মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০১৪

বাংলাদেশী “দেওবন্দী আকাবির” (বুজুর্গদের) মাঝে শিরকের প্রাদুর্ভাব


বাংলাদেশী “দেওবন্দী আকাবির” (বুজুর্গদের) মাঝে শিরকের প্রাদুর্ভাবঃ

***পোস্টটা বড় হলেও এড়িয়ে যাবেন না, দেওবন্দী আকীদার মাঝে কি ধরণের শিরক আছে জানার জন্য এই পোস্টে দলীল দেওয়া আছে।

আমাদের দেশের অনেক লোক আছে, তারা আরব দেশের বড় বড় আলেম-ওলামাদেরকে দেখতে পারেন নাহ! তাদের মতে, আরব দেশের শায়খ আব্দুল আজীজ ইবনে বাজ, শায়খ নাসিরউদ্দীন আলবানী, শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ-উসাইমিন, শায়খ মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদী, শায়খ আব্দুর রাজ্জাক আফীফি, শায়খ মুহাম্মাদ আমিন আল-শাঙ্কিতি, শায়খ আব্দুন-নাসির আস-সাদী, ইনারা নাকি কোন আলেমই নাহ!

তাদের কাছে আলেম হচ্ছে শুধুমাত্র ভারতের “দেওবন্দ মাদ্রাসার” লোকেরাই যেমনঃ- আশরাফ আলী-থানবী, রশিদ আহমাদ গাঙ্গোহী, হুসাইন আহমাদ মাদানী, কাসিম নানুতুবি, খলিল আহমাদ সাহারানপুরী…

তাদের মতে, গোটা আরব বিশ্বে নাকি কোন আলেম নেই! সব আলেম শুধু হিন্দুস্থানেই জন্ম নেয়!

যাইহোক, এরা দেওবন্দ মাদ্রাসার যেই আকীদা ও তাদের আলেমদের অনুসারী। প্রচলিতভাবে তারা “দেওবন্দী” নামে পরিচিত। দেওবন্দী আকীদার অনুসারী আমাদের দেশের অনেকেই, তাদের মাঝে যারা বড় আলেম তাদের কিছু শিরক, কুফর ও বেদাতী আকীদা তুলে ধরা হলো। উল্লেখ্য, বাংলাদেশী দেওবন্দী আর তাদের মূল দেওবন্দ মাদ্রাসার আলেমদের আকীদাহ আসলে একই, এদের কিতাবে যে শিরক পাওয়া যাবে, দেওবন্দী আলেমদের মাঝেই সেইম জিনিস পাওয়া যাবে। মূলত এরা হিন্দুস্তানের আলেমদের কাছে থেকে “সূফীবাদ” নাম দিয়ে এইসমস্ত বাতিল জিনিসকে “ইসলাম” বলে চালানোর চেষ্টা করছে!
________________________

১. বাংলাদেশে সবচাইতে বড় দেওবন্দী মাদ্রাসা, চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, দেশে দেওবন্দীদের সবচাইতে বড় আলেম, মাওলানা আহমাদ শফি সাহেব তার কিতাব “ইরশাদাতে মুরশিদীতে” লিখেছেনঃ

“হোসাইন আহমদ মাদানীকে মদীনায় তার ছাত্ররা প্রশ্ন করলো, রাসুল সাঃ কি কবরে জীবিত?
তিনি বললেন, আলমে মেছালীতে রাসুল সাঃ জীবিত, কিন্ত ছাত্ররা দলিল প্রমাণাদী পেশ করলো যে কোরআনে সূরা যুমারের ৩০নং আয়াতে বলা হয়েছে
“(হে নবী!) নিশ্চয় আপনি মৃত্যুবরণ করবেন আর তারাও মৃত্যুবরণ করবে”।
মাদানী ছাত্রদেরকে বিভিন্ন দলিলের মাধ্যমে বুঝাতে চেষ্টা করলেন, কিন্ত তারা বুঝতে অপ্রস্তুত, এরপর মাদানী ছাত্রদেরকে নিয়ে রওযায়ে আতহারের কাছে নিয়ে গেলেন এবং হাত দিয়ে ইশারা করলেন, এই ইশারাতে রাসুল সাঃ রওযা থেকে মাথা উঠিয়ে সকলকে দেখা দিয়ে আবার মাটির নিচে লুকিয়ে গেলেন”!!?
ইরশাদাতে মুরশিদী, পৃষ্ঠা ৪২।

মন্তব্যঃ ডাহা বানোয়াট, মিথ্যা কাহিনী দিয়ে মৃত্যুর পরেও কোন ব্যক্তি দুনিয়াতে আসে - এই কুফুরী আকীদা বয়ান করা হয়েছে। এছাড়া একজন মানুষের ডাকে রাসুল সাঃ কবর থেকে বের হয়ে এসেছেন – এইরকম ভুয়া কাহিনী বলে রাসুল সাঃ এর সম্মান ও মর্যাদারও হানি করা হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)।

বিস্তারিত জানার জন্য দেখুনঃ- “হায়াতুন্নবী”, “জিন্দানবী” বলা কুরআন বিরোধী আকীদা

http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/05/blog-post_2258.html
____________________________

২. দেওবন্দ মাদ্রাসার শিক্ষা নিয়ে যেই দলটি সারা বিশ্বে “দেওবন্দী আকীদাহ” প্রচার করে যাচ্ছে সেটি হচ্ছে তাবলীগ জামাত। এদের কিতাবে বহু শেরেকী কথা-বার্তা আছে যা সাধারণ মানুষ ধরতে পারেনা। সাধারণ মানুষেরা ফযীলতের ধোকায় পড়ে, ফাযায়েল কিতাবগুলোকে পবিত্র কিতাব মনে করে মসজিদে মসজিদে শেরেকী কিতাবের তালীম করে যাচ্ছে।

“তাবলীগ জামাতের” লেখক মাওলানা জাকারিয়া কান্ধলবী সাহেব কর্তৃক লিখিত, তাবলিগ জামাতের মূল পাঠ্যসূচি, ফাযায়েলে সাদাকাতে কবর-মাযার পূজার শিক্ষাঃ

“মিশরে একজন নেক বখত লোক ছিলেন। অভাবগ্রস্ত হইয়া কোন এক লোক তাহার নিকট আসিলে তিনি চাঁদা উসুল করিয়া তাহাকে দিয়া দিতেন। একদা জনৈক ফকির তাহার নিকট আসিয়া বলিল আমার একটা ছেলে হইয়াছে, তাহার এছলাহের ব্যবস্থার জন্য আমার নিকট কিছুই নাই। এই ব্যাক্তি উঠিল ও ফকিরকে অনেক লোকের নিকট লইয়া গিয়াও ব্যর্থ হইয়া ফিরিল। অবশেষে নৈরাশ হইয়া একজন #দানবীর_ব্যাক্তির_কবরের_নিকট_গিয়া (!) সমস্ত কথা তাহাকে শুনাইল। রাত্রি বেলায় সেই লোকটি কবরওয়ালাকে স্বপ্নে দেখিল যে, সে বলিতেছে, আমি_তোমার_যাবতীয়_অভিযোগ_শুনিয়াছি(!), কিন্তু বলিবার অনুমতি দেওয়া হয় নাই। তুমি আমার ঘরে গিয়া পরিবারস্থ লোকদিগকে বল ঘরের অমুক অংশে যেখানে চুলা রহিয়াছে, উহার নিচে একটা চিনা বরতনে পাঁচশত আশরাফী রহিয়াছে তাহারা যেন উঠাইয়া সেই ফকিরকে দিয়া দেয়”।
ফাজায়েলে সাদাকাত, মাওলানা জাকারিয়া সাহারানপুরি; অনুবাদক ছাখাওয়াত উল্লাহ; ২য় খণ্ড পৃষ্ঠা নঃ- ৩২২; তাবলিগী কুতুবখানা ১৪২৬ হিজরী।
___________________________

মন্তব্যঃ নেককার লোকদের কবরের কাছে গিয়ে তাদের কাছে সাহায্য চাওয়া, দুয়া করা, এটাই হচ্ছে কবর-মাযার পূজা। জাকারিয়া সাহেব – ফাযায়েলে সাদাকাত নাম দিয়ে ভুয়া কাহিনী প্রচার করে এই শিক্ষাই দিলেন যে - এইভাবে কবরের কাছে প্রার্থনা করা জায়েজ আর এইভাবে কবরবাসীর কাছে সাহায্য চেয়ে নাকি উপকৃতও হওয়া যায় (নাউযুবিল্লাহ - ডাহা শেরেক)!
_____________________________

৩. সিলেটের বড় দেওবন্দী আলেম, আন্তর্জাতিক খ্যাতি(পড়ুন-ক্ষতি)সম্পন্ন বক্তা, কুরানের অপ-তাফসীরকারক, মাওলানা নুরুল ইসলাম অলিপুরী সাহেবের মাঝে মানসুর হাল্লাজের শিরকি আকীদা… 

বিবেক বুদ্ধি যাদের লোপ পায় নাই, আশা করি এই ভিডিওটা দেখলে অলিপুরীর শিরকি-কুফুরী ধরা পড়বে। আর গোড়ামী, অন্ধত্ব যাদের ধর্ম তারা অন্ধকারেই ঘুরে বেড়াক যতক্ষণ না আল্লাহ তাদের হেদায়েত করেন।

সুবাহা'নাল্লাহ! মানুষ এতো অন্ধ হয় কি করে ? শিরকি কথা বলতে কি মানুষের বুক একটুও কাঁপেনা ?
হুসাইন বিন মানসুর হাল্লাজ একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত সাধক, দরবেশ, যে কিনা মুশরেক হিন্দুদের মতো “হুলুল” (মানুষের মধ্যে স্রষ্টার বসবাস) ও “ইত্তিহাদ” (স্রষ্টার আত্মার সাথে মানুষের আত্মার সম্পূর্ণ একাত্মতা) মতবাদে বিশ্বাসী ছিল। তার এই কোরআন বিরোধী, ইসলাম বিরোধী জঘন্য শিরকি আকীদার জন্য ততকালীন শাসক আলেমদের ঐক্যমতে হাল্লাজকে কাতল করেন।

এই শয়তানটাকে ইমাম ইবনে কাসীর তার আল-বিদায়া ওয়ান নিয়াহাতে জিন্দীক (বেদ্বীন), যাদুকর (কাফের!) বলে ঘোষণা করেছেন।

আজকাল তথাকথিত অনেক গোমরাহ আলেম হাল্লাজকে আল্লাহর ওলী হিসেবে প্রচার করেন এবং বলেন, মানুষ হাল্লাজের কথা বুঝতে পারেনি! শয়তানের শিরককে তাওহীদপন্থীরা নাকি বুঝতে পারেনি ?

এই পীরের নাম নুরুল ইসলাম অলিপুরী । যেহেতু সকল পীর সুফীবাদের অনুসারী, তিনিও যিন্দীক হাল্লাজের শিরক কে অন্ধভাবে সমর্থন করে নিজের বেদাতি দায়িত্ব পালন করছেন। আল্লাহ সকলকে শিরক ও কুফর থেকে নিরাপদ রাখুন (আমীন) ।

ইবলীস শয়তান হাল্লাজের কবিতা শোনেন -
“আমি হচ্ছি সে যাকে আমি ভালোবাসি এবং যাকে আমি ভালোবাসি সে হচ্ছে আমি;
আমরা দুটি আত্বা বাস করি একই দেহে।
আমার দিকে তাকিয়ে তুমি দেখতে পারো তাকে,
এবং আমাদের উভয়কেই দেখতে পারো যখন তার দিকে তাকাও ।
লা হাউলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ ।
হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা, হাল্লাজ শয়তানের শেরেকের বিরুদ্ধে আপনাদের দৃষ্টি কি এখনো খুলবেনা? যদি চক্ষু না খোলেন তবে আল্লাহর এই আয়াতটা মন রাখবেন -
"আল্লাহ শেরেকের গুনাহ কোনোদিন ক্ষমা করবেন না"

https://www.facebook.com/photo.php?v=699191796780237&set=vb.125167817515974&type=3&video_source=pages_video_set

*চরমোনাই পীরের মাঝে “আনাল হক্ক” এর শিরকী আকীদা ও এর ব্যখ্যাঃ

https://www.facebook.com/photo.php?v=481941395235482&set=vb.125167817515974&type=3&video_source=pages_video_set
___________________________

৪. বাংলাদেশে দেওবন্দী সিলসিলার পীর, যারা নিজদেরকে “হাক্কানী পীর” হিসেবে দাবী করে, তাদের মাঝে সবচাইতে বেশি মুরীদ ও নাম-ডাক জুটিয়েছেন চরমোনাই পীর বরিশাল, যার বর্তমান গদীনশীন পীরের নাম হচ্ছে রেজাউল করীম সাহবে। কথিত এই হাক্কানী পীর, চরমোনাই সাহেবের শিরকী কথাবার্তার কিছু ওয়াজ ও বই এর অংশঃ

ক. কেয়ামতের দিন বড় বড় জাহাযে করে তার বাপ-দাদারা (বিগত চরমোনাই পীর সাহেবেরা) মুরীদদের জান্নাতে নিয়ে যাবে! ওয়াজটি পীর সাহেবের নিজের মুখ থেকে শুনুনঃ-

http://www.youtube.com/watch?v=Q2po6LT6vuo

মন্তব্যঃ এইভাবে জান্নাতের লোভ দেখিয়ে কৌশলে সাধারণ মানুষদেরকে মুরীদ বানানো হচ্ছে। অথচ কেয়ামতের দিন অন্য কাউকে জান্নাতে নিয়ে যাওয়াতো দূরের কথা, পুলসিরাতের সামনে নবী-রাসুলরা পর্যন্ত ইয়া নাফসী ইয়া নাফসী করবেন। আর এই অজ্ঞ হুজুরেরা নাকি তাদের মুরীদদেরকে জান্নাতে নিয়ে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)!

খ. চরমোনাই পীর সাহেবের মাঝে শেরেকী “কুতুব” এর আকীদা…

কুতুব শব্দের অর্থ কি?

সিমিলারাটিস বিটুইন হিন্দুইজম এন্ড সূফীজম – হিন্দু ধর্ম সূফীবাদের মাঝে মিল…

সূফীবাদী পীর, ফকির, মারেফাতী লাইনের লোকেরা আর কবর-মাযার আর অলি-আওলিয়ার পূজারীরা বিশ্বাস করে বিশ্বাস করে যেঃ

আল্লাহ যেহেতু একা, সুতরাং একা তাঁর পক্ষে পুরো বিশ্বজগত পরিচালনা করা সম্ভব নয়। ফলে তিনি তাঁর বিশ্ব পরিচালনার সুবিধার্থে আরশে মুআ’ল্লায় একটি পার্লামেন্ট কায়েম করেছেন। সেই পার্লামেন্টের সদস্য সংখ্যা মোট ৪৪১ জন। আল্লাহ তাদের স্ব স্ব কাজ বুঝিয়ে দিয়েছেন। তন্মধ্যে

নাজীব - ৩১৯ জন,
নাক্বীব - ৭০ জন,
আবদাল - ৪০ জন,
আওতাদ - ৭ জন,
কুতুব - ৫ জন এবং
একজন হ’লেন গাওছুল আযম, যিনি মক্কায় থাকেন।

এছাড়াও, উম্মতের মধ্যে “আবদাল” ৪০ জন আল্লাহ তা‘আলার মধ্যস্থতায় পৃথিবীবাসীর বিপদাপদ দূরীভূত করে থাকেন। তারা অলীগণের দ্বারা সৃষ্টজীবের হায়াত, রুযী, বৃষ্টি, বৃক্ষ জন্মানো ও মুছীবত বিদূরণের কাজ সম্পাদন করেন।
________________________

এইবার এই আকীদার সাথে হিন্দুদের দেব-দেবীদের গুণাবলী মিলিয়ে দেখুন। হিন্দুরা বিশ্বাস করে, ঈশ্বর এক, কিন্তু বিভিন্ন দেবতা বিভিন্ন কাজ করে, কেউ বিদ্যা দেয় (স্বরস্বতী), কেউ ব্যবসা-বাণিজ্যের ডিপার্টমেন্ট দেখাশোনা করে (কার্তিক), কেউ বিপদ থেকে উদ্ধার করে (দূর্গা) করার দায়িত্বে নিয়োজিত ইত্যাদি…

তাদের বিশ্বাস মতে – কুতুবেরা পৃথিবী নিয়ন্ত্রন করে, একেক এলাকার কুতুব একেক এলাকা দেখাশোনা করে।

এবার চরমোনাই পীর সাহেবের ওয়াজটা শুনে দেখুন – দেওবন্দী পীর চরমোনাই, যে বড় গলায় নিজেকে হাক্কানী পীর দাবী করে সে কিভাবে “কুতুবদের কেরামতির” আজগুবী শিরকি কাহিনী বলে মুরীদদের শিরকি আকীদা শিক্ষা দিচ্ছে……

রশিদ আহমাদ গাংগোহী নাকি “কুতুবে আলম” – পৃথিবীর খুটি! সে নাকি নিমিষেই সারা দুনিয়া ঘুরে আসতে পারে, একসাথে ২-৩ জায়গাতে থেকে নিজের ক্ষমতা দেখাতে পারে, সমুদ্র জাহাজ ডুবতে বসলে কাধে করে জাহাজ তীরে পৌছিয়ে দিতে পারে!!?

নাউযুবিল্লাহ! ডাহা শিরকি কুফুরী কথা, যা মক্কার মুশরেকরাও বলতোনা।
সমস্ত জগতের প্রতিপালক হচ্ছেন এক “আল্লাহ”!

https://www.facebook.com/photo.php?v=770083169691099&set=vb.125167817515974&type=3&video_source=pages_video_set

গ. চরমোনাই মুরিদদের ভন্ডামিঃ
চরমোনাই পীর সাহেব তার বইয়ে লিখেছেঃ
“যদি কেহ মাওলার প্রেমে মত্ত হইয়া বেলা এখতিয়ার (অনিচ্ছাকৃতভাবে) চিখ দেয় (চিতকার করে উঠে) অথবা হাত-পা আছড়ায়, তবে সে আল্লাহর ওলী”।
ভেদে মারেফতঃ ২২ পৃষ্ঠা, ৩য় লাইন।

কুরানে বলা হয়েছে – যারা ঈমান আনে ও আল্লাহকে ভয় করে তারাই আল্লাহর ওলী।

আর পীর সাহেব বলে – চিতকার করলে বা হাত পা আছড়ালে নাকি আল্লাহর ওলী!

এই কথা কুরানে নাই, হাদীসে নাই – আছে “সূফীবাদ” আর “মারেফাত” নাম দিয়ে পীর ফকিরদের গোপন মিথ্যা ধর্মে। এইভাবে অনেকেই “মাওলাকে পাইতে চায়” বা “আল্লাহর ওলী হইতে চায়”।

সেইজন্য – এইসমস্ত পীর ফকিরদের দরবারে তাদের মুরীদেরা ইচ্ছায়, অনিচ্ছায় (শয়তান জিনেরা বেশি আসর করে, বেদাতী ও মুশরিকের উপরে), তাদের বাশে ধরে ঝুলে থাকে, বাশ ধরে পোল ড্যান্স, ব্রেক ড্যন্স, বান্দর নাইচ ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেদেরকে আল্লাহর ওলী প্রমান করার চেষ্টা করে, আর পীর সাহেব তার শিখানো ভুয়া ধর্ম মুরীদেরা পালন করছে দেখে খুশী হয়।

ভিডিওটাতে দেখুন – চরমোনাই পীর তার মাহফিলে বসে কিভাবে তার ভক্ত মুরীদের বান্দর নাইচ উপভোগ করছে।

ভিডিওটা দেখলে চরমোনাই ওয়ালাদের সার্কাস দেখে একটু হাসতে পারতেন। 

https://www.facebook.com/photo.php?v=711070888925661&set=vb.125167817515974&type=3&video_source=pages_video_set

হায় আফসোস! বেদাতী মোল্লারা ধর্মের নামে মানুষকে ধোকা দিচ্ছে…
_________________________

হায় আফসোস!
সাধারণ মানুষেরা অন্ধ ভক্তিতে এইসমস্ত হুজুরদের শিরকী কাহিনী শুনে নাউযুবিল্লাহ” না বলে “সুবহা’নাল্লাহ” বলে!

এইভাবে পীর ফকিদের কাছ থেকে মুরীদেরা শিরক বেদাত শিক্ষা করে পথভ্রষ্ট হয়ে কেয়ামতের দিন এরা বলবেঃ

“তারা আরও বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আমাদের নেতা ও বড়দের কথা মেনেছিলাম, অতঃপর তারা আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। হে আমাদের পালনকর্তা! আজকে তাদেরকে দ্বিগুণ শাস্তি দিন এবং তাদেরকে মহা অভিসম্পাত করুন”।
সুরা আল-আহজাবঃ ৬৭-৬৮।

“কাফেররা বলবে, হে আমাদের পালনকর্তা! যেসব জিন ও মানুষ আমাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছিল, তাদেরকে দেখিয়ে দাও, আমরা তাদেরকে পদদলিত করব, যাতে তারা যথেষ্ট অপমানিত হয়”।
সুরা হা মীম সাজদাহ।


আল্লাহ আমাদের ভন্ডদের শয়তানি কথা-বার্তা থেকে নিরাপদ রাখুন, আমিন।