“সুন্নাহ” –নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবন আদর্শকে সুন্নাহ
বলা হয়। সুন্নাহ জানা যায় ‘সহীহ’ এবং ‘হাসান’ পর্যায়ের হাদীস সমূহ থেকে। হাদীস হচ্ছে
সুন্নাহর দলিল বা সুন্নাহর লিখিত ফর্ম।
ক্বিয়ামত যত কাছে আসবে, সুন্নাহর উপর টিকে
থাকা তত কঠিন হবে। এ কারণে যারা সুন্নাহ মানা কঠিন হওয়া সত্ত্বেও তার অনুসরণ করবে,
তারা প্রতিদানে বেশি সওয়াব পাবে।
১. আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু
আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“তোমরা সৎ কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করতে
থাক। অবশেষে যখন দেখবে যে,
সর্বত্র মানুষ দুনিয়াবী লোভ-লালসার দাস হয়ে গেছে, সবাই নিজের প্রবৃত্তির খেয়াল-খুশি অনুযায়ী চলছে, দুনিয়াবি
স্বার্থকেই সর্বত্র প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে এবং প্রত্যেকেই তার নিজের মতকে
সর্বোত্তম বলে বিশ্বাস করছে, তখন তুমি নিজের ব্যক্তিগত
দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত হবে এবং সাধারণ মানুষের বিষয় ছেড়ে দেবে। কারণ, তোমাদের সামনে
রয়েছে এমন কঠিন সময়, যখন ধৈর্য্য ধারণ করা একটা আগুনের
অঙ্গার মুঠি করে ধরে রাখার মতো কষ্টদায়ক হবে। সে সময় যারা নেক আমল করবে, তাদের
একজন তোমাদের (সাহাবাদের) মত যারা আমল করে তাদের ৫০ জনের সমান পুরষ্কার লাভ করবে।” সাহাবীগণ বললেন, “হে রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম!, তাদের মধ্যকার ৫০ জনের সমান
সাওয়াব?” তিনি
সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম বললেন,
“না, বরং তাদেরে একজন তোমাদের
(সাহাবাদের) মধ্যকার ৫০ জনের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।”
সুনানে আবু দাউদ, সুনানে তিরমিজি, সুনানে ইবনু মাজাহ, সহীহ ইবনু হিব্বান, মুসতাদরাক হাকিম। হাদীসটি সহীহ।
২. ইমাম মালেক রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“সুন্নাহ হচ্ছে নূহ আ’লাইহিস সালাম এর নৌকার মতো। যে ব্যক্তি তাতে
আরোহণ করবে, সে
নাজাত পাবে। আর যে ব্যক্তি তা অস্বীকার করবে, সে ধ্বংস হবে।”
৩. ইমাম আল-বারবাহারী রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“জেনে রাখ ইসলাম হচ্ছে সুন্নাহ, আর সুন্নাহ হচ্ছে ইসলাম।”
শারাহুস-সুন্নাহ।
৪. ইমাম ইয়াহইয়া ইবনে মাঈ’ন রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
“সুন্নাহকে রক্ষা করা, অস্ত্র দিয়ে জিহাদ করার
চাইতে উত্তম।”
সিয়ার
আলাম আন-নুবালাঃ ১০/৫১৮।