প্রচলিত ধারার দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের ছাত্র এবং ছাত্রীদের সাথে কথা বলে যা পেলামঃ
(১) তাদের বেশিরভাগই সালাত
পড়েনা, বা কখনো পড়ে কখনো পড়েনা।
(২) অনেকে ৩-৪টার বেশি সুরা
মুখস্থ পারেনা, এইগুলো দিয়েই তারা সালাত পড়ে। সুরাগুলোর অর্থ
জানা পরের কথা, তাদের কয়জন সঠিকভাবে পড়তে পারে সে ব্যপারে
যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে।
(৩) আল্লাহর নাম, পরিচয়, আসমাউল হুসনা সম্পর্কে অনেকে জানেনা। সহজ
ভাষায় বলতে গেলে আল্লাহ সম্পর্কে তাদের জ্ঞান খুবই সীমিত।
(৪) একজন মানুষের জন্য যা
জানা ফরজ, এমন অনেক কিছুই তারা জানেনা। যদি নাই জানে,
মানবে কি করে?
(৫) অধিকাংশ প্রেম-ভালোবাসা
বা তার চাইতে নিকৃষ্ট কাজের সাথে জড়িত, এবং এ ব্যপারে তারা
মোটেও লজ্জিত বা ভীত নয়।
(৬) হালাল হারাম সম্পর্কে তাদের
জ্ঞান খুব বেশি নেই। আর থাকলেও অনেকে সে সবের পরোয়া করেনা।
(৭) ভবিষ্যতে ইসলাম সম্পর্কে
জানার বা শেখার আগ্রহ বা চেষ্টা আছে বলে মনে হয়না।
(৮) তাদের মূল চিন্তার বিষয়
হচ্ছে দুনিয়া, পরকাল বা মৃত্যুর পরের জীবন সম্পর্কে তাদের
বিশ্বাস কম এবং সেটা নিয়ে তারা চিন্তা-ভাবনাও কম করে।
(৯) শেষ কবে ক্বুরান খুলেছিলো,
অনেকে মনে করতে পারবেনা।
আরো অনেক কথা বলা যেতে পারে, তবে এখানেই শেষ করলাম।
এভাবেই আস্তে আস্তে সেকুলার বা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা আগামী প্রজন্ম, যারা ভবিষ্যতে দেশের হাল ধরবে, তাদেরকে অত্যন্ত
কৌশলের সাথে আস্তে আস্তে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ বা ধর্ম-বিদ্বেষী বানিয়ে তুলছে।
আমাদের মুসলিমদের এ ব্যপারে সচেতন হওয়া উচিৎ এবং গার্জিয়ানদেরকে তাদের সন্তানদেরকে
ইসলাম শিক্ষা দেওয়ার জন্যে উদ্ধুদ্ধ করা উচিৎ। আখেরী জামানায় ইসলাম নিয়ে টিকে থাকা
কিছুটা কঠিন হবে বৈকি, কিন্তু সঠিক জ্ঞান, সম্মিলিত চেষ্টা, আন্তরিক পরিশ্রম থাকলে ইসলামের
দুশমনদের প্রতিহত করা সম্ভব। সে জন্যে সবার প্রথম প্রয়োজন হচ্ছেঃ ইলম (জ্ঞান) এবং
হেদায়েত (দিক নির্দেশনা)।