প্রশ্নঃ নারীরা কি বাসায় ইতিকাফ করতে
পারবে?
উত্তরঃ পুরুষ হোক আর নারী হোক - ইতিকাফ
করতে হয় মসজিদে, মসজিদ ছাড়া ইতিকাফ গ্রহণযোগ্য নয়।
আমাদের দেশে যেই সিস্টেমঃ নারীদের বাসায় ইতিকাফ করা - এর কোন দলীল নেই। এটা আসলে
নারীদেরকে মসজিদ থেকে তাড়ানোর একটা পদ্ধতি, যাতে করে
নারীদের জন্য মসজিদের যাওয়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় বর্তমানে যেটা দেখা যাচ্ছে
আমাদের দেশে।
রাসুল সাঃ এর আদর্শ হচ্ছে নারীরা ইচ্ছা
হলে মসজিদে যেতে পারবে নামায পড়তে, যদিও তাদের
জন্য উত্তম হচ্ছে বাসায় নামায পড়া। আর ইতিকাফ করলে মসজিদে তার জন্য সুযোগ রাখা।
আমীরুল মুমিনিন উমার ইবনে খাত্তাব রাঃ নারীদের মসজিদে যাওয়া হারাম করে দিয়েছেন এটা
একেবারেই ডাহা বানোয়াট কথা।
কিছু মানুষ একটা আজগুবী কথা বলে খলিফা
উমার (রাঃ) নাকি ফেতনার জন্য নারীদেরকে মসজিদে আসতে হারাম করে দিয়েছেন! এইটা
সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও উমার (রাঃ) এর প্রতি মিথ্যা অপবাদ। আর সর্বোপরি এটা
রাসুলুল্লাহ (সা:) এর আদেশের বিরোধী।
কারণ, রাসুলুল্লাহ (সা:) বলেছেন, "তোমরা আল্লাহর
দাসীদেরকে মসজিদে আসতে বাধা দিওনা যদিও তাদের জন্য ঘরই উত্তম জায়গা।"
আবু দাউদ ৫৬৭, মুসনাদে আহমাদ হাদীস সহীহ।
"তোমাদের নারীরা যদি মসজিদে নামায
পড়তে চায় তাহলে তোমরা আসতে বাধা দিবেনা।"
=> বিশিষ্ট সাহাবী ও খিলফা উমরের ছেলে আব্দুল্লাহ (রাঃ) এই হাদীস তার ছেলে
বেলালকে বলেন। এ কথা শোনার পরে বেলাল তবুও বাধা দেওয়ার কথা বলে। রাসুলুল্লাহ (সা:)
এর আদেশ অমান্য করবে শুনে আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা:) এতো রেগে যান যে তিনি তাকে
এতো কঠোর ভাষায় গালি দেন যা আগে কোনোদিন শোনা যায়নি।"
সম্পূর্ণ এই হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে
সবচাইতে সহীহ হাদীস গ্রস্থের কেতাবের একটি সহীহ মুসলিমের ৪৪২ নাম্বার হাদীসে।
অসংখ্য সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত উমার
(রা:) এর যামানায়তো বটে, পরবর্তীতে উসমান, আলী থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত মক্কা মদীনার মসজিদগুলোতে নারীদের জামাতে নামায
পড়ার সুযোগ আছে। শুধু আমাদের মতো বেদাতী শিরকি দেশেই নারীরা মার্কেটে যায়, বেপর্দা হয়ে অফিস আদালত করে, মার্কেটে পার্কে যায় -
সেটা নিয়ে ফতোয়া নাই, হিজাব পর্দা করে মসজিদে যাবে এতেই
আপত্তি কিছু মানুষের।