এই লেখাটা রাজশাহী থেকে দ্বীনি
এক বোন লিখে পাঠিয়েছেন। সমস্ত দ্বীনি বোন যারা হিজাব-পর্দাকে ভালোবাসেন না, অথবা আধুনিক
হিজাব পর্দার ধোঁকায় পড়ে আছেন, তাদের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি...
_____________________________
আল্লাহর কোন সৃষ্টিই বেপর্দা
নয়। পৃথিবী থেকে শুরু করে পৃথিবীর সকল সৃষ্টির জন্য আল্লাহু পর্দার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
যেমন-পৃথিবীর পর্দা নীল আকাশ; নদ-নদী, সাগর-মহাসাগর এর মাঝে যা কিছু আছে তা্দেরও আল্লাহু
পর্দার মধ্যে রেখেছেন পানির পর্দা দিয়ে।এমন কোন ফল নেই যে ফলের পর্দা নেই। এভাবে গোটা
সৃষ্টিই রয়েছে পর্দায় পরিবৃত।আল্লাহুর সৃষ্টির সেরা জীব, আল্লাহুর প্রিয় জিনিস মানুষ
সে কি করে পর্দার বিধানের বাহিরে থাকতে পারে?
আল্লাহু চোখের পর্দা, শ্রবণ
শক্তির পর্দা, বিবেকের পর্দা, ভাল-মন্দ পরখ করার জ্ঞানের পর্দার ব্যবস্থা আমাদের মধ্যে
সৃষ্টি করে রেখেছেন। নারীর জন্য সে ব্যবস্থা তিনি সুস্পষ্ট নির্দেশনাও দিয়েছেন।
আল্লাহু রাব্বুল আলামীন সূরা
আহযাবের ৫৯ আয়াতে এরশাদ করেছেনঃ
“হে নবী ! আপনি আপনার স্ত্রীগনকে,
কন্যাগনকে ও মুমিন মহিলাগনকে বলে দিন, তারা যেন উপর দিক থেকে নিজেদের চাদরের আচল ঝুলিয়ে
দেয়, এতে তাদের চেনা সহজতর হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না।আল্লাহু ক্ষমাশীল ও পরম
দয়ালু”।
এছাড়াও সূরা নূরে আল্লাহু বলেছেনঃ
“হে মুহাম্মদ (সাঃ), মুমিন
স্ত্রী লোকদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং নিজেদের যৌনাঙ্গের হিফাযর
করে ও নিজেদের সাজসজ্জা প্রদর্শন না করে কেবল সেই সব ছাড়া যা আপনা হতে প্রকাশিত হয়ে
পরে”।
আমরা নারীরা আল্লাহুর এই কথা
গুলো কি কখন ভেবে দেখেছি, আমরা আজ কোন অবস্থাতে আছি? আল্লাহুর এই আদেশ গুলো মেনে না
চলার কারনে প্রতি নিয়ত আমার যে শ্লীলতাহানি শিকার হচ্ছি , সতীত্ব হারাচ্ছি তা কি ভেবে
দেখেছি?
আমাদের মাঝে এমন অনেক বোন আছেন
যাদের কে পর্দার কথা বলা হলে বলেন মনের পর্দাই আসল পর্দা, আবার অনেকে বলেন আমি কি শালীন
পোশাক করছি না, হিজাব পরের কি আছে, আবার আমন অনেক বোনকে দেখা যাই যারা পর্দা করেন ঠিকি
কিন্তু ওটাকে পর্দা বলা যাই না।
বোন হে! নবী (সাঃ) এর স্ত্রীগন,
কন্যাগন কি শালীন পোশাক পরতেন না? তার পরও কেন আল্লাহু পর্দার বিধান করে দিলেন, বলতে
পারো?
আল্লাহু রাব্বুল আলামীন আমাদের
জন্য যে সব বিধান দিয়েছেন তা শুধু মাত্র আমাদের ভালোর জন্যই। পর্দার বিধানও তার ব্যতিক্রম
নই। পর্দার সাহায্যে নারীরা সকল সামাজিক ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃংখলা থেকে নিজেদের মুক্ত
রাখতে পারে।
কিন্তু আমরা নারীরা পর্দা না
করার কারনে ফিতনা-ফাসাদ ও বিশৃংখলা মাঝে দিন দিন পতিত হচ্ছি। নারী মায়ের জাত, একদিন
তাকে মা হতেই হবে, সে দিন সন্তানকে কি জবাব দিবেন, বলতে পারবেন আমি পবিত্র ছিলাম, আর
তুমিও পবিত্রতা রক্ষা করে চলো।
তাই তো কবি আল্লামা আব্দুর
রহমান আল-কাশগরী (রহঃ) বলেছেনঃ সন্তানের চরিত্রের ভাল-মন্দ যাচাই হয় তার মাতার চরিত্রের
ভিত্তিতে। আর সম্রাট নেপোলিয়ন এর কথাটা তো আমরা সবাই জানিঃ
“Give me a good mother, I
shall give you a good nation”।
বোন হে! এসো না আমরা আল্লাহর
বিধান মেনে চলি, নিজেদের পবিত্রতা রক্ষা করে চলি, হিজাব পরিধান করি।
(Collected)