সাওম শব্দের অর্থ বিরত থাকা। সমস্ত নিষিদ্ধ, হারাম কাজতো
বটেই, এমনকি মানুষের সবচাইতে শক্তিশালী জৈবিক চাহিদা (খাদ্য, পানীয়, যৌনতা ইত্যাদি)
যেইগুলো এমনিতে হালাল সেইগুলো সাওম পালন করার সময় নিষিদ্ধ হয়ে যায়। এইভাবে মানুষ সাওম
ভংগকারী বিষয় থেকে বিরত থেকে আত্মসং্যম বা নিজের নফসের উপর নিয়ন্ত্রন আনতে সক্ষম হয়।
আত্মশুদ্ধির এই ট্রেনিং এর মাধ্যমে ঈমানদারেরা পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার মতো ঈমানী শক্তি
অর্জন করতে পারে।
দুর্ভাগ্যজনক হলওও সত্য, বর্তমান যুগের নারী ও পুরুষেরা
মনে করে, সাওম অর্থ হচ্ছে না খেয়ে থাকা, যাতে করে মানুষ গরীবদের না খেয়ে থাকার কষ্ট
বুঝতে পারে। এইজন্য তারা সারাদিন না খেয়ে থাকে সাথে সাথে পাপ কাজেও লিপ্ত থাকে। এক
মাস সাওম পালন করার ফলে তাদের মাঝে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়না।
=> বেনামাযী নামায ধরতে পারেনা
=> বেপর্দা মেয়ে পর্দা করতে পারেনা
=> সুদখোর, ঘুষখোর বা এর সাথে জড়িত চাকরী ছাড়তে পারেনা
=> অবৈধ প্রেম-ভালোবাসা, যিনা-ব্যভিচার ও পরকীয়া,
বেহায়াপনা, চরিত্রহীনতার নষ্টামি থেকে তোওবা করতে পারেনা
=> গান, বাজনা, নাটক, সিনেমা টিভিতে চরিত্র ধ্বংসকারী
হারাম প্রোগ্রাম দেখার বদ অভ্যাস ছাড়তে পারেনা
এইরকম উপবাসিদেরকে দেখবেন রোযার দিনের বেলাতেও প্রকাশ্যে
বড় বড় পাপ কাজে লিপ্ত। এই ভেজাল মুসলমানেরা পুরো সমাজের জন্য ক্ষতিকর কারণ আল্লাহ যখন
কোন একটা জাতিকে শাস্তি দেন তখন সেই শাস্তি আলেম হোক আর জালেম হোক, সকলকেই স্পর্শ করে।