সহীহ
বুখারী, পরিচ্ছেদঃ ৯২/১১,
অধ্যায়ের নামঃ “যখন
জামআ’ত (মুসলিমরা ঐক্যবদ্ধ) থাকবে না তখন কী করতে
হবে”
হাদীস
নম্বরঃ তাওহীদ পাবলিকেশান-৭০৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন-৬৬০৫।
হুযাইফাহ
ইবনু ইয়ামান (রাদিয়াল্লাহু আ’নহু)
হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-কে কল্যাণের বিষয়গুলো নিয়ে
প্রশ্ন করত। কিন্তু আমি তাঁকে অকল্যাণের বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতাম। কারণ, আমি এই
ভয় করতাম যে, মন্দ কোন বিষয় আমাকে না পেয়ে বসে। (একবার) আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর
রাসুল! আমরা তো জাহেলিয়াত (অজ্ঞানতা ও অন্ধকার) এবং অকল্যাণের মাঝে ছিলাম। এরপর আল্লাহ্
তাআ’লা আমাদেরকে এই কল্যাণের (ইসলামের) মধ্যে নিয়ে
আসলেন। এই কল্যাণের পর আমাদের উপর আবারও কি কোন অকল্যাণ আসবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে
তার মধ্যে কিছুটা ধূম্রজাল (অষ্পষ্টতা, বিভ্রান্তি, কনফিউশান) থাকবে। আমি প্রশ্ন করলাম,
এই ধূম্রজাল কেমন হবে? তিনি বললেন, এক জামাআ’ত (মুসলিমদের মাঝে একদল লোক) আমার ‘সুন্নাহ’ (আদর্শ) ছেড়ে অন্য পথ ধরবে। তাদের মাঝে তুমি
কিছু ভাল কাজও দেখবে, আবার তাদের মন্দ কাজও দেখবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সেই কল্যাণের
পর কি আবার অকল্যাণ আসবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। (এর পরে) জাহান্নামের দিকে দাওয়াত দানকারী
এক সম্প্রদায় হবে। যে ব্যক্তি তাদের দাওয়াত কবুল করবে, তাকে তারা জাহান্নামে নিক্ষেপ
করে ছাড়বে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের (জাহান্নামের দিকে দাওয়াত দানকারী লোকদের)
কিছু স্বভাবের কথা আমাদের বলে দিন। তিনি বললেন, তারা আমাদের (মুসলমানদের মধ্য থেকেই
কিছু) লোক হবে এবং তারা আমাদের ভাষাতেই কথা বলবে। আমি বললাম, যদি এমন অবস্থা আমাকে
পেয়ে বসে, তাহলে আপনি আমাকে কী করতে হুকুম দেবেন? তিনি বললেন, তুমি মুসলিমদের জামআ’ত ও ইমামকে (নেতাকে) আঁকড়ে ধরে থাকবে। আমি (হুজাইফা
রাদিয়াল্লাহু আ’নহু) বললেন, তখন যদি মুসলিমদের কোন (ঐক্যবদ্ধ)
জামআ’ত ও ইমাম (কর্তৃতশীল নেতা) না থাকে? তিনি (আল্লাহর
রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি
ওয়া সাল্লাম) বললেন, তখন তুমি সকল দল ও মত ত্যাগ করে সম্ভব হলে কোন গাছের শিকড় কামড়িয়ে
পড়ে থাকবে, যতক্ষণ না সে অবস্থায় তোমরা কাছে তোমার মৃত্যু উপস্থিত হয়।