প্রশ্নঃ নামায কিভাবে পড়তে হবে? (পর্ব – ১)
উত্তরঃ বিসমিল্লাহ। ওয়ালহা’মদুলিল্লাহ। ওয়াস-সালাতু ওয়াস-সালামু
আ’লা রাসুলিল্লাহ। আম্মা বা’দ।
আল্লাহর উপর ভরসা করে সহজ ভাষায় সংক্ষিপ্তভাবে নিচে আমি সংক্ষিপ্তভাবে
নামায পড়ার নিয়ম বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। এখানে বিশেষ কোনো মাযহাবের না, বিশেষ কোনো
দলের না, বিশেষ কোন মতবাদের নামায বর্ণণা করা হয়নি। বরং, অতীত থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত
সমস্ত ইমাম ও আলেমদের বুঝ অনুযায়ী, কুরান ও সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেইভাবে নামায পড়েছেন, আমাদেরকে পড়তে বলেছেন তার বিশুদ্ধ
বর্ণনা দেওয়া হল।
বিস্তারিত দলীল ও যুক্তি প্রমান উল্লেখ করে আমি পোস্ট খুব বড় করতে
চাইনি। যারা দলীলগুলো জানতে চান, আমি নামাযের উপর যেই বইগুলো দিয়েছি সেইগুলো পড়বেন।
আমাদের কথাগুলো মূল কিতাবের সাথে মিলিয়ে দেখবেন, এটা আপনার দায়িত্ব যাচাই বাছাই করে
হক্ক খুজে নেওয়া। আমরা শুধু এই ব্যপারে আপনাকে কিছুটা সাহায্য করতে পারি, কিন্তু এমন
না আপনি শুধু ফেইসবুক খুলবেন আর সবকিছুই পেয়ে যাবেন। “ইলম” বা দ্বীনের জ্ঞান আপনার
কাছে যাবেনা, বরং আপনার উপর ফরয হচ্ছে ইলম তালাশ করে বের করা। আর যদি এতো সহজেই সব
পেয়ে যেতে চান, তাহলে জেনে রাখুন! সস্তার তিন অবস্থা, ফেইসবুকে মাযার পূজারীদের পেইজ
আছে, জ়েএমবি খারেজী, জঙ্গিদের পেইজ আছে, সূফীবাদীদের পেইজ আছে, অজ্ঞ জাহেল লোকেরাও
পেইজ চালায় যারা আসলে কিছুই জানেনা, আমাদের পেইজ থেকেও অনেক বড়। অন্ধভাবে অনুসরণ করে
গেলে কখন কোন জাহান্নামী দলে ঢুকে যাবেন, নিজেও টের পাবেন না, লা হা’উলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাতা
ইল্লা বিল্লাহ। আর আমাদের লেখা সঠিক মনে না হলে দলীল প্রমান উপস্থাপন করবেন, না দিতে
পারলে হক্ক মেনে নিবেন। কিন্তু একটা কথা মনে রাখবেন, অমুক হুজুর এটা বলেছে, তমুক এটা
বলেছে - এইসব চলবেনা - কুরান ও সহীহ হাদীস দিয়ে দলীল দিতে হবে। আল্লাহ আপনাদের প্রতি
রহম করুন।
বারাকাল্লাহ ফীকুম।
admin : আনসারুস সুন্নাহ
২৩শে জমাদিউস সানি ১৪৩৫ হিজরী।
________________________________
তাকবীর থেকে তাসলীম পর্যন্ত নামাযের নিয়মঃ
সুতরাঃ
নামায শুরুর আগে “সুতরা” দিয়ে নামায পড়বেন, এটা করা সুন্নত। সুতরা
হচ্ছে নামাযীর সামনে অন্তত ৩ হাত দূরে বা প্রয়োজ়ন অনুযায়ী জায়গা সামনে নিয়ে একটা খুটি,
দেয়াল বা যেকোন বাধা স্বরূপ দিয়ে নামাযীর সিজদা দেওয়ার জায়গাটুকু রিজার্ভ করে নেওয়া,
যার সামনে দিয়ে কেউ যেতে না পারে। সুতরা নিয়ে বিস্তারিত দেখুন এই পোস্টে –
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/03/blog-post_11.html
নামায শুরুঃ
পূর্ণাংগ ওযু বা প্রয়োজন সাপেক্ষে তায়াম্মুম করে পবিত্রতা অর্জন
করে, নামাযের অন্য শর্তগুলো পূরণ করে কিবলামুখী (আমাদের দেশে পশ্চিম দিকে) হয়ে পবিত্র
স্থানে দাড়াতে হবে। এসময় অন্তরটাকে আল্লাহর দিকে করতে হবে, যেন আপনি আল্লাহকে দেখতে
পাচ্ছেন। এটা সম্ভব না হলে অন্তত অন্তরে এমন অনুভূতি নিয়ে দাড়াতে হবে যে, আপনি আল্লাহকে
দেখতে না পেলেও, নিশ্চয়ই আল্লাহ আপনাকে দেখতে পাচ্ছেন। এর পরে আপনি যা বলবেন, যা করবেন
সবকিছু অর্থ বুঝে, ভয় ও বিনয়ের সহিত আল্লাহর জন্য করবেন – এইরকম ধ্যান সবসময় অন্তরে
রাখতে হবে। নামাযে অন্য কোনকিছুর কথা চিন্তা করা যাবেনা, যদি চিন্তা করেন নামায হবে,
কিন্তু যতটুকু অংশ অমনোযোগী থাকবেন, তার সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন।
নিয়ত করাঃ
নামায শুরুর আগে দাঁড়ানো অবস্থাতে মনে মনে নিয়ত করে নেবেন, নিয়ত
করা ফরয। “আমি এখন অমুক ওয়াক্তের (ফযর/যুহর…), এত রাকাত (২/৩/৪), অমুক নামায (ফরয/সুন্নত/নফল)
পড়েতিছি”, অন্তরে এতটুকু চিন্তা করলে বা মনে মনে বললেই নিয়ত করা হয়ে যাবে। মুখে কোনো
দুয়া পড়তে হবেনা বা উচ্চারণ করে কিছু বলতে হবেনা। নাওয়াইতু…এই দুয়া পড়া বেদাত। নিয়ত
নিয়ে বিস্তারিতে দেখুন এই পোস্টে –
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/04/blog-post_23.html
উল্লেখ্য নামায শুরুর আগে ইন্নি ওয়াজ্জাহাতু বলে যে জায়নামাযের দুয়া
আছে – এটা পড়বেন না। জায়নামাযের দুয়া বলে হাদীসে কোন দুয়া নেই। এই দুয়াটা আসলে সানাতে
পড়া যায়, সেটা আল্লাহু আকবার বলার পরে, আগেনা। আল্লাহু আকবার বলার আগে কোনো দুয়াই পড়তে
হবেনা, এমনকি আউযুবিল্লাহ…বিসমিল্লাহ…ও পড়তে হবেনা।
তাকবীরে তাহরীমাঃ
নিয়ত করার পরে “আল্লাহু আকবার” বলে দুই হাত কাধ বা কান পর্যন্ত তুলে
ইশারা করবেন, কিন্তু কান স্পর্শ করবেন না। নারী ও পুরুষের আলাদা নিয়ম নেই, কাধ বা কান
পর্যন্ত হাত তোলার দুইটাই সহীহ হাদীসে এসেছে, আপনার যেটা ভালো লাগে করবেন। উত্তম হয়
মাঝে মাঝে কাধ ও অন্যসময় কান পর্যন্ত হাত তুলে ইশারা করা। এতে দুই ধরণের হাদীসের উপরেই
আমল করা হল, যাতে করে সুন্নতের উপর আমল হয়। হাতে ইশারা করার সময় হাতের আঙ্গুলগুলো সোজা
ও সামান্য ফাকা রেখে কিবলামুখী করে রাখবেন।
“আল্লাহু আকবার বলে নামায শুরু করাকে” তাকবীরে তাহরীমা বলা হয়, কারণ
এর পরে নামাযের কোনো কাজ ছাড়া অন্য যেকোন কথা বা কাজ বান্দার জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে
যায়, যতক্ষণ না সে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করছেন। তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে নামায শুরু
করা ফরয, তাই সাবধান! জামাতে যারা পরে যোগ দেন ইমাম রুকুতে থাকলে আগে তাকবীরে তাহরীমা
বলে নামাযে ঢুকে এর পরে আবার তাকবীর দিয়ে রুকুতে বা অন্য জায়গাতে যেতে হবে, নয়তো নামায
হবেনা। কারণ তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে নামায শুরু করা হচ্ছে চাবির মতো, এটা করলে আপনি নামায
শুরু করলেন, এটা না করেই রুকু বা সিজদাতে গেলে হলো আপনি নামায শুরু না করে রুকুতে চলে
গেলেন, যেটা ভুল ও নামায হবেনা।
আর দুই হাত কাধ/কান পর্যন্ত তুলে ইশারা করাকে আরবীতে “রাউফুল ইয়াদাইন”
বলা হয় – এই রাউফুল ইয়াদাইন করা হচ্ছে সুন্নত।
রাউফুল ইয়াদাইন তাকবীর বলার আগেও করতে পারেন, পরেও করতে পারেন –
দুইটাই ঠিক আছে। এটা নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা।
কওমাতে দাড়ানোঃ
তাকবীরে তাহরীমার পর থেকে রুকু পর্যন্ত সময়কে “কওমা” বা নামাযে দাঁড়িয়ে
থাকা বলে যে সময় কিরাত পড়া হয়। ফরয নামায বিনা ওজরে বসে পড়া যাবেনা, অসুস্থ হলে বা
বিশেষ কোনো সমস্যা থাকলে তাহলেই শুধু ফরয নামায বসে পড়া যাবে। সুন্নত/নফল নামায বিনা
কারণে বসে পড়লে দাঁড়িয়ে নামায পড়া থেকে সওয়াব অর্ধেক হবে।
নামাযে হাত বাধাঃ
নামাযে নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই কওমাতে সুন্নত হচ্ছে বুকের উপর
হাত বাধা কারণ, সহীহ হাদীসে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, বুকের উপর হাত বাধার কথা। হাদীসের কিতাব
ইবনে খুজাইমাতেঃ হা/৪৭৯, ইমাম বুখারী বুকের উপর হাত বাধা নিয়ে তার সহীহ কিতাবে একটি
অধ্যায়ই রচনা করেছেন। আর ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী যিনি হাদীসের উপরে সবচাইতে জ্ঞানী
ব্যক্তিদের একজন তিনিও তার কিতাব “বুলুগুল মারামে” – বুকে হাত বাধার হাদীসকেই সহীহ
বলেছেন, হা/২৭৮ এবং নাভীর নিচে হাত বাধার হাদীসগুলোকে জাল অথবা জয়ীফ হিসবে বাদ দিয়েছেন।
ওয়ায়েল ইবনে হুজর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সালাত আদায় করেছি, তিনি বুকের উপর
বাম হাতের উপরে ডান হাত রেখেছেন”।
সহিহ ইব্ন খুজাইমাহ: (১/২৪৩), হাদিস নং: (৪৭৯)।
হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী, শায়খ বিন বাজ,
শায়খ উসাইমিন এবং শায়খ আলবানী। সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তক করে এইসব আলেমরাই বলেছেন বুকের
উপর হাত বাধাই হচ্ছে সুন্নত।
বড় বড় ইমাম, মুহাদ্দিস বা যারা হাদীস গবেষক তারা সকলেই একথা বলেছেন
যে, নাভীর নিচে হাত বাধার হাদীস হয় জাল নয়তো জয়ীফ আর বুকে হাত বাধার হাদীসগুলোই হচ্ছে
সহীহ। তবে উল্লেখ্য, কেউ যদি না জানে, বা সন্দেহ থাকার কারণে নাভীর নিচে নামায পড়লে
তার নামায হবে কোনো সন্দেহ নাই। আর হাত বাধার মাসালা হচ্ছে সুন্নত, তাই কেউ শুধুমাত্র
বুকে বা নাভীর নিচে হাত বাধার কারণে বাতিল হয়ে যাবেনা। তাই এটা নিয়ে দুইপক্ষের কারোরই
বাড়াবাড়ি করা উচিত না। আর বুকে হাত বাধা নিয়ে শায়খ উসাইমিন (রহঃ) এর ফাতওয়া জানতে হলে
এই পোস্ট দেখতে পারেনঃ
http://ansarus-sunnah.blogspot.com/2014/04/blog-post_3347.html
আরেকটা কথা, কওমাতে সব সময় চোখ থাকবে নিচের দিকে, সিজদার স্থানে
আবদ্ধ। বিশেষ কোন কারণ ছাড়া চোখ বন্ধ করে রাখবেন না। বিশেষ কারণ যেমন, কেউ সামনে নাড়াচাড়া
করে ডিসটার্ব করছে, বা হঠাত করে বেশি ডিজাইনের জায়নামাযে নামায পড়ার কারণে মনোযোগ দিতে
সমস্যা হচ্ছে তাহলে সাময়িক চোখ বন্ধ রাখা যাবে। কিন্তু বেশি ডিজাইনের বা মসজিদ/কাবার
ছবি দেওয়া জায়নামাযে নামায পড়বেন না। মনোযোগ বাড়ানোর জন্যও চোখ বন্ধ করে রাখা নিষেধ।
নামাযের দুয়া, কিরাতের অর্থ বুঝে সেইদিকে মনোযোগ দিয়ে আস্তে ধীরে বুঝে নামায পড়বেন,
তাহলে চোখ খোলা রেখেও নামাযে মনোযোগ দিতে পারবেন। আর এইদিক সেইদিক তাকানো, আকাশের দিকে
তাকানো – নামাযে এইসবগুলো কাজ সম্পূর্ণ হারাম ও এতে সওয়াব কমে যাবে। সব সময় আল্লাহর
প্রতি ভয় ও বিনয় অন্তরে রেখে চোখ নিচের দিকে রেখে অন্তরকে নামাযে যা বলছেন যা করছেন
বুঝে বুঝে ধ্যান দিয়ে করতে হবে। তাহলে নামাযের প্রকৃত মধুর স্বাদ পাবেন, আর নয়তো বোঝা
ও কষ্টকর মনে হবে, মা যা'আল্লাহ।
সানাঃ
বুকে হাত বাধার পরে প্রথমেই আল্লাহর প্রশংসা করে নামায শুরু করতে
হয়, আল্লাহর এই প্রশংসা বা নামায শুরুর দুয়াকে আরবীতে “সানা” বলা হয়। অনেকে মনে করে
সানা মানেই হচ্ছে সুবহা’নাকা আল্লাহুম্মা…এই দুয়া। এটা সানার একটা দুয়া ,কিন্তু এটা
ছাড়াও হাদীসে অন্য আরো ছোট-বড় অনেক সানার দুয়া আছে। যারা নিজেদের নামাযের সৌন্দর্য
বাড়াতে চান তারা আস্তে আস্তে হিসনুল মুসলিম থেকে অন্য আরো দুয়া শিখে নেবেন। বিশেষ করে
আল্লাহুম্মা বাইয়ি’দ বাইনি ওয়া বাইনা খাত্বাইয়াইয়া… এই দুয়াটা মুখস্থ করে পড়বেন, এটা
সুন্দর একটা সানা কারণ এই দুয়ার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে গুনাহ থেকে পবিত্রতা চাওয়া হয়।
একসময় এটা, অন্য সময় আরেকটা, এইভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন সানা পড়া হচ্ছে সুন্নত।
যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, চেষ্টা করবেন মুখস্থ করে সুন্নতের উপর আমল করার জন্য।
আ’উযুবিল্লাহ…বিসমিল্লাহ পড়া…
নামাযে কিরাত পড়া শুরু করার আগে “আ'উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম”
পড়বেন। আ’উযুবিল্ললাহ শুধু প্রথম রাকাতেই পড়তে হয়, এর পরের রাকাতগুলোর শুরুতে পড়তে
হয়না। এই দুয়া পড়ে শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়, কারণ নামাযে দাড়ালে খানজাব নামের শয়তান
কুমন্ত্রনা দিয়ে নামাযকে নষ্ট বা ক্ষতি করতে চায়।
নামাযের মাঝখানে সুরা-কেরাতে বা কত রাকাত, রুকু সেজদা নিয়ে শয়তান
খুব বেশি ওয়াসওয়াসা দেয়/সন্দেহে ফেলে দেয় তাহলে কি করতে হবে?
সালাতে ও কেরাতের মাঝে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তি যেই দো‘আ
করবেঃ
“আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম”
এই দুয়া বলে তারপর বাম দিকে তিনবার থুতু ফেলবে (থুতু ফেলার মতো করে
নিঃশব্দে ফু দিবে, কিন্তু থুতু ফেলবেনা)।
উসমান ইবনুল ‘আস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর
রাসূল! শয়তান আমার ও আমার নামাযের মাঝে অনুপ্রবেশ করে এবং কিরাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি
করে। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা (উপরে যা বলা হয়েছে)
বলার নির্দেশ দেন, তিনি সেটা করার পর আল্লাহ তাঁকে সেটা থেকে মুক্ত করেন।
মুসলিম ৪/১৭২৯, ২২০৩।
আ’উযুবিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহা পড়ার আগে “বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম”
পড়বেন।
এর পরে সুরা ফাতিহা পড়বেন। কিরাতে প্রত্যেকে আয়াতের শেষে ওয়াকফ করা
অর্থাৎ দুইটা আয়াতের মাঝখানে থামা মুস্তাহাব। সুরা ফাতিহা পড়ে আমীন বলবেন। সুরা ফাতেহা
পড়া ওয়াজিব, এটা নামাযের অন্যতম একটা রুকন, কেউ যদি ফাতিহা না পড়ে বা, ভুল পড়ে তাহলে
তার নামায হবেনা।
কিরাতঃ
সুরা ফাতিহা পড়ে কুরান থেকে মুখস্থ আছে ও আপনার জন্য সহজ এমন সুরা বা কিছু আয়াত
পড়বেন। সুরার প্রথম থেকে পড়লে বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম পড়বেন। আর সুরার মাঝখান
থেকে পড়লে বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম পড়বেন না, সরাসরি কিরাত শুরু করবেন। যেকোন ছোট/বড়
সুরা পড়তে পারবেন, পরের সুরা আগে পড়তে পারবেন, কোনো সমস্যা নেই। সুরার মাঝখান থেকে
বা শেষের ১০-২০ আয়াত পড়তে পারবেন, এক সুরা ভেঙ্গে ২ রাকাতে পড়তে পারবেন, আয়াতুল কুরসী,
বাকারার শেষ ২ আয়াতও কিরাত হিসেবে পড়তে পারবেন। তবে প্রথম রাকাতে ২য় রাকাতের চেয়ে লম্বা
কিরাত পড়বেন, এটা করা সুন্নত। এক রাকাতে একাধিক ছোট সুরা পড়া যাবে, তবে একটা সুরা পড়াই
যথেষ্ঠ। ____________________________________