নারী যখন ফেতনা...
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ
“আমি পুরুষের জন্য
নারীর চেয়ে বড় কোন ফিতনা রেখে যাচ্ছি না।”
[বুখারী ও মুসলিম]
একটা মেয়ে যদি বাসায় বসে গান শুনে তাহলে সে শুধু মাত্র
একটা খারাপ কাজ করলো। এর দ্বারা সে অন্যের কোনো ক্ষতি করছেনা, সে শুধুমাত্র তার নিজের
উপরই জুলুম করছে।
কিন্তু, একটা মেয়ে যদি কোনো চাদর বা বোরখা ছাড়া বাসা
থেকে বের হয়, তাহলে সে একদিকে যেমন নিজেকে বেপর্দা বেহিজাবি করে পাপীদের কাতারে ফেলে
দিলো। আবার তার কারণে অনেকগুলো পুরুষের অন্তরে কুপ্রবৃত্তির সৃষ্টি হলো, মেয়েটি নিজের
সৌন্দর্য দিয়েপ পুরুষদেরকে চোখের জেনা এবং বিভিন্ন অংগ-প্রত্যংগের জেনার দিকে উত্তেজিত
করলো। এর দ্বারা সে জমীনে “ফেতনা” ছড়িয়ে বেড়ালো।
ফেতনার কয়েকটা অর্থ আছে, একটা অর্থ হচ্ছে পরীক্ষা। সে পুরুষগুলোকে একটা পরীক্ষায় ফেললো
- সে নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে কিনা। কারণ, নারী সে হিজাবী হোক আর বেহিজাবী হোক পুরুষের
জন্য ওয়াজিব হচ্ছে তার দৃষ্টি অবনত রাখা। কিন্তু কোনো নারী যদি নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ
করে বের হয় সে পুরুষদেরকে একটা ফেতনা বা পরীক্ষায় ফেলে।
আবার ধরুন, সন্ধ্যা সময় একটা তরুণী মেয়ে বেহিজাবী অবস্থায়
সাজগোজ করে রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে থাকলো তার ছেলেবন্ধুদের সাথে চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়ে
বেড়ালো... আর দুনিয়ার পুরুষ মানুষেরা তার দিকে কুদৃষ্টি দিলো, তাকে মনে মনে কামনা করলো
(মজার ব্যপার হলো তারা আবার মেয়েটাকে খারাপ চরিত্রের মনে করবে)।
এইভাবে কিন্তু সে তার বাবা-মা, গার্জিয়ানদেরকেও অপরাধী
বানালো! এই অপরাধ হচ্ছে দাইয়ুসের পাপ, যে কারনে ঐ মেয়ের গার্জিয়ানদের জন্য জান্নাত
হারাম হয়ে যায়।
আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার ও মানার তোওফিক দান করুন, আমিন।