“হিযবুত তাওহীদ” নামক দলটির প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে বায়েজীদ খান পন্নী,
যার বাড়ি হচ্ছে টাংগাইল। তাদের প্রশংসা ও গুণগান লিখে শেষ করা যাবেনা। নিচে কিছু উল্লেখ
করা হলোঃ
(১) বায়েজীদ খান পন্নী নিজেকে ইমাম মাহদী হিসেবে
দাবী করেছিলো। অথচ সে ইমাম মাহদী হওয়াতো দূরের কথা, ছোট একটা মসজিদের মুয়াজ্জিন হওয়ার
মতো শুদ্ধ উচ্চারণে ক্বুরান তেলাওয়াত করতে পারতোনা।
(২) খারেজীদের মতো তারা সমস্ত মুসলমান এবং মুসলমান
শাসকদেরকে কাফের বলে ফতোয়া দেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আহবান জানায়।
(৩) তারা মক্কা মদীনার সমস্ত ইমাম এবং আলেমদেরকেও
কাফের বলে ফতোয়া দেয় (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)। অথচ তারা আরবীতে ঈমান শব্দটা লিখতে
ও পড়তে পারবেনা।
(৪) দুর্বল চিত্ত এবং কম বুদ্ধির নারীদেরকে তারা
সহজেই প্রতারিত করে। তাদের দলে যোগ দিয়ে অনেক নারী স্বামীদেরকে তাদের পথে নেওয়ার চেষ্টা
করে। তাদের স্বামীরা নতুন দলে ভর্তি না হলে স্বামীকে ফেলে অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে
যায়।
(৫) পুরুষদেরকে তাদের দলে ভর্তি করার জন্যে তারা
প্রায়শই তাদের দলের নারীদের রূপ-যৌবনকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে।
(৬) তারা বিশ্বাস করে দাজ্জাল কোন মানুষ নয়,
ইয়াহুদী-খ্রীস্টানরাই হচ্ছে দাজ্জাল।
(৭) তারা যাকাত দেওয়া ফরয বলে মনে করেনা।
(৮) তারা ৩-৪টা ক্বুরানের আয়াতের বাংলা অর্থ
ছাড়া ইসলাম সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেনা।
(৯) তাদের কেউ দাঁড়ি রাখেনা।
(১০) পন্নী সাহেব তার অনুসারীদেকে মিলিটারিদের
কুচকাওয়াজ করার মতো করে নামায পড়তে শিক্ষা দিয়েছে।
(১১) এরা অনেক হাদীসকে অস্বীকার করে এবং নিজের
মনমতো ক্বুরানের অপব্যখ্যা করে।
(১২) বায়েজীদ খান পন্নীর ছবি যারা দেখেছেন, কোন
পাগলেও তাকে কোনদিন আলেম বলে দাবী করবেনা।
(১৩) এরা খারেজী আকীদাহর অনুসারী, জংগি একটি
দল। এদের ব্যপারে মুসলমানদেরকে সতর্ক করা ওয়াজিব।