কুরানের কথা প্রমানিত (ভিডিওসহ):
আসমান ও জমীনে যা কিছু আছে সবকিছুই আল্লাহর
অনুগত।
আল্লাহ বলেন, “আসমান ও যমীনে যা কিছু
রয়েছে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সকলেই তাঁর
প্রতি অনুগত এবং তাঁর দিকেই ফিরে যাবে”।
সুরা আলে-ইমরান, আয়াত ৮৩।
সুতরাং, সকল পশু প্রাণী এমনকি কুকুর-বিড়াল পর্যন্ত আল্লাহর অনুগত অর্থাৎ তারাও “মুসলিম”।
শুধুমাত্র মানুষ আর জিন এই দুই জাতির মধ্যেই
আল্লাহর অবাধ্য বা অমুসলিম হতে পারে। আর যারা অমুসলিম হয়, কুফুরী করে তাদেরকে
আল্লাহ পশুর থেকেও নিকৃষ্ট বলেছেন – কারণ পশু হলেও তারা কিন্তু আল্লাহর অবাধ্য নয়।
আল্লাহ বলেন,
“সমস্ত জীবের মাঝে আল্লাহর কাছে
তারাই সবচেয়ে বেশি নিকৃষ্ট, যারা
কাফির হয়েছে, অতঃপর আর ঈমান আনেনি”।
সুরা আনফাল, আয়াত ৫৫।
“আপনি কি মনে করেন যে, তাদের
অধিকাংশ শোনে বা বোঝে? তারা
তো চতুস্পদ জন্তুর মত, বরং তার চেয়ে বেশি পথভ্রষ্ট”।
সুরা আল-ফুরক্বান, আয়াত ৪৪।
“আহলে-কিতাব ও মুশরেকদের মধ্যে যারা কাফের, তারা জাহান্নামের আগুনে চিরকাল থাকবে। তারাই হচ্ছে
সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিকৃষ্ট”।
সুরা আল-বায়্যিনাহ, আয়াত ৬।
কাফির, মুশরেকরা কেনো সবচাইতে বেশী নিকৃষ্ট?
কারণ তারা তাদের রব্বকে স্বীকার করেনা, একমাত্র আল্লাহকে উপাসনা না করে বহু
মাবুদের পূজা করে।
অবশ্য আল্লাহকে না মানার কারণে মানুষ
হিসেবেও তারা অনেক নিচে নেমে যায়। নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে বছরের পর বছর, মানুষকে
হত্যা করে রক্ত, মাংশ খায়, মা-বাবাকে খুন করে আরো কতো নিকৃষ্ট কাজ করতে পারে তা
একজন সুস্থ মানুষ কোনোদিন কল্পনাই করতে পারবেনা।
ভিডিওটাতে দেখুন, একটা কুকুরেরও স্বজাতির
প্রতি যে দয়া মায়া দেখা যায়, চীনা কাফের মুশরেকদেরা তার ধারে কাছেও নাই।
রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে একটি কুকুর মাঝপথে
পড়ে থাকতে দেখে অন্য আরেকটা কুকুর এগিয়ে যায় বাঁচানোর জন্য। আস্তে আস্তে সে সরিয়ে
নেয়, পরে মানুষ এসে উদ্ধার করলে প্রাণে বেঁচে যায় কুকুরটা।
পক্ষান্তরে চীনের মার্কেটে একটা বাচ্চা
এক্সিডেন্ট করে পড়ে থাকে, একে একে একুশজন চীনা (যাদের ৯০% বা তার বেশী কাফের,
মুশরেক অথবা নাস্তিক) আহত বাচ্চাটাকে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার
করে হাসপাতালে পাঠালেও অনেক দেরী হয়ে যাওয়ায় আর বাচানো সম্ভব হয় নি বাচ্চাটাকে।
তবে এখন মুসলমান দেশগুলোতে নামধারী অনেক
মুসলমানদের মধ্যেও ডাইরেক্ট শিরকি আর কুফুরী ঢুকে পড়েছে। মাজার পূজা, কবর পূজা,
পীর পূজা, জাদু, জ্যোতিষী, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ – ইত্যাদি ঈমান নষ্টকারী
কুফুরী আর শিরক ঢুকে পড়েছে। আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের আগেই বলে দিয়েছিলেন, “আমার
উম্মতের একটা অংশ মুশরেকদের সাথে মিশে যাবে”। আর সত্যিই মুসলমানদের মধ্যে বড় একটা
অংশ এখন শিরকের সাথে জড়িত – আর এইজন্য মুসলমানদেশগুলোতেও এখন কাফেরদের মতো অমানবিক,
বর্বর কর্মকান্ড চোখে পড়ছে – যা এইকিছুদিন আগেও কল্পনা করা যেতোনা।
নিজে শিরক সম্পর্কে সচেতন হন, শিরক আর
কুফুরীর বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলুন। শিরক আর কুফুরীর কারণে সমাজ, দেশ ও জাতি ধংস
হয়।