শয়তানের সকল চেষ্টা-মেহনত থাকে বান্দাকে কোন
না কোনভাবে ‘ফাহেশাহ’ (অশ্লীল) কাজে লিপ্ত করানোর
জন্য। কারণ ফাহেশাহ কাজে লিপ্ত হলে মানুষের লজ্জা-শরমের অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায়,
ফলে সে বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে পশুর স্তরে নেমে যায়। এমতাবস্থায় তাকে
দিয়ে শুধু জিনা-ব্যভিচারই নয়, যাবতীয় খারাপ কাজ তাকে দিয়ে
করানো যায়। এজন্যে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত নারী ও পুরুষেদেরকে মদ বা মাদকাসক্তি,
ধোঁকা ও প্রতারণা, ধর্ষণ, খুন-খারাপি এহেন কোন খারাপ কাজ নেই যে তাদের দিয়ে হচ্ছেনা, আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের ভিকটিম হচ্ছে তাদের কুকর্মের সংগী বা
সংগিনীরাই। এ কারণে শয়তানের চক্রান্তের ব্যপারে তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করে আল্লাহ
সুবহা’নাহু তাআ’লা বলেন,
“আর তোমরা শয়তানের পদাংক অনুসরণ করোনা, সে তো তোমাদের প্রকাশ্য
শত্রু। শয়তান তো তোমাদেরকে আদেশ করে খারাপ ও ফাহেশাহ (অশ্লীল) কাজ করতে, এবং আল্লাহ সম্পর্কে এমন কথা বলতে যা তোমরা জানো না।”
সুরা আল-বাক্বারাহঃ ১৬৮-১৬৯।
বর্তমান যুগে মুসলিম সমাজে ব্যপকভাবে ছড়িয়ে
পড়া অশ্লীল কাজের মধ্যে রয়েছেঃ
(১) বিয়ে বহিঃর্ভূত অবৈধ যৌনকর্মে লিপ্ত
হওয়া।
(২) হস্তমৈথুন (masturbation) করে যৌনতৃপ্তি
নেওয়া।
(৩) পর্ণোগ্রাফী বা অশ্লীল ছবি ও ভিডিও দেখা।
(৪) ফোন সেক্স বা ফেইসবুক, মোবাইল ও ইন্টারনেটে নারী
পুরুষের মাঝে যৌনতার কথা বলা।
(৫) নারী ও পুরুষের মাঝে অবৈধ
প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক রাখা এবং দেখা-সাক্ষাৎ করা ও কথা বলা।
(৬) রাস্তা-ঘাটে, অফিস-আদালতে বা পার্কে
নারীদের বেপর্দা ও অশ্লীল পোশাক পড়ে বের হওয়া।
(৭) পার্ক, মেলা, উদ্যান ইত্যাদি দর্শনীয় স্থানসমূহে কিংবা রাস্তাঘাটে যানবাহনে বা
ইউনিভার্সিটিতে নারী-পুরুষে অশ্লীল কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়া।
(৮) হিন্দী, বাংলা কিংবা ইংরেজী নাটক,
সিনেমা, সিরিয়াল বা টিভি-শো দেখা, যেখানে মূল বিষয় হচ্ছে কোন না কোনভাবে নগ্ন নারীদেহ, নারী-পুরুষের অন্তরগ সম্পর্ক ও যৌনতা প্রদর্শন করা।
(৯) প্রেম-ভালোবাসার গান শোনা।
(১০) প্রেম-ভালোবাসার উপরে গল্প, উপন্যাস পড়া।
(১১) লাক্স-চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতা, ক্লোজ-আপ গানের প্রতিযোগিতা,
নারী-পুরুষের নাচ-গানের আসর ও কনসার্ট।
(১২) ভ্যালেনটাইন ডে, থার্টি ফার্স্ট, নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ পালন ইত্যাদি।
কবরে গেলে প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটা মিনিটের হিসাব দিতে
হবে। আর আল্লাহ কোন কিছু ভুলে যান না, আল্লাহর ফেরেশতারা
প্রতিটা কথা ও কাজ আমল নামায় লিখে রাখছেন। সর্বশেষ, একটা
আয়াতঃ
“তোমরা কি মনে করো যে, (হিসাব-নিকাশ ছাড়াই) তোমাদেরকে
এমনি ছেড়ে দেওয়া হবে?”