Ijharul islam
al-kawsary - এই নামে এক "দেওবন্দী" অনলাইনে লিখালিখি করে।
____________________________
Ijharul islam
al-kawsary তার এক পোস্টে লিখেছেঃ "হুলুলিয়া আকিদার প্রথম ফেরকা বিশ্বাস করে আল্লাহ
তায়ালা সৃষ্টির প্রত্যেক অণুতে বিন্দুতে আছেন। সব সৃষ্টির মাঝেই আল্লাহ আছেন...যারাই
বিশ্বাস করে যে আল্লাহ তায়ালা সত্ত্বাগতভাবে মাখলুকের মাঝে প্রবেশ করেন, তারাই হুলুলের
আকিদায় বিশ্বাসী।"
.
Ijharul islam
al-kawsary এর কথা অনুযায়ী দেওবন্দীদের মাঝে ‘হুলুল’ এর আকিদার প্রমানঃ
প্রশ্ন করা হয়েছিল
-
১. আল্লাহ কি সবজায়গায়
বিরাজমান?
২. আল্লাহ কি একই সাথে
সবজায়গায় বিরাজমান?
৩. আল্লাহ কি সবকিছুর
‘ভিতরে’ আছেন?
হিন্দুস্থানের দেওবন্দী
আলেমদের ফাতাওয়াঃ
১. জি, হ্যা। আল্লাহ
তাআলা সব জায়গায় আছেন।
২. জি হ্যা। একই সময়ে
তিনি সর্বত্র বিরাজমান।
৩. সকল বস্তুর মাঝেই
আল্লাহ তাআ’লা রয়েছেন।
এ সবগুলো বিষয় কুরআনের
আয়াত দ্বারা সাব্যস্ত।
[সূত্রঃ দারুল উলুম
দেওবন্দ, উর্দু ফাতাওয়া নং- ৩২৬৪২]
.
শিরকি ফতোয়ার লিংক
-
http://darulifta-deoband.org/showuserview.do?function=answerView&all=ur&id=32642&limit=1&idxpg=0&qry=%3Cc%3EFAB%3C%2Fc%3E%3Cs%3EISB%3C%2Fs%3E%3Cl%3Eur%3C%2Fl%3E
____________________________
Ijharul islam
al-kawsary লিখেছেঃ "হুলুলিয়া আকিদার দ্বিতীয় ফেরকার বিশ্বাস হলো আল্লাহ তায়ালা
আসমানে রয়েছেন। কেউ কেউ বিশ্বাস করে আল্লাহ তায়ালা মেঘের উপরে রয়েছেন। কেউ কেউ আল্লাহ
তায়ালাকে সুনির্দিষ্ট দিকে সীমাবদ্ধ মনে করে থাকে যেমন আল্লাহ তায়ালা উপরের দিকে রয়েছেন।
যারা আল্লাহ তায়ালাকে একটি দিকে রয়েছেন বলে বিশ্বাস করে তারাও মূলত: হুলুলের আকিদায়
বিশ্বাস রাখে।"
- তাহলে রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম কি হুলুলিয়া আকিদা
রাখতেন নাকি? নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক। বিস্তারিত এই পোস্টে দেখুন -
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/posts/1453600488006027:0?__mref=message_bubble
.
ইজহারীর যা বলেছে (হুলুলিয়া
আকিদার দ্বিতীয় ফেরকার বিশ্বাস হলো আল্লাহ তায়ালা আসমানে রয়েছেন), এই কথা আমাদের পূর্ববর্তী
কোন আলেম বলেছেন কি?
বরং পূর্ববর্তী আলেমদের
ফতোয়াতে পাওয়া যাচ্ছে -
ইমাম ইবনে খুযাইমা
(মৃত্যুঃ ৩১১ হিজরী) রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি স্বীকার করে না যে, আল্লাহ তাআ’লা সাত আকাশের উপরে স্বীয় আরশে সমুন্নত, সৃষ্টি জগত হতে সম্পূর্ণ
আলাদা, সে ব্যক্তি কাফের। তাকে তওবা করার নির্দেশ দিতে হবে। সে যদি তওবা না করে, তাহলে
তাকে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। অতঃপর তার লাশ ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করতে হবে, যাতে করে কিবলা
ওয়ালা মুসলমানগণ এবং জিজিয়া (কর) প্রদানকারী অমুসলিমগণ তার দুর্গন্ধে কষ্ট না পায়।” ইমাম আয-যাহাবী রাহিমাহুল্লাহ প্রণীত
মুখতাছার উলু দ্রষ্টব্য।
____________________________
ইমাম ইবনে খুযাইমা রাহিমাহুল্লাহ
কি হুলুলিয়া আকিদা রাখতেন নাকি?
একারণেই ভাবতে খুব অবাক
লাগে না Ijharul islam al-kawsary দেওবন্দীর ধর্মগুরু, জাহমী আকিদার অনুসারী যাহেদ
আল-কাউসারী কেনো ইমাম ইবনে খুযাইমা এবং অন্যান্য আলেমদেরকে গালি-গালাজ করতো। উল্লেখ্য,
ইযহারের নামের সাথে কাউসারী মূলত তার ধর্মগুরু যাহেদ কাউসারীর নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছে।
____________________________
উলামাদের দৃষ্টিতে আবু
গুদ্দাহ এবং তার উস্তাদ যাহেদ আল-কাউসারিঃ
আব্দুল ফাত্তাহ আবু
গুদ্দাহ যাহেদ আল-কাউসারি এবং হাসান আল-বান্নার মতো ব্যক্তিদের ছাত্র ছিলেন। জাহমিয়া
আক্বিদাহর লোক যাহেদ আল-কাউসারি ইবনে তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়্যিম এত মতো যুগশ্রেষ্ঠ আলেমদেরকে
মালাউন, ষাড় বা এর চাইতে নিকৃষ্ট ভাষায় গালি-গালাজ করেছিলো, আল্লাহু মুস্তায়ান! আবু
গুদ্দা তার জাহমিয়া গুরুর মানহাজের উপরেই ছিলেন, যে কারণে ওলামারা জাহেদ আল-কাউসারীর
পাশাপাশি তার ছাত্র আবু গুদ্দাহর ব্যপারেও উম্মতকে সতর্ক করেছেন। হাসান আল-বান্নার
প্রতিষ্ঠিত সালাফী-সূফী(!) মানহাজের উপর প্রতিষ্ঠিত ইখওয়ানুল মুসলিমিনে আবু গুদ্দাহ
দীর্ঘদিন বড় পজিশানে আসীন ছিলেন। যাহেদ আল-কাউসারি এবং হাসান আল-বান্না - এই দুইজনই
বিংশ শতাব্দীতে সালাফী আক্বীদাহ এবং মানহাজের বিরোধীতাকারীদের মাঝে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্ব
ছিলেন।
__________________________
যাহেদ আল-কাউসারিকে
শায়খ বিন বাজ (রাহিমাহুলাহ) ‘অপরাধী’ ও ‘পাপী’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। উম্মুল কুরার একজন প্রভাবশালী সূফী প্রফেসর ততকালীন
বাদশাহর কাছ থেকে অনুমতি এনে তাদেরকে (কাউসারী ও আবু গুদ্দাকে) শিক্ষকতা করার সুযোগ
করে দিয়েছিলেন। তাই তাদেরকে কেউ কিছু করতে পারেনি।
সাউদী আরবের কিবারুল
উলামার সদস্য, শায়খ বাকর বিন আবু যাইদ (রাহিমাহুল্লাহ) তার এক বইয়ে তাদের মানহাজ উন্মোচন
করেছিলেন। শায়খ বিন বাজ (রাহিমাহুল্লাহ) অনেক খুশি হয়ে বাকর বিন আবু যাইদ এর প্রশংসা
করেন ও ধন্যবাদ দিয়ে একটি পত্র লিখে পাঠান।
শায়খ বিন বাজ (রাহিমাহুলাহ)
পত্রে লিখেন যে, “কাউসারি ঈমানদার পরহেজগার ব্যক্তি ও উলামাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করেছেন। আমরা
তার ছাত্র আবু গুদ্দাকে তার উস্তাদের এই সব ব্যপার হতে তওবা করে দূরে সরে আসার জন্যে
বারবার বিশেষভাবে আহবান জানাই, কিন্ত সে তা মেনে নেয়নি। বরং, সে তার উস্তাদের মানহাজের
উপর অটল রয়েছে। আল্লাহ তাকে হেদায়েত করুন এবং তার অনিষ্ট হতে মুসলিমদের হেফাজত করুন।”
__________________________
ফুযাইল ইবনে আইয়ায রাহিমাহুল্লাহ
বলেন, “তুমি কোন আহলুল বিদআ’হর লোকের সাথে বসবেনা। আমি ভয় করি
যে, তুমি যদি কোন বিদআ’তির সাথে বসো, তাহলে আল্লাহর অভিশাপ তোমার উপরেও আসবে।”
[ইমাম আল-বারবাহারী,
শরাহুস সুন্নাহ]
ইমাম সুফিয়ান আস-সাউরি
রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি একজন বিদআ’তির কথা শ্রবণ করে, সে আল্লাহর হেফাজত থেকে নিজেকে বের করে নিলো, এবং তাকে তার
উপরেই ছেড়ে দেওয়া হবে।”
[ইমাম আল-বারবাহারী,
শরাহুস সুন্নাহ]
__________________________
আরো কিছু দেওবন্দী দাবী
করছে, আহলে হাদীস শায়খরা অন্যায়ভাবে দেওবন্দী আলেমরা ওহদাতুল ওজুদ আকিদা রাখে দাবী
করছে, কিন্তু আসলে দেওবন্দী আলেমরা ওহদাতুল ওজুদ আকিদা রাখে না।
- যে ব্যক্তি দাবী করবে
যে, দেওবন্দী ওহদাতুল ওজুদের আকিদাহ রাখেনা সে মিথ্যুক।
দেওবন্দী আলেমদের মুর্শিদ,
আশরাফ আলি থানভী, রশিদ আহমেদ গাংগোহীদের পীর ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কি তার ‘জিয়াউল কুলুব’ বইয়ে লিখেছেঃ “তাওহিদের জাতি হচ্ছে এই যে, বিশ্ব
জগতের সব কিছুকে আল্লাহ বলে ধারণা করা।” [নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক] যিয়াউল কুলুবঃ উর্দু ৩৫ পৃঃ।
মূল উর্দু বইয়ের স্ক্রীনশট
সহ অনেক উদাহরণ দেওয়া আছে -
http://umm-ul-qura.org/2015/08/25/the-creed-of-the-deobandi-elders/
অলিপুরী কোন তরীকার
হাক্কানী পীর?
https://www.facebook.com/Back.to.Allah.bangla/videos/440996075996681/?__mref=message_bubble
____________________________