সোমবার, ১৯ মে, ২০১৪

কুরানের “তাফসীর” নামে মুসলিম উম্মতের সাথে ধোকা



কুরানের “তাফসীর” নামে মুসলিম উম্মতের সাথে ধোকা…

  আল-কোরান একাডেমী লন্ডন…

  হাফিজ মুনীর উদ্দিন…

কত সুন্দর দুটি নাম – প্রথমটি দেখে মনে হবে কাফের ভূখন্ডে কুরানের বাণী প্রচার করার জন্য একটা প্রচেষ্টা, আর পরেরটা দেখে মনে হবে হয়তোবা কোন জ্ঞানী ব্যক্তি। কারণ মুসলিমদের মাঝে আহা’মদুলিল্লাহ হাফেজ অনেক আছে – কিন্তু দাওয়ার কাজে আলেমদের নামের আগে হাফেজ ব্যবহার করা হয়ে বিশেষ একটা উদ্দ্যেশ্যেই…

যাই হোক - আল-কোরান একাডেমী লন্ডন এর মূল লক্ষ্য কুরানের বাণী প্রচার করা না, এর ফোকাস হচ্ছে সাইয়েদ কুতুবের বাণী প্রচার করা! 

সাইয়েদ কুতুব তার “মাইলস্টোন” বইয়ে লিখেছে, যা আসলে তার তাফসীর নামক অপতাফসীরের কিতাব থেকে ছোট একটা “তাকফিরী” সংকলনঃ-

“কয়েকশত বছর ধরে পৃথিবীতে কোন মুসলিম উম্মত নেই!”

কেন নেই?
কারণ - অনেক মুসলিম দেশেই “ইসলামী শাসনক্ষমতা” নেই – সমাজে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ইসলামী শরিয়াহ বাস্তবায়িত হয়না।

লোকটা যদি একথা বলেও ক্ষান্ত হতো! সে আরো দূর অগ্রসর হয়ে বলেছে – সমস্ত কাফের দেশগুলো জাহিলিয়া (শিরিকি ব্যবস্থার) মাঝে ডুবে আছে, সমস্ত কমিউনিস্ট, সমস্ত ইয়াহূদী, খ্রীস্টান, গণতান্ত্রিকবাদীরা জাহিলিয়াতে ডুবে আছে…এমনকি পূর্ব থেকে পশ্চিম সমস্ত মুসলিম সমাজও জাহেলিয়াতের শিরকে ডুবে আছে…!!

বর্তমানে যারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে পরিচয় দেয় – তাদেরকে উদ্দেশ্য করে সে বলেছে – “তথাকথিত মুসলিমরাও” (!) আসলে জাহিলিয়াতের শিরকে ডুবে আছে – কারণ তারাও আল্লাহকে বাদ দিয়ে ইয়াহুদী-খ্রীস্টানদের মতো অন্যের আইন মেনে নিয়েছে। তাদেরকে “ইলাহ” হিসেবে নিয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)!

এই হচ্ছে বিংশ শতাব্দীর “ইসলামীক চিন্তাবিদ” (পড়ুন চিন্তাভেদদের!) অবস্থা।

মাইলস্টোন বইটা পড়লে একটা ব্যাপার স্পষ্ট, লেখক মওদুদীর লেখা “তাফহীমুল কুরান” এ সুরা শুরার ১৩ নাম্বারে “ইকামতে দ্বীন” নাম দিয়ে যেই অপতাফসী করা হয়েছে, তার দ্বারা প্রভাবিত।

সাইয়েদ কুতুবের লেখা সম্পর্কে শায়খ উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহ বলেছেনঃ
“এটা থেকে দূরে থাকো, এর মাঝে GREAT CALAMITIES (বড় রকমের বিপদ) আছে”।

সাইয়েদ কুতুবের লেখা সম্পর্কে শায়খ মুক্ববিল রাহিমাহুল্লাহ বলেছেনঃ
 “সাইয়েদ কুতুবের লেখা পড়লে কোন উপকার নেই, কিছু উপকারবিহীন ইমোশনাল কথাবার্তা আর কিছুদিন পরে বুঝতে পারবে, তুমি আসলে জামাহ আত-তাকফিরী হয়ে গেছ”!

এতো গেলো বিগত শতাব্দীর দুইজন উলামায়ে হক্ক এর মূল্যায়ন। এবার তাদের (মওদুদী, কুতুব) আদর্শে গড়া দল  “ইখোয়ানুল মুসলিমিন” এর বর্তমানে সবচাইতে বড় একজন “ধর্মগুরু” শায়খ কারযাভী সাইয়েদ কুতুবের লেখা সম্পর্কে বলেছেনঃ

“সাইয়েদ কুতুবের লেখা অত্যন্ত স্পষ্ট ও পরিষ্কার। সে তার মতবাদে বিশ্বাসী ছাড়া অন্য কাউকে মুসলিম মনে করেনা”!

* হাফিজ মুনীর উদ্দিন ফি যিলালিল কুরানের (সাইয়েদ কুতুবের লেখা) ভূমিকায় লিখেছে – আমি ফি যিলাল দেশের বড় আলেমদেরকে দেখি্যেছি…(কাদেরকে দেখিয়েছি???)

আন্তর্জাতিক খ্যতি সম্পন্ন মুফাসসিরে কুরান, আল্লামাহ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী(!), ইসলামী ব্যংকের চেয়ারম্যন(জানিনা এই নাম কেন বললো, বড় পজিশানের কারণে নাকি তাকে বিজ্ঞ আলেম মনে করে), অমুক প্রফেসর (আরবী বা ইসলামী কোন বিষয়ের নয়!)…

তারা ফি যিলালের খুব প্রশংসা করেছেন! (কার কথা জানি বলেছে) – সে নিজে অফিসে এসে দুয়া করে গেছে!!


আশা করি, মুনীর উদ্দীন খান এর “মানহাজ” সম্পর্কে এর বেশি বলার প্রয়োজ়ন পড়েনা…