#রিযক্বের ফয়সালা করেন আল্লাহ তায়া’লা, সেই ফয়সালা আল্লাহ বিশ্ব জাহান সৃষ্টির ৫০
হাজার বছর পূর্বেই লাওহে মাহফুজে লিখে রেখেছেন। আমরা আমাদের মায়ের পেটে থাকা অবস্থায়
১২০ দিন বয়সে ৪টা জিনিসের মধ্যে কে কতটুকু রিযক পাবো সেটাও আবার লিখে দেওয়া হয়েছে,
যা আল্লাহ আমাদের গলায় মালার মতো ঝুলিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ হচ্ছেন আর-রাযযাক্ব - রিজিকদাতা।
সুতরাং, রিযক্বের জন্যে দুঃশ্চিন্তা, পেরেশানি কিংবা হতাশা নয়, রিযক্বের জন্যে
১. আল্লাহর উপর ভরসা করুন।
২. আল্লাহর কাছে বেশি করে দুয়া করুন। বিশেষ করে
দুয়া কবুলের সময়গুলোতে, যেমন সালাতের সিজদাতে, বৈঠকে সালাম ফেরানোর পূর্বে, রাতের শেষ
তৃতীয়াংশে, আযান ও ইকামতের মাঝখানে ইত্যাদি সময়গুলোতে বেশি করে তোওবা-ঈস্তেগফার ও প্রয়োজনীয়
দুয়াগুলো বারবার করুন।
৩. রিযক্ব অন্বেষণের জন্যে নিজের জ্ঞান, বুদ্ধি,
ক্ষমতা দিয়ে বৈধ পন্থায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন।
৪. আল্লাহর কাছ থেকে উত্তম ফয়সালার জন্য আশা
রাখুন ও কঠিন সময়ে ধৈর্য ধরুন।
৫. প্রকাশ্য ও গোপনীয় যাবতীয় পাপ কাজ বর্জন করুন।
কারণ পাপ কাজের জন্যে বান্দা তার জন্যে নির্ধারিত রিযক্ব থেকে বঞ্চিত হয়।
৬. সালাত কায়েম করুন এবং পরিবারের লোকদেরকে সালাত
কায়েম করতে বলুন।
৭. আত্বীয়-স্বজনদের সাথে, বিশেষ করে মা-বাবার
সাথে ভালো ব্যবহার করুন।
৮. বেশি করে দুরুদ পড়ুন।
ওয়ামা ত্বোওফিক্বি ইল্লা বিল্লাহ। ওয়া সাল্লাল্লাহু
ওয়া সাল্লামা আ'লান-নাবী।