কাফির দেশে বসবাসকারী কিছু ইসলামিক বক্তা কাফিরদেরকে
সন্তুষ্ট করে, এমন বিভ্রান্তিকর ওয়াজ-লেকচার দিয়ে তরুণদের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। অথচ তাদের
ইসলাম সম্পর্কিত জ্ঞানে রয়েছে মারাত্মক ত্রুটি। তাদের মন ভোলানো আধা ইসলামিক কথা-বার্তা
শুনে, মিডিয়াতে চমকপ্রদ উপস্থাপনা থেকে অনেক ভক্ত শ্রোতারাই তাদেরকে আলেম মনে করে ধোঁকার
মাঝে রয়েছেন। এদের মাঝে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যে, ১০টা হাদীস জানে কিনা সন্দেহ, হাদীস
নিয়ে জঘন্য মিথ্যা কথা বলে, তবুও নিজেকে ‘ক্বুরান এক্সপার্ট’, ‘মডারেট আলেম’ বলে দাবী করে ক্বুরান-হাদীসের মনমতো ব্যখ্যা
করে. . .বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ব্যপার হচ্ছে, তাদের অনেকের মুখে দাঁড়ি নেই, বা নিয়মিত
ট্রিম করে এমন ফ্যাশানের দাঁড়ি। অনেকের কাপড় টাখনুর নিচে এবং সবার সামনেই টাখনুর নিচে
কাপড় ঝুলিয়ে ক্বুরান শীক্ষা(!) দিতে বিন্দুমাত্র লজ্জা বোধ করে না। অথচ নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তিন
প্রকার লোক এমন রয়েছে, যাদের সাথে আল্লাহ কথা বলবেন না, আর না কেয়ামতের দিন তাদের দিকে
তাকাবেন, আর না তাদের পবিত্র করবেন বরং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।” আমি (আবু হুরাইরা) বললাম, আল্লাহর রাসূল! তারা
কারা? ওরা তো ক্ষতিগ্রস্ত! তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, “টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী, ব্যবসার সামগ্রী
মিথ্যা কসম দিয়ে বিক্রয়কারী এবং কাউকে কিছু দান করার পর তার খোটাদাতা।” [সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, নং ২৯৪]
দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এমন জাহিল বক্তাদেরকে অনেকে
আলেম মনে করে, অন্ধ ভক্তিতে তাদের ভ্রান্ত কথা-বার্তাগুলোকে সঠিক বলে মনে করে তাদের
পক্ষ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে। অবশ্য এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই কারণ,
যেমন বক্তা, তেমনই তার শ্রোতা।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কেয়ামতের একটা লক্ষণ হচ্ছে যে, মানুষ জাহেল
(মূর্খ) লোকদের কাছ থেকে ইলম (দ্বীনের জ্ঞান) অর্জন করবে।”
[তাবারানি, জামি আস-সাগীরঃ ২২০৩]
আল্লাহ আমাদেরকে গোমরাহী থেকে হেফাজত করুন, আমিন।