এক. রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মানত করতে নিষেধ করেছেন।
অতএব মানত করা ঠিক নয়।
আমরা অনেকে বিপদ-আপদে পড়ে মানত করি, আর মনে করি এটা সওয়াবের কাজ।
আল্লাহ খুশী হবেন।
কিন্তু আসলে তা সওয়াবের কাজ নয়।
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যা করতে নিষেধ করেছেন তাতে আল্লাহ খুশী হবেন না।
এবং এতে কোনো সওয়াবও হয় না।
তাই আমাদের উচিত হবে কোনো অবস্থায় মানত না করা।
অবশ্য মানত করে ফেললে তা পালন করতেই হবে কারণ মানত করলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়।
১. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সাঃ) আমাদের মানত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মানত কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। এটা শুধু কৃপণ ব্যক্তি থেকে মাল খসায়।
সহিহ মুসলিমঃ ৪৩২৭, মুসনাদে আহমাদ।
২. আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা মানত করবে না। কেননা মানত তাকদীরের কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। এটা শুধু কৃপণ ব্যক্তি থেকে সম্পদ খসায়।
সহিহ বুখারি, মুসলিমঃ ৪৩২৯, সহিহ সুনানে আত-তিরমিজি, সহিহ সুনানে নাসায়ি।
৩. সাহাবী আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সাঃ) বলেছেন, যেই বস্তু মহান আল্লাহ আদম সন্তানের জন্য নির্ধারণ করেননি মানত সেটি তার নিকটবর্তী করে না। বরং তাকদীরে যা আছে মানত সেটাই নিয়ে আসে। এর মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয় যা সে খরচ করতে চায়নি।
সহিহ মুসলিমঃ ৪৩৩১।
দুই. মানত করার মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। এ কথা বলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বুঝিয়েছেন, মানত করা একটি অনর্থক কাজ। সাধারণত কৃপণ স্বভাবের লোকেরা মানত করে থাকে। তারা সুস্থ ও নিরাপদ থাকা কালে দানসদকা করে না। কিন্তু বিপদে পড়লে আল্লাহর পথে খরচ বা দান সদকা করার বড় বড় মানত করে।
তিন. তাকদীরে যা লেখা আছে তা হবেই। মানত করার মাধ্যমে তাকদীরের লেখা পরিবর্তন করা যায় না। তাকদীরের প্রতি যাদের যথাযথ ঈমান নেই সাধারণত তারাই মানত করে থাকে।
চার. মানত করা হোক বা না হোক। ফলাফল একই হবে। তাকদীরে যা লেখা আছে সেটাই আসবে অবধারিতভাবে।
পাঁচ. আলোচিত সবগুলো হাদীসই মানত না করার জন্য মুসলিমদেরকে নিরোৎসাহিত ও নিষেধ করেছে। বলেছে, এটি কোনো ফল বয়ে আনে না বরং শুধু কৃপণের সম্পদ খরচ করায়।
এ সকল বিষয় জানার পর কোনো মুসলিমের পক্ষে কোনো প্রকার মানত করা উচিত নয় ।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, যে কাজটি করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন, আমরা সেটাকে সুন্নাত মনে করি।
বিঃদ্রঃ অনেক হুজুর মাওলানা বলে অমুক জায়গায় মানত করলে অমুক কাজটা হয়ে যাবে। এই ব্যক্তি হচ্ছে জাহেল, মূর্খ। এর কোনো কথা শোনা যাবেনা – এর কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।
আর মাজার বা পীরের নামে কোনো কিছু মানত করা শিরক। কারণ, এখানে আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে অলী আওলিয়াদের সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত থাকে । আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোনো ইবাদত করলে সেটা শিরক।
Source : IslamHouse.
১. আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সাঃ) আমাদের মানত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মানত কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। এটা শুধু কৃপণ ব্যক্তি থেকে মাল খসায়।
সহিহ মুসলিমঃ ৪৩২৭, মুসনাদে আহমাদ।
২. আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, তোমরা মানত করবে না। কেননা মানত তাকদীরের কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। এটা শুধু কৃপণ ব্যক্তি থেকে সম্পদ খসায়।
সহিহ বুখারি, মুসলিমঃ ৪৩২৯, সহিহ সুনানে আত-তিরমিজি, সহিহ সুনানে নাসায়ি।
৩. সাহাবী আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম (সাঃ) বলেছেন, যেই বস্তু মহান আল্লাহ আদম সন্তানের জন্য নির্ধারণ করেননি মানত সেটি তার নিকটবর্তী করে না। বরং তাকদীরে যা আছে মানত সেটাই নিয়ে আসে। এর মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয় যা সে খরচ করতে চায়নি।
সহিহ মুসলিমঃ ৪৩৩১।
দুই. মানত করার মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। এ কথা বলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বুঝিয়েছেন, মানত করা একটি অনর্থক কাজ। সাধারণত কৃপণ স্বভাবের লোকেরা মানত করে থাকে। তারা সুস্থ ও নিরাপদ থাকা কালে দানসদকা করে না। কিন্তু বিপদে পড়লে আল্লাহর পথে খরচ বা দান সদকা করার বড় বড় মানত করে।
তিন. তাকদীরে যা লেখা আছে তা হবেই। মানত করার মাধ্যমে তাকদীরের লেখা পরিবর্তন করা যায় না। তাকদীরের প্রতি যাদের যথাযথ ঈমান নেই সাধারণত তারাই মানত করে থাকে।
চার. মানত করা হোক বা না হোক। ফলাফল একই হবে। তাকদীরে যা লেখা আছে সেটাই আসবে অবধারিতভাবে।
পাঁচ. আলোচিত সবগুলো হাদীসই মানত না করার জন্য মুসলিমদেরকে নিরোৎসাহিত ও নিষেধ করেছে। বলেছে, এটি কোনো ফল বয়ে আনে না বরং শুধু কৃপণের সম্পদ খরচ করায়।
এ সকল বিষয় জানার পর কোনো মুসলিমের পক্ষে কোনো প্রকার মানত করা উচিত নয় ।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, যে কাজটি করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন, আমরা সেটাকে সুন্নাত মনে করি।
বিঃদ্রঃ অনেক হুজুর মাওলানা বলে অমুক জায়গায় মানত করলে অমুক কাজটা হয়ে যাবে। এই ব্যক্তি হচ্ছে জাহেল, মূর্খ। এর কোনো কথা শোনা যাবেনা – এর কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে।
আর মাজার বা পীরের নামে কোনো কিছু মানত করা শিরক। কারণ, এখানে আল্লাহর সন্তুষ্টির সাথে অলী আওলিয়াদের সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়ত থাকে । আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোনো ইবাদত করলে সেটা শিরক।
Source : IslamHouse.