পুরুষদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ
কিছু বিষয়ঃ
সকল প্রশংসা এক আল্লাহর জন্য,
যিনি একক, তাঁর কোন শরিক বা অংশীদার নেই, যিনি নিখিল বিশ্বের মালিক, যিনি ইসলামকে মুসলিম
উম্মাহ-র জন্য নির্বাচন করেছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁরই বিশেষ বান্দা ও রাসুল
আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সাঃ)এর উপর। আসুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানার চেষ্টা
করি।
Ø
নামায
অস্বীকার করা (ইচ্ছা করে আদায় না করা) কুফরি। যারা মনে করে যে মুসলমানের ঘরে জন্ম নিলেই
মুসলিম হওয়া যায় এরা পৈত্রিক সূত্রে নিজেদের মুসলিম দাবী করতে পারে। তবে ইসলামে তাদের
অবস্থান কোথায় সেটা নিচের হাদিস দ্বারাই পরিষ্কার বুঝা যাবে।
আবু সুফিয়ান থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, আমি জাবির (রা) কে বলতে শুনেছি, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে
শুনেছিঃ ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে নামায ছেড়ে দেয়াই হচ্ছে ব্যবধান।
সহীহ মুসলিম, প্রথম অধ্যায়ঃ
কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং- ১৫৪।
তাহলে কেউ যদি ইচ্ছা করে নামায
না পড়ে আর এই অবস্থায় তার মৃত্যু হয় তাহলে কি সে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু বরণ করল? আর
মুসলিম অবস্থায় যদি কারো মৃত্যু না হয় তাহলে তার চিরস্থায়ী ঠিকানা জাহান্নাম। কাজেই
নিজেকে মুসলমান দাবী করতে হলে অবশ্যই ৫ ওয়াক্ত নামায আদায় করতে হবে।
Ø
আল্লাহ
তা'আলা কুরআনে পুরুষ ও নারী উভয়ের পর্দার নির্দেশ দিয়েছেন,
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন
তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা
আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের
দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান,
তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে... [সূরা আন-নুরঃ ৩০-৩১]
Ø
আজকাল
কিছু মুসলিম পুরুষদেরকে দেখা যায় যে এক কানে দুল পড়তে। এর পর পাঞ্জাবীর সাথে উরনা পরতে।
এরপর হাতে চুড়ি-বালার মত ব্রেসলেট পরতে। অথচ হাদিসে উল্লেখ রয়েছে,
মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (র)......ইবন
আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) ঐ সব পুরুষকে লা'নত করেছেন যারা নারীর
বেশ ধারন করে এবং ঐ সব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধারন করে।
বুখারী শরীফ, হাদিস নং-৫৪৬৫,
পোশাক-পরিচ্ছদ অধ্যায়।
Ø
আমাদের
দেশে দাড়ি রাখা সম্পর্কে একটি ভ্রান্ত ধারণা আছে, সেটা হল দাড়ি রাখা সুন্নত। অতএব দাড়ি
রাখলে ভাল আর না রাখলে একটা সুন্নত পালন করা হল না এই আর কি। জেনে রাখুন, এটা সম্পূর্ণ
একটা ভুল ধারণা।
ইবনে ওমর (রাঃ) সূত্রে নবী
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিপরীত
করবেঃ দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে । [বুখারী শরীফ, নবম খণ্ড, হাদিস নং - ৫৪৭২
ইফা]
আল্লাহ তা'আলা কুরআনে রাসূলের
(সাঃ) কে মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন,
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর
রাসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না। [আল-আনফালঃ ২০]
Ø
অধিকাংশ
পুরুষকে দেখা যায় তারা তাদের প্যান্ট পায়ের পাতা পর্যন্ত ঝুলিয়ে দেয়। এর মধ্যে যারা
নামাজি তারা নামাজের সময় তাদের প্যান্ট টাকনু পর্যন্ত গুছিয়ে নেয়। আসলে টাকনুর উপর
পর্যন্ত কাপড় পরা পুরুষদের সব সময়ের জন্য আবশ্যক, শুধু নামাজের সময় নয়।
আদাম (র)......আবু হুরায়রা
(রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম) বলেছেনঃ ইযারের যে পরিমান টাকনুর
নীচে যাবে, সে পরিমান জাহান্নামে যাবে। [বুখারী শরীফ, পোশাক অধ্যায়, হাদিস নং- ৫৩৭১]
এখন আপনি নিজেই ভেবে দেখুন,
আপনি কি করবেন। আল্লাহ তা'আলা ও রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ মানবেন নাকি কাফির-মুশরিকদের
অনুসরণ করবেন? আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন। আমীন।
Collected from brother Md
Nazmul Haque