আজকে সুরা কাহাফ পড়া হয়েছেতো?
(১) আজকে সপ্তাহের শ্রষ্ঠ দিন, বরকতময় জুমুয়াহর দিন। জুমুয়াহর দিন আসলে সবার প্রথম সুরা কাহাফের কথা মনে পড়ে। সুবহানাল্লাহ! ক্বুরানুল কারীমের একটা মুজিজা হচ্ছে এর সুরাগুলো যত বেশি পড়া হবে, তার প্রতি ভালোবাসা, একই সুরা বারবার পড়া বা তেলাওয়াত শোনার আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে। আর বিশেষ কোন সুরা তেলাওয়াত করার যদি মাসনুন কোন পদ্ধতি থাকে, (যেমন সুরা মুলক প্রতিদিন একবার, জুমুয়াহর দিনে সুরা কাহাফ, প্রত্যেক ফরয সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী....), যারা এই আমলগুলো নিয়মিত করেন, সেগুলো না করা পর্যন্ত যেন তাদের শান্তি নেই। আর কোন একদিন অনিচ্ছাকৃতভাবে ছুটে গেলে সেই দিনটাই যেন বৃথা। মিশরের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, আল্লামাহ শায়খ সাঈদ রাসলান হাফিজাহুল্লাহর একটা খুতবাহরর কথা আমার প্রায়ই মনে পড়ে, যেখানে তিনি বলেছিলেন,
"ইয়া উম্মাতা মুহাম্মাদ (সাঃ)! আল-ক্বুরানু হায়াতুকুম, আল-ক্বুরানু লাহমুকুম, আল-ক্বুরানু দিমাউকুম....
অর্থঃ হে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতের লোকেরা! আল-ক্বুরান হচ্ছে তোমাদের জীবন, আল-ক্বুরান হচ্ছে তোমাদের গোশত, আল-ক্বুরান হচ্ছে রক্ত....আল-ক্বুরানই হচ্ছে তোমাদের গৌরব ও সম্মানের উতস।"
(২) আজকে সুরা কাহাফ পড়া হয়েছেতো?
যাদের এখনো পড়া হয়নি, সুযোগ থাকলে এক্ষুণি পড়ে নিন। আপনি যুবক হন কিংবা বৃদ্ধ, কার মৃত্যু কখন চলে আসে, কোন নিশ্চয়তা নেই। আর মৃত্যুর পরে আপনার সংগী-সাথী, ধন-সম্পদ কোনকিছুই আপনার সাথে যাবেনা, একমাত্র সাথী হবে আপনার ‘নেক আমল’, আল্লাহর রাস্তায় যেই সম্পদ ব্যয় করেছেন সেই দান-সাদাকা, মানুষের মাঝে প্রচারিত উপকারী ইলম এবং নেক সন্তানের দুয়া।
সুরা কাহাফ নিয়ে A-Z জানার জন্যে এই পোস্ট দেখুন -
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2015/11/blog-post_12.html
(৩) ঋতুবতী নারীরা ক্বুরানের তর্জমা ও তাফসীরসহ কোন বই থেকে অথবা মোবাইল, কম্পিউটার থেকে ক্বুরান তেলাওয়াত করতে পারবেন, ইন শা’আল্লাহ কোন সমস্যা নাই। এনিয়ে বিস্তারিত দেখুন -
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/03/httpislamqa.html
(৪) যাদেরকে আল্লাহ নেক আমল করার সুযোগ দিয়েছেন, যাদের অন্তরে পাপের পরিবর্তে নেক আমক করার ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন, তারা আল্লাহর এই মূল্যবান নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবেন। বর্তমান যুগে যখন অশ্লীলতা ও খারাপ কাজের ব্যপকতা বেড়ে গেছে, আমাদের বেশিরভাগ মানুষের অন্তর খারাপ কাজের দিকে প্রলুব্ধ। নেক আমল করতে আমাদের ভালো লাগেনা, পাপ কাজের মজা অন্তরে জেঁকে বসেছে। সেক্ষেত্রে, পাপের পরিবর্তে আল্লাহর সন্তষ্টির কাজ করতে পারা অনেক বড় একটা নেয়ামত, এর জন্যে আমাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ এবং অন্যদেরকেও আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াত দেওয়া উচিৎ।
(৫) ববৃদ্ধ হলে শক্তি চলে যায় ও নানারকম অসুস্থতা শরীরে বাসা বাধে (আল্লাহ আমাদেরকে নিরাপদ রাখুন)। তখন ইচ্ছা থাকলেও আমল করা কঠিন হয়ে যায়। সুতরাং শরীর সুস্থ-সামর্থ্য থাকতে থাকতেই পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে হবে।
(৫) আলী রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন, “তোমার জন্যে দুনিয়ার সবচাইতে বড় নিয়ামত হচ্ছে ইসলাম।”
(৬) জ্ঞানী ব্যক্তিরা উল্লেখ করেছেন, “তিনটি জিনিস অন্তরের কষ্ট দূর করে দেয়ঃ i. যিকির (আল্লাহর স্মরণ), ii. আল্লাহর অলি-আওলিয়াদের সাহচর্য এবং iii. জ্ঞানী ব্যক্তিদের উপদেশ বাণী।”
৬. ii. নিয়ে একটি কথাঃ ফেইসবুকে কারো লেখা পড়া, কারো সাথে যোগাযোগ রাখা, এটাও একপ্রকার সাহচর্য। সুতরাং, কার লেখা পড়ছেন, কোন পেইজ ফলো করছেন সে ব্যপারে সতর্ক থাকবেন। ফেইসবুকে অল্প কয়জন শায়খ তাদের লেখা আপনারা ফলো করতে পারেন। কিন্তু দাওয়াত নামে "হুজুর হয়ে", "সুতরাং", "জংগি ম্যারিজ মিডিয়া" এধরণের জোকারদের হাহা হিহি পেইজগুলো কিংবা! "রেডিও মুন্না", "আল-আমিন জামে মসজিদ", " what islam says" এ ধরণে কপি-পেস্ট লেখকদের লেখা পড়ে কোন ফায়দা নেই। বরং এরা সরলমনা অনেক মুসলিম ভাই ও বোনদের আখলাক ও মন-মেজাজ নষ্ট করছে। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন, আমিন।
(১) আজকে সপ্তাহের শ্রষ্ঠ দিন, বরকতময় জুমুয়াহর দিন। জুমুয়াহর দিন আসলে সবার প্রথম সুরা কাহাফের কথা মনে পড়ে। সুবহানাল্লাহ! ক্বুরানুল কারীমের একটা মুজিজা হচ্ছে এর সুরাগুলো যত বেশি পড়া হবে, তার প্রতি ভালোবাসা, একই সুরা বারবার পড়া বা তেলাওয়াত শোনার আগ্রহ আরো বেড়ে যাবে। আর বিশেষ কোন সুরা তেলাওয়াত করার যদি মাসনুন কোন পদ্ধতি থাকে, (যেমন সুরা মুলক প্রতিদিন একবার, জুমুয়াহর দিনে সুরা কাহাফ, প্রত্যেক ফরয সালাতের পরে আয়াতুল কুরসী....), যারা এই আমলগুলো নিয়মিত করেন, সেগুলো না করা পর্যন্ত যেন তাদের শান্তি নেই। আর কোন একদিন অনিচ্ছাকৃতভাবে ছুটে গেলে সেই দিনটাই যেন বৃথা। মিশরের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, আল্লামাহ শায়খ সাঈদ রাসলান হাফিজাহুল্লাহর একটা খুতবাহরর কথা আমার প্রায়ই মনে পড়ে, যেখানে তিনি বলেছিলেন,
"ইয়া উম্মাতা মুহাম্মাদ (সাঃ)! আল-ক্বুরানু হায়াতুকুম, আল-ক্বুরানু লাহমুকুম, আল-ক্বুরানু দিমাউকুম....
অর্থঃ হে মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উম্মতের লোকেরা! আল-ক্বুরান হচ্ছে তোমাদের জীবন, আল-ক্বুরান হচ্ছে তোমাদের গোশত, আল-ক্বুরান হচ্ছে রক্ত....আল-ক্বুরানই হচ্ছে তোমাদের গৌরব ও সম্মানের উতস।"
(২) আজকে সুরা কাহাফ পড়া হয়েছেতো?
যাদের এখনো পড়া হয়নি, সুযোগ থাকলে এক্ষুণি পড়ে নিন। আপনি যুবক হন কিংবা বৃদ্ধ, কার মৃত্যু কখন চলে আসে, কোন নিশ্চয়তা নেই। আর মৃত্যুর পরে আপনার সংগী-সাথী, ধন-সম্পদ কোনকিছুই আপনার সাথে যাবেনা, একমাত্র সাথী হবে আপনার ‘নেক আমল’, আল্লাহর রাস্তায় যেই সম্পদ ব্যয় করেছেন সেই দান-সাদাকা, মানুষের মাঝে প্রচারিত উপকারী ইলম এবং নেক সন্তানের দুয়া।
সুরা কাহাফ নিয়ে A-Z জানার জন্যে এই পোস্ট দেখুন -
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2015/11/blog-post_12.html
(৩) ঋতুবতী নারীরা ক্বুরানের তর্জমা ও তাফসীরসহ কোন বই থেকে অথবা মোবাইল, কম্পিউটার থেকে ক্বুরান তেলাওয়াত করতে পারবেন, ইন শা’আল্লাহ কোন সমস্যা নাই। এনিয়ে বিস্তারিত দেখুন -
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/03/httpislamqa.html
(৪) যাদেরকে আল্লাহ নেক আমল করার সুযোগ দিয়েছেন, যাদের অন্তরে পাপের পরিবর্তে নেক আমক করার ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিয়েছেন, তারা আল্লাহর এই মূল্যবান নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করবেন। বর্তমান যুগে যখন অশ্লীলতা ও খারাপ কাজের ব্যপকতা বেড়ে গেছে, আমাদের বেশিরভাগ মানুষের অন্তর খারাপ কাজের দিকে প্রলুব্ধ। নেক আমল করতে আমাদের ভালো লাগেনা, পাপ কাজের মজা অন্তরে জেঁকে বসেছে। সেক্ষেত্রে, পাপের পরিবর্তে আল্লাহর সন্তষ্টির কাজ করতে পারা অনেক বড় একটা নেয়ামত, এর জন্যে আমাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ এবং অন্যদেরকেও আল্লাহর রাস্তায় দাওয়াত দেওয়া উচিৎ।
(৫) ববৃদ্ধ হলে শক্তি চলে যায় ও নানারকম অসুস্থতা শরীরে বাসা বাধে (আল্লাহ আমাদেরকে নিরাপদ রাখুন)। তখন ইচ্ছা থাকলেও আমল করা কঠিন হয়ে যায়। সুতরাং শরীর সুস্থ-সামর্থ্য থাকতে থাকতেই পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে হবে।
(৫) আলী রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন, “তোমার জন্যে দুনিয়ার সবচাইতে বড় নিয়ামত হচ্ছে ইসলাম।”
(৬) জ্ঞানী ব্যক্তিরা উল্লেখ করেছেন, “তিনটি জিনিস অন্তরের কষ্ট দূর করে দেয়ঃ i. যিকির (আল্লাহর স্মরণ), ii. আল্লাহর অলি-আওলিয়াদের সাহচর্য এবং iii. জ্ঞানী ব্যক্তিদের উপদেশ বাণী।”
৬. ii. নিয়ে একটি কথাঃ ফেইসবুকে কারো লেখা পড়া, কারো সাথে যোগাযোগ রাখা, এটাও একপ্রকার সাহচর্য। সুতরাং, কার লেখা পড়ছেন, কোন পেইজ ফলো করছেন সে ব্যপারে সতর্ক থাকবেন। ফেইসবুকে অল্প কয়জন শায়খ তাদের লেখা আপনারা ফলো করতে পারেন। কিন্তু দাওয়াত নামে "হুজুর হয়ে", "সুতরাং", "জংগি ম্যারিজ মিডিয়া" এধরণের জোকারদের হাহা হিহি পেইজগুলো কিংবা! "রেডিও মুন্না", "আল-আমিন জামে মসজিদ", " what islam says" এ ধরণে কপি-পেস্ট লেখকদের লেখা পড়ে কোন ফায়দা নেই। বরং এরা সরলমনা অনেক মুসলিম ভাই ও বোনদের আখলাক ও মন-মেজাজ নষ্ট করছে। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন, আমিন।