বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৫

"হায়া" বা লজ্জা-শরমের সাথে ঈমানের সম্পর্ক রয়েছে

"হায়া" বা লজ্জা-শরমের সাথে ঈমানের সম্পর্ক রয়েছে।
আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "ঈমানের ৭০টির বেশি শাখা রয়েছে। এর মাঝে সর্বোচ্চ শাখা হচ্ছেঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ - এই সাক্ষ্য দেওয়া এবং, সর্বনিন্ম শাখা হচ্ছে রাস্তা থেকে মানুষের জন্যে কষ্টদায়ক জিনিস সরিয়ে দেওয়া। আর লজ্জা হচ্ছে ঈমানের বিশেষ একটি শাখা।"
বুখারী ও মুসলিম, ঈমান অধ্যায়।
একটা ছেলে দাড়ি চাছতে লজ্জা বোধ করেনা, টাখনুর নিচে প্যান্ট পড়তে আল্লাহকে ভয় করেনা, অবৈধ প্রেমিকার সাথে কথা বলতে, তার গায়ে হাত দিতে লজ্জজাবোধ করেনা....এমন ছেলের ঈমানের তেজ কতটুকু বাকি থাকে সেটা বুঝতে মোটেও কষ্ট হয়না। 
একটা মেয়ে বোরখা না পড়ে খোলামেলা চলতে লজ্জাবোধ করেনা, বেনামাযী হয়ে থাকতে আল্লাহকে ভয় করেনা, উলংগ-বেহায়াপনার নাটক-সিনেমা দেখতে লজ্জা বোধ করেনা, এমন মেয়ের অন্তরে ঈমানের আলো কতটুকু বাকি থাকতে পারে? 
এ জন্যেই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যখন তোমার লজ্জা না থাকে, তখন যা ইচ্ছা তাই করো।"
নারী-পুরুষ্ ফ্রী-মিক্সিং বা কথা বলা, সেটা বাস্তবে হোক কিংবা মোবাইল বা ফেইসবুকে, গায়ের মাহরামদের দিকে দৃষ্টিপাত করা, অশ্লীল কথা বলা, শোনা বা পড়া, অশ্লীল ছবি দেখা মানুষের লজ্জা-শরমকে নষ্ট করে দেয়।
ইমাম বুখারী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, "রাসুল (সাঃ) কুমারী বা অবিবাহিত পর্দানশীল মেয়েদের চাইতে বেশি লজ্জাশীল ছিলেন।"
সুবহা'নাল্লাহ! 
সেই তুলনায় বর্তমান যুগের একশ্রেণীর নারী-পুরুষের লজ্জা-শরম "হাইওয়ান" বা জন্তু-জানোয়ারের মতো হয়ে গেছে। আগামী দিনে এরা বা এদের ছেলে-মেয়েরাই গাধার মতো প্রকাশ্যে জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত থাকবে।