দাওয়াতী কাজ আসলে একটা যুদ্ধ এবং অনেক বড়
দায়িত্ব। এর জন্যে সবচাইতে বেশি প্রয়োজন ইখলাস, জ্ঞান, ধৈর্য, হিকমাহ। এই যুদ্ধের প্রতিপক্ষ হচ্ছেঃ
১. শয়তান, সবচাইতে বড় শত্রু
২. কাফের, মুশরেক, নাস্তিক
৩. মুনাফেক যারা মুখে ঈমানের দাবী করে
কিন্তু অন্তরে ইসলামের বিরুদ্ধে।
এরা সকলেই ইসলামের শত্রু, কাফেররা প্রকাশ্যে আর
মুনাফেকরা গোপনে। এছাড়া অনেকে আছে মুসলিম, কিন্তু তারা জেন
অথবা না জেনে দাওয়াতের বিপক্ষেঃ
৪. পথভ্রষ্ট আলেম, যারা জাহান্নামের দরজায়
দাড়িয়ে মানুষকে গোমরাহীর দিকে দাওয়াত দেয়।
৫. মনপূজারী, বিদাতী ও পাপী মুসলমান,
যারা প্রবৃত্তি কিংবা অজ্ঞতার দরুণ খেয়াল খুশি মতো দ্বীনকে পরিবর্তন
করতে চায়।
৬. অনেক সময় একজন দ্বাইয়ীর নফস ও খারাপ
চরিত্র, কট্টরপন্থা
অবলম্বন দাওয়াতের জন্যে বড় বাধা।
অনেকে ব্যক্তিগত জীবনের চাওয়া-পাওয়াকে ঘিরে
এই যুদ্ধে আস্তে আস্তে হতাশ কিংবা অধৈর্য হয়ে পড়েন, কেউ নিজস্ব মন্দ চরিত্রের
প্রকাশ ঘটান তার দাওয়াতী কাজে, কেউবা উৎসাহ হারিয়ে শয়তানের
প্ররোচনায় একসময়ে বসে পড়েন।
অথচ, আমরা যদি সত্যিই আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্যে কাজ করি এই বিষয়গুলো বর্জন করা উচিত। আমাদেরকে আমাদের সীমাবদ্ধতা
জানা থাক উচিত, নিজেদের ভুল স্বীকার করা এবং আলেমদের উপদেশ
গ্রহণ করার মতো মানসিকতা থাকা উচিত। নিজের ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ করার লোভ
(একপ্রকার ত্রুটি) এবং মানুষের মাঝে সুনাম অর্জন করার মোহ (রিয়া) থেকে বেড়িয়ে আসা
উচিত। ঠাট্টা মজাক করে, কটাক্ষ করে কাউকে অপমান করা, মূর্খতা বা জেদের বশবর্তী হয়ে মুসলিমদের মাঝে অপ্রয়োজনীয় ইখতিলাফ চালু করা,
দাওয়াতের জন্যে ক্ষতিকর এমন যেকোন কথা ও কাজ পরিহার করা অবশ্য
কর্তব্য। সর্বদাই মুসলিম ভাইদের মংগল কামনা করা, তাদের
উপকারে আসে এমন কথা ও কাজে নিজেক সম্পৃক্ত করা, আর না পারলে
অন্তত মুসলিমদের জন্যে ক্ষতিকর ও বেহুদা কথা ও কাজ থেকে নিজেকে হেফাজত করা একজন
মুসলিম এর জন্যে বড় দায়িত্ব।