এফ এম মুফতিদের
থেকে সাবধান!
আলেম হোক আর
জালেম হোক, আজকাল টিভিতে ওয়াজ করে, ইউটিউবে ভিডিও ছেড়ে দিয়েই অনেকে নিজেকে বড় “ইমাম”,
“মুফতি”, “মুহাদ্দিস” দাবী করছে!
ফেইসবুক ইন্টারনেট
ইত্যাদি মাধ্যমে ভালো-মন্দ লিখে অনেকেই এখন “ইসলামিক সেলেব্রেটি” (অজ্ঞ দ্বাইয়ী) হিসেবে
জনপ্রিয়…
অনেকে এমন জনপ্রিয়তাকে
কাজে লাগিয়ে মনগড়া ফতুয়াবাজি শুরু করেছে…
কুরান, হাদীস,
ইসলামী জ্ঞানে অভিজ্ঞ আলেম না হয়েই আজকাল মানুষ ফতোয়া দেওয়ার অধিকার দাবী করছে। এমনও
আছে বাংলাতে কিছু কুরানের আয়াত বা হাদীসের অর্থ পড়েই ফতোয়া দিচ্ছে, ২-১ বছর ইফতা ডিগ্রী
নিয়েই “মুফতি” সেজে বসে আছে!
ফতোয়াবাজির
কিছু নমুনাঃ
Ø
দাড়ি রাখা সুন্নত, দাড়ি
রাখা ফরয-ওয়াজিব কিছুনা। মানুষ এমনও বলে – দাড়ি রাখার প্রতি জোর দেওয়া কবীরা গুনাহ!
অথচ, চার মাযহাবের আলেমরা একমত হয়েছেন – দাড়ি রাখা এটা পুরুষদের
জন্য শুধু ফরয-ওয়াজিবই না, এটা পৌরুষত্বের প্রতীক – শেইভ করা মুশরেক ও খারেজীদের কাজ!
Ø
আল্লাহর জন্য হলে গান-বাজনা
জায়েজ! নাচানাচিও জায়েজ!
চরমোনাই, আটরশি,
মাইজভান্ডারী ইত্যাদি পীরের মুরীদেরা এইগুলো নিয়ে বেশরমের মতো তর্ক-বিতর্কও করে!
Ø
নারী পুরুষের মাঝে খারাপ
চিন্তা না আসলে(!) তারা দেখা-সাক্ষাত, মেলামেশা করতে পারে
বিষয়টা এমন - আমি মদ খাই কিন্তু মাতাল হইনা, সুতরাং মদ খাওয়া জায়েজ
(নাউযুবিল্লাহ)।.
আর খারাপ চিন্তা আসেনা মানে? তুমি কি অসুস্থ নাকি অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক?
সেকি তোমার মায়ের পেটের বোন? না হলে, তুমি কি তাকে মায়ের পেটের বোন মনে করো? তোমার
জ্ঞাতার্থে জানাতে বাধ্য হচ্ছি – তোমার আগেও এমন কথা বহু মানুষ বলেছে – কিন্তু শেষমেষ
ঐ ছেলে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে, জেনা করেছে, মেয়ের পেটে বাচ্চাও এসেছে এমনও আছে, পরে
মেয়ে এসে ফতোয়া জিজ্ঞেস করে ঐ বাচ্চা এবরশান করানো যাবে কিনা (উত্তর হচ্ছে, নাহ!) –
খোজ নিয়ে দেখো সতর্ক হও – প্রবৃত্তির গোলামীকে প্রশ্রয় দিবানা।
এইরকম প্রবৃত্তির গোলামী করে
যার মনগড়া কথা বলে, আলেম না হয়েও ফতোয়াবাজি করে আর হালালকে হারাম আর হারামকে হালাল
বলে ফতোয়া দেয় তাদের জন্য এই আয়াতঃ
“আপনি কি তাকে দেখেন না, যে তার
প্রবৃত্তিকে ‘ইলাহ’ হিসেবে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করে? তবুও কি আপনি তার যিম্মাদার হবেন”?
সুরা আল-ফুরক্বানঃ ৪৩।
এফ এম মুফতিদের মনগড়া ফতোয়াবাজির
জন্য কঠর শাস্তিঃ
“তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ
যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে
বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে,
তাদের মঙ্গল হবে না। তারা যৎসামান্য সুখ-সম্ভোগ ভোগ করে নিক। তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক
শাস্তি রয়েছে।”
সুরা নাহলঃ ১১৬-১১৭।
সর্বশেষ, রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটা গুরুত্বপূর্ণ হাদীসঃ
“আমার উম্মতের
জন্য আমি ৩টা জিনিসের ব্যপারে বেশি ভয় করি। তার মাঝে প্রথম হচ্ছেঃ আয়াম্মায়ে দ্বোয়াল্লিন
বা পথভ্রষ্ট ইমাম।
মুসনাদে আহমাদ,
হাদীসের সনদ সহীহ।
পথভ্রষ্ট বক্তা,
আলেমদের ফেতনার ভয়াবহতা সম্পর্কে শায়খ সালেহ আল-ফাওজান বলেনঃ
“বর্তমান যুগে
অন্য অনেক ফেতনার সাথে এই উম্মত সবচাইতে বড় যে ফেতনার সম্মুখীন সেটা হচ্ছে - অনেক দ্বায়ী
আছে যারা ইলম ছাড়া অজ্ঞতাবশত মানুষকে গোমরাহী ও বাতিলের দিকে দিকে দাওয়াত দিচ্ছে।”