মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৪

হালাল/হারাম...

হালাল/হারাম...

বাজার থেকে নতুন পোষাক কিনে সেটা দিয়ে নামায পড়া যাবে, কারণ সেটা পাক। কোন কিছু নাপাক বলতে হলে সেটার জন্য প্রমান থাকতে হবে, দুনিয়ার সবকিছু পাক, সেইগুলো ছাড়া যেইগুলোকে কুরআন ও হাদীসে নাপাক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এমনিভাবে যেকোন স্থান বা মাটিতে নামায পড়া জায়েজ ও পাক, যদিনা সেই জায়গায় স্পষ্ট কোনো নাপাকী চোখে পড়ে। অহেতুক সন্দেহ বা ধারণা থেকে কোনো কিছুকে হারাম বা নাপাক বলার অধিকার কারো নাই। তবে হ্যা, কোন একটা কিছু সন্দেহ হলে বা পছন্দ না হলে আর এর পরিবর্তে সন্দেহমুক্ত কিছু থাকলে সেটাই গ্রহন করা উত্তম।

আর খাবার জিনিস সবকিছু হালাল, শুধুমাত্র সেইগুলো ছাড়া যেইগুলোকে কুরআন ও হাদীসে হারাম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। হারাম জিনিসের মাঝে রয়েছে - মদ, শূকর, রক্ত, মৃত প্রাণী, হিংস্র প্রাণী ইত্যাদি এমন। এছাড়া সব হালাল। ব্যতিক্রম হচ্ছে মাছ ও আরব দেশের একপ্রকার ঘাসফড়িং (Locust) আছে যেটা খাওয়া হালাল - এইগুলো মৃত হলেও খাওয়া যায়। কেউ যদি কোনটাকে হারাম/মাকরুহ বলতে চায়, তাহলে আমাদেরকে সেটা যে হালাল তার জন্য দলীল পেশ করতে হবেনা, বরং কেউ যদি হারাম/মাকরুহ বলতে চায় - তাহলে তার সেই কথার দলীল দিতে হবে কুরআন ও হাদীস থেকে। কোনো ইমাম বা আলেম, কোন মাযহাব, কোন বুজুর্গ কোনো কিছুকে হারাম/মাকরুহ সাব্যস্ত করতে পারেনা, কুরআন ও হাদীসের দলীল ছাড়া।

এই বিষয়ে সুন্দর একটা উদাহরণ হচ্ছে চিংড়ি মাছ। যদিও চিংড়ি কোন মাছ না, এটা একটা Arthropoda প্রাণী, কিন্তু যেহেতু মানুষ এটাকে খাদ্য হিসেবে খায় আর কুরআন ও হাদীসে কোথাও এটা খাওয়া যাবেনা - এই কথা বলা নাই - সুতরাং এটা খাওয়া সম্পূর্ণ হালাল। অনেকে বিশেষ করে হানাফী মাযহাবের কিছু লোক বলে - এটা মাকরুহ বা আপছন্দনীয় - এই কথার দলীল নেই, তাই আমরা এটাকে হালাল বলেই মনে নেব, মাকরুহ বা আপছন্দনীয় বলবোনা।