মুসলিমদের মাঝে ফাসেক্বী বা পাপাচার, আল্লাহর অবাধ্যতা ও দ্বীনের মাঝে পথভ্রষ্টতা পূর্বের চাইতে অনেক বেড়ে গেছে। পাপ কাজের প্রবণতা ও ব্যপকতা অনেক বেড়ে গেছে এবং পাপ কাজ করাও আগের চাইতে অনেক সহজ হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় একদল দ্বীনকে আঁকড়ে ধরবে যতই কষ্ট হোক না কেনো, আরেকদল পরকাল বিসর্জন দিয়ে দুনিয়ার সাময়িক ভোগ-বিলাসের জন্যে ব্যস্ত থাকবে। অধিকাংশ পথভ্রষ্ট মানুষের মাঝে অল্প সংখ্যক লোক যারা হেদায়েতের অনুসারী হবে এবং অন্যদেরকে সংশোধনের জন্যে চেষ্টা করবে ও দাওয়াত দিবে, তারাই হচ্ছে গুরাবা, আর তাদের জন্যেই রয়েছে সুসংবাদ। আসুন পরকালের জীবনে সুসংবাদ রয়েছে এমন ৭ প্রকার মানুষের পরিচয় জেনে নেই।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
“আল্লাহ তাআ’লা সাত শ্রেণীর মানুষকে সেদিন (অর্থাৎ হাশরের দিন) তাঁর আরশের নিচে ছায়া দান করবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না। আল্লাহ তাআ’লার আরশের নিচে স্থান পাবেন এমন ব্যক্তিরা হচ্ছেঃ
১. ন্যায়পরায়ণ বাদশা বা রাষ্ট্রনেতা।
২. ঐ যুবক, যে তার যৌবনকাল আল্লাহর ইবাদতে ব্যয় করেছে।
৩. ঐ ব্যক্তি, যার অন্তর মসজিদের সঙ্গে ঝুলানো থাকে (অর্থাৎ মসজিদের প্রতি তাঁর মন সদা আকৃষ্ট থাকে)।
৪. ঐ দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা স্থাপন করে; এই ভালোবাসার কারণে তারা মিলিত হয় এবং এই ভালোবাসা নিয়েই তারা বিচ্ছিন্ন হয়।
৫. ঐ ব্যক্তি যাকে কোনো উচ্চবংশীয় সুন্দরী নারী (অবৈধ যৌন মিলনের জন্যে) আহবান করে, কিন্তু সে বলে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি’।
৬. ঐ ব্যক্তি যে গোপনে দান করে, এমনকি তার ডান হাত যা দান করে তার বাম হাত পর্যন্ত সেটা জানতে পারে না। (অর্থাৎ সে ইখলাসের সাথে শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্যে গোপনে দান-সাদাকা করে থাকে)।
৭. ঐ ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে; ফলে তার দুই চোখে পানি বয়ে যায়।
[সহীহ বুখারীঃ ৬২৯, সহীহ মুসলিমঃ ১০৩১]
আল্লাহ তাআ'লা তাঁর অসীম রহমতকে উসীলা করে আমাদেরকে ও আমাদের পরিবারের সকলকে সেই কঠিন দিনে তাঁর সম্মানিত আরশের ছায়ায় স্থান দিয়ে ধন্য করুন, আমিন।