বিভ্রান্ত দল বা মতবাদের অনুসারী
শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের কিছু নজিরবিহীন বক্তব্যঃ
(১) তাবলীগ জামাতঃ মাওলানা তারিক জামিল
“রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর জানাজার সালাত পড়তে
স্বয়ং আল্লাহ চলে এসেছিলেন।”
(২) জামাতে ইসলামীঃ দেলোয়ার হোসেন সাঈদী
“নারী
নেতৃত্বকে আমরা হারাম বলিনি, ইসলাম এটাকে হারাম বলেনি। নারী নেতৃত্বকে ইসলাম হারাম
বলেনি।”
(৩) ইখোয়ানুল মুসলিমিন বা মুসলিম
ব্রাদারহুডঃ সাইয়েদ কুতুব
“বিগত কয়েকশ বছর ধরে বিশ্বের কোথাও কোন
মুসলিম সমাজ নেই।”
(৪) ওয়েস্টার্ণ মুসলিম স্কলারঃ ইয়াসির
ক্বাদী
“(সমস্ত) আলেমরা কয়েক ধাপ সামনে দেখতে পারিনা, একারণে তারা উমার সিরিজ
দেখা হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছে। আমি নিজে উমার সিরিজ দেখেছি, এটা
দেখে আমার ঈমান বৃদ্ধি পেয়েছে।”
(৫) মডার্ণ সূফীঃ হামযা ইউসুফ
“আকিদাহ খুব সাধারণ একটা জিনিস, যা সামান্য কয়দিনেই শেখা
যায়। আকিদাহ শিক্ষার উপরে জোর দেওয়া একটা ব্যাধি।”
(৬) সেলেব্রিটি স্পিকারঃ নোমান আলী খান
“একজন সাহাবী তার স্ত্রীর প্রতি এতো বেশি
জেলাস ছিলো যে, সে তার স্ত্রীকে সালাতরত অবস্থায় ধাক্কা দিয়ে ডিসটার্ব করতো। ঐ
সাহাবীর যন্ত্রনায় তার স্ত্রী ঠিকমতো সালাত পড়তে পারতোনা।”
“সাহাবীরা শুদ্ধ উচ্চারণে ক্বুরান পড়ার জন্যে
আমাদের মতো এতো জোর দেন নি। একজন নওমুসলিম ‘মুশরিকিন’ শুদ্ধভাবে পড়তে না পারলে একজন সাহাবী তাকে মুশরিকিন
এর পরিবর্তে ‘ফুজ্জার’ তেলোয়াত করতে বলেন।”
(৭) দেওবন্দীঃ মাওলানা মহিউদ্দীন খান
“যারা প্রশ্ন করে যে, আল্লাহ কোথায়, হয়তোবা
তাদের মস্তিষ্ক বিকৃত। আর নয়তো তারা ইয়াহুদীদের গোপন এজেন্ট।”
(৮) আইসিসঃ আব্দুল্লাহ ফয়সাল
“যে ব্যক্তি ইসলামিক স্টেইট (IS) এর কাছে বায়াত করেনা,
সে একজন মুনাফিক এবং, তার স্ত্রী তার জন্যে
হারাম।”
(৯) আইসিসঃ আবু বারা
“বর্তমানে মক্কা মদীনা দারুল কুফর বা দারুল
হার্ব। মক্কা মদীনার মুসলিমদের যাদের সামর্থ্য আছে তাদের জন্যে ওয়াজিব হচ্ছে হিজরত
করে বাগদাদ চলে যাওয়া।”
উপরের
উল্লেখিত বক্তব্যগুলোর কোনটা শিরক, কোনটা কুফুরী, কোনটা জঘন্য মিথ্যা অপবাদ। যে
ব্যক্তি আসলে মূর্খ, কিন্তু
নিজেকে আলেম বলে মনে করে, তাকে জাহেল আল-মুরাক্কাব বলা হয়। আল্লাহ
আমাদেরকে জাহেল আল-মুরাক্কাব-এর ফেতনাহ থেকে বাঁচান।