তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে অন্তর শীতলকারী সুন্দর ও শিক্ষণীয় কিছু কথা
রাসুল সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম
এর হাদীসে উল্লেখ আছে, আল্লাহ্ কাউকে সৃষ্টির প্রথম দিকেই ফেরেশতা পাঠিয়ে তার
জন্যে চারটি বিষয় ফয়সালা করেন; তার হায়াত (জীবন), আমল (কাজ), রিজিক, সুখ অথবা
অশান্তি। হ্যা, আল্লাহর ফয়সালা করা মানেই এই নয় যে, আল্লাহর বিশেষ ইচ্ছায় তা
বদলাতে পারবেন না। আর রিজিক, হায়াত ও কাজ নির্ধারণ করে থাকলেও বন্দা রিজিক না
খুঁজলে হেঁটে আসবেনা, কাজ না করলে হয়ে যাবেনা, গলায় ছুড়ি বসিয়ে দিলে, অথবা আগুনে
ঝাপ দিলে হায়াত পূর্ণ হবেনা। সুতরাং, আল্লাহর ফয়সালা মানে এই নয় যে, বান্দাকে
কিছুই করতে হবেনা। আবার এও নয় যে, কেউ ইচ্ছা করলেই ঐ ফয়সালার বাইরে যেতে পারবে। হ্যা,
যদি আল্লাহ বিশেষ ইচ্ছায় অন্যথা ঘটাতে চান, তাহলে বান্দাহ পারে। এবং এমন করেও
থাকেন। এমন কি বান্দা চেষ্টা করলে আর আল্লাহর ইচ্ছা হলে, তার জন্যে পূর্বে যে
ফয়সালা নির্ধারিত ছিল, তাও বদলে যেতে পারে। আল্লাহ তাআ’লা বলেছেন, “ইয়ামহুল্লাহু মা ইয়া শা’আ অয়া ইয়ুসবিত”। অর্থাৎ, তিনি যা চান মুছে দেন, আর যা চান তা যেমন
ছিল তেমনি রাখেন।
তাকদীর না থাকলে
অযোগ্য ও অপদার্থরা ধনবান হত না, নিরীহ প্রাণী
খেতে পেতনা, অযোগ্যরা ক্ষমতায় বসতনা। চালাকরাই শুধু সব নিয়ে
নিত, শিক্ষিতরাই টাকা পয়সার মালিক হত। আবার অনেক
যোগ্য হয়েও অনেকের পেটের ভাত জোগাড়
হয়না, এমনটা কখনো হতনা। সুতরাং,
আল্লাহ সব কিছুর সীমানা নির্ধারণ করেছেন তাকদীরের মাধ্যমে বলেই
সকলের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে এক অদৃশ্য উপায়ে। তাকদীরে বিশ্বাস না করলে যে কোন সময়
আত্মহত্যা করার সম্ভাবনা রয়েছে।