প্রশ্নঃ লালন ফকিরের গান শোনা যাবে? তার মাজারে
সাধুদের ব্যপারে কি বলবেন?
উত্তরঃ আমাদের দেশের অনেক মুসলমানেরা মরমী বাউল
সাধক লালন শাহের গান শুনে আর মনে করে আধ্যাতিক বা রোমান্টিক গান শুনছে। অথচ লালন শাহ
তার কবিতা ও গানের মাঝে সুস্পষ্ট শিরক, কুফর ও ধর্মদ্রোহীতা প্রচার করে গেছে, কারণ
মূলত সে ছিলো একজন নাস্তিক। কোন ব্যক্তি লালন শাহের গানের কথা বিশ্বাস করলে তার ঈমান
নষ্ট হয়ে সে কাফির মুর্তাদ হয়ে যাবে। এমনকি কেউ যদি সেইগুলো বিশ্বাস না করে, শুধুমাত্র
মনোরঞ্জনের জন্যে শুনে, তবুও আল্লাহর লানত ও গজব তার উপরে পড়বে। বর্তমানে লালন ফকিরের
ওরশ উপলক্ষ্যে তার মাজারে মদ-গাজা ও বেহায়াপনার আসর বসে, যেখানে বেনামাজী, নাপাক কিছু
মুশরেক গিয়ে জড়ো হয়। লালন ফকিরের তরিকাতে বিশ্বাসী বা অনুসারী যারা, তারা নিজেদেরকে
মুসলিম দাবী করলেও তারা কাফের। লালন ফকিরের মুরিদেরা তাকে সিজদা করতো, কারণ লালন বিশ্বাস
করতো প্রত্যেক মানুষের মাঝেই সৃষ্টিকর্তা বসবাস করেন, নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক! লালনের
মুরিদেরা নারী জাতির পূজারী। তারা বিয়ে শাদী ছাড়াই চরণ দাসী নাম নাম দিয়ে নারীদেরকে
অবৈধভাবে নারীদেরকে ভোগ করার নীতিতে বিশ্বাসী। কুষ্টিয়া অঞ্চলে লালন পূজারী অনেক মুশরিক
রয়েছে, আমাদের উচিৎ তাদেরকে শিরক ত্যাগ করে ঈমান গ্রহণ করার জন্যে দাওয়াত দেওয়া। আর
লালনের গানে কৌশলে ২-১টা ধর্মীয় বা আধ্যাত্বিক কথার আড়ালে আসলে যে নাস্তিকতা ও শিরকের
দিকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে, এ ব্যপারে সরলমনা মুসলমানদেরকে সতর্ক করতে হবে।