সারা বছর ধরে লায়লাতুল
ক্বদরের সমান সওয়াব পাওয়ার জন্য সহজ আমলঃ
আ’ব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু
আ’নহু বলেছেন, “যে ব্যক্তি ইশার পরে চার রাকাত সালাত
আদায় করে, এটা তার জন্য লায়লাতুল ক্বদরে চার রাকাত সালাত আদায় করার মতোই।” মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহঃ ২/৩৪২।
আ’য়িশাহ রাদিয়াল্লাহু আ’নহা বলেছেন, “ইশার পরে চার রাকাত সালাত লায়লাতুল
ক্বদরে চার রাকাত সালাত আদায় করার মতোই।” মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বাহঃ ২/৩৪২।
শায়খ মুহাম্মদ নাসির
উদ্দিন আলবানী রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন, “ইশার পরে এই চার রাকাত সালাত আদায় করার ফযীলত কয়েকজন সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে।
এই সবগুলো বর্ণনার মাঝে আ’য়িশাহ, আ’ব্দুল্লাহ ইবনে মাসউ’দ, আব্দুর রাহ’মান ইবনে আল-আসওয়াদ, মুহজাহিদ, (আল্লাহ তাদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন) – এই সাহাবীদের থেকে বর্ণিত হাদীসগুলো
সহীহ। যদিও এই হাদীসগুলো সাহাবীদের কথা হিসেবে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু এই হাদীসগুলো রাসুলুলাহ
সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কথার সমান মর্যাদা বহন করে। কারণ ইবাদতের ক্ষেত্রে এমন
কথা রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কাছ থেকে শোনা ছাড়া কোন সাহাবী বলতে পারেন না। আর এই ফযীলতের
কথা কয়েকজন সাহাবী বর্ণনা করেছেন। একারণে, যদিও হাদীসগুলো সাহাবীদের কথা হিসেবে বর্ণিত
হয়েছে, কিন্তু এই হাদীসের মর্যাদা রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের কথার সমপর্যায়ের
বলে গণ্য হবে।” সিলসিলাহ জয়ীফাহঃ ৫০৬০।
লায়লাতুল ক্বদরের সমান
সওয়াব পাওয়ার জন্য ইশার পরে চার রাকাত সালাত আদায় করার নিয়মঃ
ইশার সালাত আদায়ের পরে
চার রাকাত নফল সালাত আদায়ের নিয়তে এক সালামে চার রাকাত সালাত আদায় করতে হবে। মুসান্নাফ
ইবনে আবি শায়বাহঃ ২/৩৪২।
এই চার রাকাত যোহরের
পূর্বের চার রাকাত সুন্নত সালাতের মতোই স্বাভাবিক নিয়মে, যেকোন সুরা দিয়ে আদায় করা
যাবে।
টিপসঃ যাদের জন্য অধিক
সালাত আদায় করা কষ্টকরা হয়ে যায়, তারা বিতির সালাত তিন রাকাত না পড়ে এক রাকাত পড়বেন।
প্রথমে উক্ত চার রাকাত নফল সালাত পড়বেন, তারপর এক রাকাত বিতির পড়বেন। এইভাবে আপনি তিন
রাকাত বিতিরের পরিবর্তে ৪+১=৫ রাকাত সালাত পড়ে ক্বদরের রাতে চার রাকাত সালাত আদায় করার
সমান সওয়াব পাবেন + বিতিরের সওয়াবও পেয়ে যাবেন। তবে কেউ যদি চার রাকাত পড়ে বিতির তিন
রাকাত পড়ে, সেটার সওয়াব বেশি ও উত্তম হবে।
কৃতজ্ঞতাঃ
রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি মানুষের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করে না, সে আল্লাহর শোকরগুজারিও আদায় করে না।” জামে তিরমিজী।
এই পোস্টের জন্য আমি
বিশেষভাবে আমাদের এক ভাই আবুল আলিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞ, আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান
করুন, আমিন। আপনারা যারা ইংরেজী ভাষায় দ্বীন চর্চা করেন, আমি তাদেরকে বলবোঃ আপনারা
অল্প ইলম সম্পন্ন কিংবা বিভ্রান্ত সেলেব্রিটি বক্তা ও লিখকদের কথা শুনে নিজেদের দ্বীনের
ক্ষতি করবেন না। বরং, আলেমদের কাছ থেকে দ্বীন শিখেছেন, এমন নির্ভরযোগ্য তালিবুল ইলমদের
কাছ থেকে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করুন। আবুল আলিয়ার ব্লগের লিংক -
http://www.abuaaliyah.com/