তাদের পূর্ববর্তীদেরকে এবং তিনি অবশ্যই তাদেরকে সুদৃঢ় করবেন তাদের ধর্মকে, যা তিনি তাদের জন্যে পছন্দ করেছেন এবং তাদের ভয়-ভীতির পরিবর্তে অবশ্যই তাদেরকে শান্তি দান করবেন। (আমি যাদেরকে সাহায্য করবো) তারা শুধুমাত্র আমার ইবাদত করবে এবং আমার সাথে কাউকে শরীক করবে না। এরপর যারা অকৃতজ্ঞ হবে, তারাই অবাধ্য।
৫৬. নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।
সুরা নূরঃ ৫৫-৫৬।
(খ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
যখন তোমরা ঈনা পদ্ধতিতে (ব্যবসা নাম দিয়ে কৌশলে সুদ খাওয়ার একটা পদ্ধতি) কেনা-বেচা করবে, গরুর লেজ আকড়ে থাকবে (অর্থাৎ পশু পালনে বেশি মনোযোগী হয়ে যাবে), কৃষিকাজ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে এবং জিহাদ পরিত্যাগ করবে তখন আল্লাহ তোমাদের উপর অপমান চাপিয়ে দেবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের দ্বীনে প্রত্যাবর্তন করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের উপর থেকে সেই অপমান উঠিয়ে নেওয়া হবেনা।
সিলসিলাতুল আহাদীস আস-সহীহাহঃ ১১।
(গ) উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছিলেন,
আমরা তো মর্যাদাহীন লোক ছিলাম, আল্লাহ আমাদেরকে ইসলাম এর নিয়ামত দিয়ে সম্মানিত করেছেন। সুতরাং, আল্লাহ আমাদেরকে যা দ্বারা সম্মানিত করেছেন, আমরা যদি সেই ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য কোথাও সম্মান খুঁজি, তাহলে আল্লাহ পুনরায় আমাদেরকে অপমানিত করবেন।
(ঘ) বর্তমান সময়ে মুসলিম উম্মাহর দুর্দশা নিয়ে শায়খ ফাউজানের গুরুত্বপূর্ণ ফতোয়া
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/photos/a.130928300273259.14132.125167817515974/1473524002680342/?type=3
.
(২) খিলাফাহ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হলে কিভাবে সম্ভব? নাকি খিলাফাহ কায়েম করতে মুসলিমদের চিন্তা ভাবনা করা জরুরী নয়? যদি জরুরী হয় শুরু কিভাবে করা উচিত?
(ক) খিলাফাহ কি? আমিরুল মুমিনিন কে?
মুসলমানদের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী নেতা হচ্ছেন খলিফাহ, যার অর্থ হচ্ছে প্রতিনিধি। খলিফার দায়িত্ব হচ্ছেঃ আল্লাহর রাসুল আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবর্তমানে তাঁর প্রতিনিধি হয়ে কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী মুসলমানদের কাজগুলো পরিচালনা করা ও কেন্দ্রীয়ভাবে তাদের নেতৃত্ব দেওয়া। মুসলমানদের বৈধ খলিফার একটি উপাধি হচ্ছে আমিরুল মুমিনিন, যার অর্থ হচ্ছে বিশ্বাসীদের আমির বা নেতা। উল্লেখ্য, ইসলামের আদর্শ খলিফাহর সময়কাল মাত্র ৩০ বছর স্থায়ী ছিলো। একথা স্বয়ং রাসুলু্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে বলে গেছেনঃ আমার উম্মতের মধ্যে খিলাফাহ ৩০ বছর পর্যন্ত জারী থাকবে, অতঃপর হবে রাজতন্ত্র। মুসনাদে আহমাদ, শায়খ আরনাউত হাদিসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।
(খ) খিলাফাহ পুনরায় ফিরিয়ে আনতে হলে কিভাবে সম্ভব?
- এক আল্লাহর ইবাদত ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুন্নাহর অনুসরণের মাধ্যমে।
আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্তির প্রকৃত কারণসমূহঃ

https://www.facebook.com/dawati.kaj/posts/1767218066883684:0