হালালকে হারাম
মনে করা অথবা হারাম জিনসকে হালাল মনে করা কুফুরি কাজ এবং এর দ্বারা আললাহর প্রতি মিথ্যারোপ
করা হয়। আল্লাহ কঠোরভাবে কুরানে নিষেধ করেছেন তোমরা জিহবা দিয়ে (মনগড়া ফতোয়াবাজি করে)
বলোনা এইটা হালাল এইটা হারাম। এর শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ, এমনকি এর দ্বারা কেউ দ্বীন
থেকে খারেজ হয়ে কাফের হয়ে যেতে পারে (নাউযুবিল্লাহ)।
কিছুদিন আগে
ভার্সিটির ছেলে মেয়েদের নিয়ে পোস্ট দিলে একজন দাবী করেছেন, আমি নাকি ভার্সিটির ছেলে-মেয়েদের
প্রতি জেলাস! তাদেরকে দেখতে পারিনা এইজন্য তাদের সমালোচনা করি। কি হাস্যকর কথা, কলেজ
ইউনিভার্সিটিতে পড়ে এমন ভালো ছেলে মেয়ে থাকতে পারে আবার অনেক বেদ্বীন ছেলে মেয়েও থাকতে
পারে, এখানে জেলাসীর কি থাকতে পারে? এইভাবে সমালোচনা করা বা মানুষকে খারাপ বিষয় থেকে
সতর্ক করতে গেলে আপনারা যদি বলেন আমরা জেলাস তাহলেতো অর্ধেক দাওয়াতের কাজ বন্ধ হয়ে
যাবে। কারণ দাওয়াতের অর্ধেক হচ্ছে খারাপ কাজ থেকে মানুষকে সতর্ক বা নিষেধ করা, আর বাকি
অর্ধেক হচ্ছে ভালো কাজের ব্যপারে মানুষকে দাওয়াত দেওয়া।
যাইহোক, কলেজ
ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছেলে মেয়েদের মাঝে খুব কমন কিছু কাজ যা তাদের দ্বীনের ব্যপারে উদাসীনতা
ও অনীহার বহির্প্রকাশঃ
১. দ্বীন শিক্ষা
না করা, কুরান ও সুন্নাহ স্টাডি না করা। না তাদের বাবা-মা, না তাদের সমাজ, শিক্ষক তাদেরকে
দ্বীন শিক্ষা দেয়। শুধুমাত্র ছোটবেলায় ২-৪টা সুরা মুখস্থ করার মাঝেই ইসলাম শিক্ষা সীমাবদ্ধ।
২. বেশিরভাগ
হচ্ছে বেনামাযী, নামাযের ধার ধারেনা। নামায না পড়লে ঈমান থাকেনা, এইটা ঠিকমতো জানেনা
বা জানলেও কোন পড়োয়া করেনা।
৩. বেশিরভাগ
ছেলেই মেয়েদের অনুকরণ করে দাড়ি রাখেনা। অনেকে দাড়ি রাখে, পোশাক-আশাক ও চাল-চলনে কাফের-মুশরেক
ব্যভিচারী নায়কদের অনুকরণ করে, রাসুল সাঃ কে অনুসরন করেনা।
৪. বেনামাযী
ছেলেদের কথা নাহয় বাদ, অনেক নামাযী ছেলেও টাখনুর নিচে প্যানট পড়ে। অথচ একজন মানুষ জাহান্নামী
হওয়ার জন্য এই একটা কবীরা গুনাহই যথেযষ্ঠ (নাউযুবিল্লাহ)!
৫. বেশিরভাগ
মেয়েই হিজাব পর্দা করেনা, অর্ধ নগ্ন ড্রেস আপ করে বা এমন, পোশাক পড়েও উলংগ। আর অনেকে
হিজাব করে মনগড়া হিজাব, যা আসলে শরয়ী হিজাবের শর্ত পূরণ করেনা।
৬. ছেলে মেয়েরা
ফ্রী মিক্সিং, বন্ধুত্ব, প্রেম ভালোবাসাকে স্বাভাবিক কালচার হিসেবে নিয়েছে অথচ এটা
বড় একটা মুনকার যা গোটা সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। যে যত বেশি অশ্লীলতা ও বেহায়াপনায়
লিপ্ত হচ্ছে সে তত বেশি স্মার্ট, ছেলে মেয়েরা জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়াকে ক্রেডিট
হিসেবে নিচ্ছে।
৭. কাফের মুশরেকদের
ষড়্যন্ত্রে দ্বীনকে বাদ দিয়ে বিভিন্ন শিরকী-কুফুরী ও হারাম শিক্ষা করছে।
৮. নামাযের
সময় না দিয়ে সেই সময়ে ক্লাস দিয়ে, রমযানে পরীক্ষা দিয়ে আর অন্য সময় ছটি দিয়ে, এইভাবে
বিভিন্নভাবে দ্বীনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
৯. অনেক প্রতিষ্ঠানে
নারীদেরকে হিজাদ পর্দা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যারা করতে চায় তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানি
করা হচ্ছে। অথচ কাফের-বেদ্বীন মেয়েরা অর্ধনগ্ন হয়ে আসছে, জিনা ব্যভিচারে লিপ্ত কর্তৃপক্ষ
জানা সত্ত্বেও কোন উদ্যোগ নেয়না।
১০. গান বাজনা,
টিভিতে নাটক সিনেমা খেলা দেখা, গল্পের বই এইগুলো থেকে বেচে আছে এমন ছেলে মেয়ের সং্খ্যা
আসলে খুবই কম। এইসবগুলোর মাঝে আছে অশ্লীলতা, যিনা ব্যভিচারের দিকে দাওয়াত ও শিক্ষা
দেওয়া, শিরক ও কুফর, মুর্তি পূজা। আশ্চর্যজনকভাবে মুসলিম দাবোদার নারী ও পুরুষেরা এইগুলোকে
হালাল এর মতো করে নিয়েছে, কোন পরোয়া নেই। অনেক পথভ্র্ষ্ট লোকেরা শিল্প-সাহিত্য নাম
দিয়ে এইগুলোর পক্ষে তর্ক করে।
১১. বিভিন্ন
সাংস্কৃতিক অনুযষ্ঠান ও দিবস উদযাপন নামে হাতে কলমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে খারাপ কাজের
শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে।
১২. ছাত্র রাজনীতি
নাম দিয়ে সন্ত্রাস্যি, খুনি, চাদাবাজ, ধর্ষক গ্রে তোলা হচ্ছে।
হে মুসলিম ভাই
ও বোনেরা সতর্ক হন! শয়তানের ধোকায় পড়বেন না, কাফেরদের ষড়্যন্ত্রে পড়ে ঈমানকে সামান্য
দুনিয়ার কারণে বিক্রি করে দেবেন না।
#দুনিয়া_মুমিনদের_জন্য_কারাগার_কাফেরদের_জন্য_জান্নাত