রমযান উপলক্ষে দুয়াগুলোঃ
নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দুয়াঃ
اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيمَانِ، وَالسَّلاَمَةِ وَالْإِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللَّهُ
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু আ’লাইনা বিলআমনি ওয়াল
ঈমানি ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা,
রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ।
“আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত
করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন
এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার
(চাঁদের) রব্ব।”
_________________________________
ইফতারের সময় রোযাদারের দুয়াঃ
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ العُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
যাহাবায-যামাউ ওয়াবতাল্লাতিল উ’রূকু ওয়া সাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লা-হু।
“পিপাসা দূরীভূত হয়েছে, ধমনীগুলো সিক্ত হয়েছে এবং সওয়াব প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে ইন শা’ আল্লাহ।”
আবূ দাউদ ২/৩০৬, নং ২৩৫৯ ও অন্যান্য। আরও দেখুন, সহীহুল জামে’
৪/২০৯।
__________________________________
ইফতারির সময় দুয়া কবুল করা হয়ঃ
সহীহ ইবনে খুযাইমা ও ইবনে হিব্বান গ্রন্থে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহ
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
“তিন ব্যক্তির দো‘আ ফেরত দেওয়া হয় না।
১. রোযাদার ব্যক্তি ইফতার করা পর্যন্ত,
২. ন্যায়পরায়ণ ইমাম বা রাষ্ট্রপতি,
৩. মযলুম ব্যক্তির দো‘আ।
তার দো‘আ আল্লাহ আকাশে মেঘমালার উপরে তুলে নেন এবং এর জন্য আকাশের
দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং মহান রব বলেন, আমার ইয্যত ও মাহাত্ম্যের কসম করে বলছি,
অবশ্যই আমি তোমাকে সাহায্য করবো, কিছু সময় পর হলেও।”
মুসনাদে আহমাদঃ ২/৩০৫; তিরমিযীঃ ৩৫৯৮; হাদীসটি হাসান সহীহ।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
“রোযাদার ব্যক্তির ইফতারির সময় দুয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয়না।”
ইবনে মাজাহ, হাদীসটি সহীহ।
দুয়া কখন করতে হবে?
"ইফতার করার আগে বা পরে দুই সময়েই দুয়া করা যায়, কারণ
হাদীসে বলা হয়েছে ইফতার এর সময় দুয়া, যা ইফতার করার আগে ও পরে উভয় সময়কেই বুঝায়।"
- ফাতওয়া আল-লাজনা আদ-দাইয়িমা।
কমিটির সদস্যবৃন্দঃ
- শায়খ বাকর আবু জায়েদ
- শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে গুদাইয়্যান
- শায়খ সালেহ আল-ফাওজান
- শায়খ আব্দুল আজিজ আহলুশ শায়খ
___________________________________
রোযাদারকে কেউ গালি দিলে যা বলবেঃ
إِنِّي صَائِمٌ، إِنِّي صَائِمٌ
ইন্নি সা‘ইমুন, ইন্নি সা’ইমুন)
“নিশ্চয় আমি রোযাদার, নিশ্চয় আমি রোযাদার।”
বুখারী, (ফাতহুল বারীসহ) ৪/১০৩, নং ১৮৯৪; মুসলিম, ২/৮০৬, নং
১১৫১।
_______________________________
রোযার নিয়ত কিভাবে করতে হবে?
রমযান মাসে রোযা থাকা ফরয। রাতের বেলা আপনার যদি নিয়ত থাকে
আগামী কাল আপনি রোযা থাকবেন, অথবা সাহরীর সময় উঠে খাওয়া দাওয়া করেন এবং মনে মনে চিন্তা
করেন আগামী কাল রোযা থাকার, তাহলেই আপনার নিয়ত করা হয়ে যাবে।
সাহরী ও ইফতারির ক্যালেন্ডার বা বিভিন্ন বই-পুস্তকে যে দুয়া
“নাওয়াইতুয়ান আসামু গাদামান...” এইরকম দুয়া কুরআন হাদীসের কোথাও নাই, রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) এইভাবে এই দুয়া পড়ে নিয়ত করতেন না। এটা আমাদের দেশীয় মাওলানা সাহেবরা বানিয়ে
নিয়েছে যা একটা বিদআ’ত। আর বিদআ’ত মানেই হলো পরিত্যাজ্য।
রমযান মাসের শুরুতে যদি নিয়ত করেন - ইন শা আল্লাহ আমি এই বছর
সিয়াম পালন করবো - তাহলে সবগুলো রোযার নিয়ত করা হয়ে যাবে।
আর রমযানের বাইরে, আপনি যখন অন্য নফল, সুন্নত অথবা কাযা রোযা
রাখবেন তখন আপনি রাতের বেলা বা ঘুম থেকে উঠে সাহরী খাওয়ার পরে মনে মনে ঠিক করে নেবেন
– আমি আগামী কাল অমুক রোযা (বৃহস্পতিবারের সুন্নত রোযা/বিগত রমযানের অমুক কাযা রোযা/আরাফার
সুন্নত রোযা) রাখবো।
উল্লেখ্যঃ নফল/সুন্নত রোযার জন্য কেউ যদি আগে থেকে নিয়ত করে
না রাখেন, আর ঘুম থেকে উঠে ফযরের ওয়াক্ত হয়ে যাওয়ার পরেও রোযা থাকার নিয়ত করতে পারবে।
তবে যত সময় পরে করবেন – ঐ সময়টকুর জন্য নিয়ত না থাকায় ততটুকু অংশের সওয়াব মিস করবেন। আপনি এভাবেই নামায ও রোযার জন্য নিয়ত করবেন।