কেউ স্বপ্ন দেখলে কি করবে?
***রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, নেক স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে,
অতএব যখন তোমাদের মধ্যে কেউ স্বপ্নে এমন কিছু দেখে যা তার কাছে ভালো লাগে সে যেনো তা
তার প্রিয় ব্যক্তি ছাড়া অপর কারো নিকট ব্যক্ত না করে। আর সে যদি স্বপ্নে এমন কিছু দেখে
যা সে অপছন্দ করে, তখন সে যেনো তা কারো নিকট না বলে। বরং, তার বাম দিকে তিনবার থুথু
ফেলে বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, আর আশ্রয় প্রার্থনা করে
ঐ অনিষ্ট থেকে যা সে দেখেছে। (তিনবার ) সে যেনো তা কারো নিকট না বলে। অতঃপর যে পার্শ্বে
সে শুয়েছিলো তা পরিবর্তন করে।
সহীহ মুসলিম ৪/১৭৭২, ১৭৭৩, সহীহ বুখারী- ৭/২৪।
*** রাতে উঠে নামায পড়বে যদি তার ইচ্ছা করে।
সহীহ মুসলিম- ৪/১৭৭৩।
*** হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ “নবুওতের কিছু অবশিষ্ট থাকবেনা সুসংবাদ সমূহ ছাড়া। লোকেরা জিজ্ঞেস
করলো সুসংবাদ সমূহ কি? তিনি বললেনঃ স্বপ্ন।
সহীহ বুখারী।
***হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে আরো বর্ণনা
করেছেন। তিনি বলেছেনঃ “যখন জামানা (অর্থাৎ কিয়ামত)
নিকটবর্তী হয়ে যাবে, মুমিনের স্বপ্ন মিথ্যা হয়ে যাবেনা। মুমিনের স্বপ্ন হচ্ছে নবুওতের
৪৬ ভাগের ১ ভাগ।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম।
***আবু কাতাদাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) বলেছেনঃ ‘সুস্বপ্ন’, অন্য রেওয়ায়েতে বলা হয়েছেঃ ‘ভালো স্বপ্ন’ – আল্লাহর পক্ষ
থেকে হয় আর খারাপ স্বপ্ন হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। কাজেই কোনো ব্যক্তি যদি এমন কিছু স্বপ্ন
দেখে যা সে অপছন্দ করে তাহলে সে যেনো বাঁ দিকে তিন বার ফুঁ দেয় (থুথু দেওয়ার মতো ফু
দেবে, কিন্তু কোন থুতু ফেলবেনা), এবং শয়তানের (ক্ষতি) থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়।
(তাহলে) এ স্বপ্ন তার কোনো ক্ষতি করতে পারবেনা।
সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম।
***জাবির (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোনো অপছন্দনীয় স্বপ্ন দেখে তখন সে যেন বাঁ দিকে তিন বার
থুথু দেয় এবং তিনবার শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় অর্থাৎ ‘আউযু বিল্লাহ হিমিনাশ শাইতানির রাযীম’ পড়ে।
আর যে পার্শ্বে সে শুয়েছিলো তা পরিবর্তন করে।
সহীহ মুসলিম।
***উপরের সবগুলো হাদীস ‘হিসনুল মুসলিম’ ও ‘রিয়াদুস সালেহীন’
বই থেকে নেয়া***