জীবন থেকে নেওয়া (পর্ব-৫)
(১) আমরা সবাই এই পৃথিবীতে সামান্য কয়দিনের জন্যে
অতিথি মাত্র। আমাদের মাঝে হয়তোবা কারো আপনজন আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রকালের জীবনে
পাড়ি জমিয়েছে। যতই মনে পড়ুক, আর কোন দিন তাদের সাথে কথা হবেনা...কোনদিন জিজ্ঞেস করবেনা,
কেমন আছো? মৃত্যুর পর সবাই গুরুতর বিপদ (জাহান্নাম) থেকে নিজের মুক্তির জন্যেই দিশেহারা
হয়ে থাকবে, তাদের সাথে দেখা করার কথা চিন্তা করার মতো অবসরটুকু হয়তোবা তখন মিলবেনা।
আবার কিছু মানুষ আপনজন ছিলো, বেঁচেও হয়তোবা আছে, নানা কারণে তবুও তাদের সাথে আর কোনদিন
কথা হবেনা। আমরা নিজেরাই হয়তোবা সেটা কখনো আশা করিনা।
(২) অতীতে মনে হতো, কবে বড় হবো তাহলে ছোটবেলার
অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। আর বড় হওয়ার পর মনে হয়, ছোটবেলায়ই তো কতো ভালো ছিলো! আমরা
প্রায়ই ভুলে যাই, জীবন মানে দ্রুত গতিতে মৃত্যুর দিকে ছুটে চলা। এরপর আল্লাহ প্রত্যেকের
হিসাব নেবেন, আমরা কে কি করেছি।
(৩) ছোট্ট এই জীবনটা কেটে যাবে, কোন না কোন একভাবে।
সেটার জন্যে খারাপ লাগেনা। আফসোস হয় এটা ভেবে, কিছু মানুষের জীবন থাকে সাজানো-গোছানো,
কোথাও কোন দাগ নেই। ইলম ও তাক্বওয়া দ্বারা পরিচালিত নেক আমলে পূর্ণ জীবন, এক কথায় মুবারকমময়
জীবন। আর কিছু মানুষের জীবন হচ্ছে নিয়ামতের সমুদ্রে ডুবে থাকা সত্ত্বেও আল্লাহর আব্ধ্যতায়
পূর্ণ, ভুলে ভরা জীবন। এমনই অভিশপ্ত এক জীবন যে, তাদের শুভাকাংখীদের উপদেশ তার কোন
কাজে আসেনা। একমাত্র আল্লাহর রহমত ছাড়া তাদের ধ্বংস হওয়া থেকে বাঁচার কোন পথ নেই। এই
অভিশাপটা তখন আরো বেশি বিষাক্ত মনে হয়, যখন সে তা বুঝতে পারে কিন্তু সেখান থেকে বেড়িয়ে
আসতে পারেনা।
(৪) “ওপারেতে সব সুখ আমার বিশ্বাস।”
মুসলিমদের জন্যে পরকালের জীবনটাই হচ্ছে আসল জীবন।
দুনিয়ার জীবন! এতো এক পরীক্ষার নাম। আল্লাহ যেনো আমাদের ভুল-ত্রুটিকে গোপন করেন ও ক্ষমা
করেন। আর আমাদেরকে সেই মহা পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার তোওফিক দান করেন। (আমিন)।