মুসলমানদের জন্য মুহা’ম্মাদ সঃ আর কাফেরদের জন্য বৌদ্ধ, গান্ধী, লেলিন, স্ট্যালিন ইত্যাদি……
আল্লাহ তাআ’লা মানবজাতির জন্য একমাত্র আদর্শ হিসেবে যাকে বাছাই করেছেন, মনোনয়ন দিয়েছেন, যাকে অনুসরণ করা আমাদের জন্য “ফরয” করে দিয়েছেন, তিনি হচ্ছেনঃ মুহা’ম্মাদ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তার চরিত্রের সবচাইতে উত্তম তার সার্টিফিকেটঃ
“আর অবশ্যই আপনি সুমহান চরিত্রের অধিকারী।”
সুরা ক্বলমঃ ৪।
ঈমানদারদের জন্য আদর্শ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম...
“যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম আদর্শ রয়েছে।”
সুরা আহজাবঃ ২১।
“হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি। এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।”
সুরা আহজাবঃ ৪৫-৪৬।
আল্লাহকে ভালোবাসলে বৌদ্ধ, গান্ধী, লেলিন-স্ট্যালিন বা অন্য কারো আদর্শ চলবেনা। কেউ যদি নবীর আদর্শের বিরোধীতা করে অন্য কারো আদর্শকে উত্তম মনে করে, তাহলে সে কাফের হয়ে যাবেঃ
“(হে নবী আপনি) বলুন! যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু। বলুন, আল্লাহ ও রসূলের আনুগত্য প্রকাশ কর। বস্তুতঃ যদি তারা বিমুখতা অবলম্বন করে, তাহলে আল্লাহ কাফেরদিগকে ভালবাসেন না।”
সুরা আলে-ইমরানঃ ৩১-৩২।
বৌদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্ম নিয়ে কিছু কথা…
বৌদ্ধ ধর্মে সৃষ্টিকর্তার কোন অস্তিত্ব নেই, কারণ বৌদ্ধ ছিলো আসলে একজন বৈরাগ্যবাদী ও সংশয়বাদী (agnostic). বনে জংগলে ধ্যান করতে করতে সে এক শয়তানকে পেয়ে যায় – আর তখন থেকে সে সিদ্ধি পেয়ে গেছে বলে প্রচার করা শুরু করে। যাইহোক, তার ধর্মের মূল বক্তব্য হচ্ছে “বৈরাগ্যবাদ/সন্ন্যাসবাদ” যা হিন্দুদের সাধু সন্যাসী, যোগী, খ্রীস্টানদের ধর্মগুরু ও ভ্রান্ত শিয়া ও সূফীবাদীদের মাঝে দেখা যায়। বিয়ে না করে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াও, ভিক্ষা করে খাও – আর বিভিন্ন ধর্ম মিলিয়ে একটা খিচুড়ি মার্কা ধর্ম প্রচার করো। এই সবগুলো ধর্মে একটা কমন বিষয় হচ্ছে এরা বিয়ে করেনা – কিন্তু জীবনের একটা পর্যায়ে নানান ধরণের যৌন কেলেংকারীতে লিপ্ত হয়। বৌদ্ধ তার ধর্মের এটা ধরতে পেরে সে নিজেই বলেছিল, আমার আশ্রমে নারীদের না ঢুকালে সারা বিশ্বে আমার ধর্ম ছড়িয়ে পড়তো। অর্থাৎ, তার আদর্শের অনুসারী লোকেরা ধর্ম মানতে গিয়ে যে আসলে খারাপ কাজেই লিপ্ত হবে, এটা সে জীবদ্দশাতেই টের পেয়েছিলো। অনুরূপ দেখা যায় খ্রীস্টান চার্চের ফাদাররা আসলে কুমারী নান ও শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের সাথে জড়িত, যার কারণে তাদের তাগুত দেবতা “পোপকেও” ক্ষমতা চাইতে হয়। এই হচ্ছে মানব রচিত ধর্মগুলোর অবস্থা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“তার প্রতি আল্লাহর লানত যে একজন বেদাতীকে সম্মান করে।”
বেদাতী সেতো একজন মুসলমান, তারপরেও ভুল ইসলাম প্রচার করার কারণে, তার প্রতি আল্লাহর লানত!
তাহলে, যে একজন কাফের, শয়তান ও তাগুতকে প্রশংসা করে, তার আদর্শ মুসলিমদের মাঝে প্রচার করে তার প্রতি আল্লাহর কত বড় লানত???
আমরা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সমস্ত খবিস শয়তান, যারা মানুষকে আল্লাহর রাস্তা থেকে বিচ্যুত করে তাদের থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই…