সাইয়েদ কুতুব,
চরমোনাই পীর, মওদুদী, তাবলিগ জামাত ইত্যাদি বেদাতী পীর, পথভ্রষ্ট ফেরকা বা দল, লেখক
ও বক্তাদের সমালোচনা করলে কিছু মানুষ কোমর বেধে নামে গালি দেওয়ার জন্য। কিছুদিন ধরে
অশ্লীল গালিগালাজ করছে পেজের কমেন্টে, মেসেজে...
কিছু মানুষের
স্বভাবটাই হচ্ছে - পোস্ট যদি মনমতো না হয় তাহলেঃ
আপনি অমুক তমুক
(গালি)…
এডমিন কিন্তু
ইসলামের দুশমন!
তুই রাজাকার,
জামাত-শিবির
তুই নাস্তিক…
(নাউযুবিল্লাহ,
আরো অনেক আছে যা টাইপ করার অযোগ্য। এরা আবার মুসলিম!)
ভাই, আপনি গালি
দিচ্ছেন দেন।
জবাবে আমি শুধু
শায়খ মাকবিল রাহিমাহুল্লাহর মতো বলবোঃ
“আমার শত্রুরা
আমার বিরুদ্ধে যা বলতে চায় বলুক, কারণ আমার পাপ অনেক। আমি আশা করি তাদের গীবতের কারণে
আমার পাপকে হালকা করা হবে আর তাদের উপর সেই পাপের বোঝা চাপানো হবে”।
- শায়খ মাকবিল বিন হা’দী আল-ওয়াদী (রাহিমাহুল্লাহ)
হক্কের কথা
বললে মানুষ বিরোধীতা করবেই – এইটা সমস্ত নবী রাসুলদের তরীকা ছিলো যে পথভ্রষ্ট লোকদের
মাঝে তাদের শত্রু সৃষ্টি হয়েছিল!
কিন্তু জেনে
রাখো, কুরান ও সুন্নাহ বিরোধী কিছু দেখতে পেলে ইন শা আল্লাহ আমাদের পেজে তা প্রকাশ
করা হবে, তোমরা যতই গালি দাও – গালি দিয়ে হক্ককে থামিয়ে রাখতে পারবেনা।
শায়খ মাকবিল
রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ
“আমাদের দাওয়াত
হচ্ছে কুরআন ও সুন্নাহ দিয়ে মানুষকে কুরআন ও সুন্নাহর দিকে আহবান করা।”
আল্লাহর কাছে
আশা রাখি - বিরোধীতাকারীদের বিরোধীতা ও সমালোচনাকারীদের সমালোচনাকে উপেক্ষা করে মৃত্যু
পর্যন্ত যেন কাফের, মুনাফেক, মুশরেক ও পথভ্রষ্ট, গোমরাহ, বিদাতী, মনপূজারীদের বিরুদ্ধে
হক্কের খেদমতে জীবনটাকে উতসর্গ করতে পারি - আমিন।
বিঃদ্রঃ ছবির
হাদীসটা বুখারী থেকে নেওয়া। এক হাদীসে ৩টা অন্য হাদীসে ৪টা বলা হয়েছে - দুইটাই সহীহ
হাদীস। এখানে মুনাফেকের প্রধান গুণগুলো উল্লেখ করা হয়েছে - একটাতে ৩টা গুণ আরেকটাতে
৪টা। তাই গালিবাজ লোকদের সাবধান হওয়া উচিত - আগে নিজের চরিত্র ঠিক করে, ইসলাম শিখে
পরে মন্তব্য করেন। অন্ধের মতো গালি দিবেন - সম্ভাবনা আছে, মুনাফেকের স্বভাব নিয়ে চলার
কারণে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থাতেই জাহান্নামে যাবেন - নাউযুবিল্লাহ।
admin : আনসারুস
সুন্নাহ
১৫ই রজব, ১৪৩৫।