সুদী
ব্যংক পরিচালিত “ইন্সুরেন্স” বা “বীমা” হচ্ছে একপ্রকার জুয়া বা Gambling. জুয়া সম্পর্কে
আল্লাহ বলেছেন –
এটা হচ্ছে শয়তানের কাজ! কিন্তু অনেক ব্যংক আলেমদের ফতোয়া ও বিভিন্ন অজুহাতে “ইসলামী বীমা” নাম দিয়ে আসলে যা করছে সেটা আর সুদী ব্যংকের
বীমা নামের জুয়ার মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। এইভাবে তারা উম্মতকে ধোঁকা দিয়ে সুদ ও
জুয়ার মাঝে লিপ্ত করছে।
"আমি
দারিদ্রতা হতে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই। কেননা দারিদ্রতা মানুষকে কুফরির দিকে নিয়ে
যায়"
"তোমরা
উত্তরাধিকারীদের নিঃস্ব, পরমুখাপেক্ষী ও অপরের উপর নির্ভর্শীল
করে রেখে যাওয়া অপেক্ষা তাদের স্বচ্ছল,ধনী ও সম্পদ্শালী রেখে
যাওয়া ভাল।''
রাসুলের
এই হাদিস দুইটি কি ইসলামী বীমার প্রতি উৎসাহিত করেনা? এই বলে কেউ প্রশ্ন করলেন।
উত্তরঃ
দেখুন, ঐ সব হাদিসের
মানে এই নয় যে, হারাম পথে কামাই করে উত্তরাধিকারীদের কে স্বচ্ছল
রেখে যেতে হবে। এবং হারাম পথে কামাই করে ধনী হতে হবে। আর ইনস্যুরেন্স? তা নিজের ক্ষতি দিয়ে আপনি
কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারেন না। ইসলামে
তা যায়েজ নেই। আপনি আমার সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করবেন
আপনার সধ্যমতে। তার বদলে নেবেন পারিশ্রমিক। কিন্তু সম্পদ হারিয়ে গেলে আগুনে পুরে গেলে, নদীতে ডুবে গেলে আপনি পুরোটা
ফেরত দেবেন এই ইনস্যুরেন্স এর স্থান ইসলামে নেই। যদি বলেন তারা নিজের ক্ষতি করে দেয়না। তাহলে বলবো ধরুন দশটির মধ্যে ১ টির সমস্যা
হল এবং তাতে ক্ষতি পুরন দিতে হোল। কোত্থেকে
দিলেন? বাকী ৯
টির ইনকাম থেকে। এখন প্রশ্ন হোল ঐ নয়টির ইনকাম কি হালাল
ছিল? উত্তর না। কারণ সে অর্থ এমন একটি চুক্তির মাধ্যমে
উপার্জন করা হয়েছে যা নিছক স্পেকুলেশন,
আন্দাজ/অনুমান। যা ইসলামের পরিভাষায় তাকদীরের না জানা বিষয়
নিয়ে ব্যবসার নামান্তর। নাজানা বিষয়ে ব্যবসা ও লেনদেন ইসলামে জায়েজ
নেই। ইসলামে যে জাতীয় ইনস্যুরেন্স হতে পারে তার
চেয়ে প্রচলিত ইনসুরেন্স ভিন্ন। তাই
এই “ইসলামী ইনসুরেন্স” সেটির মত নয়। দুনিয়ার ব্যবসা বাণিজ্য সেকুলাররা তাদের
ইচ্ছা মত চালাবে আর ইসলামের কর্মিরা তাদেরটাই ইসলামের নামে করবে তাতো হতে পারেনা। ইসলামেরটা না করতে পারলে বা করতে ফেল করলে
সে জন্যে আল্লাহ্র কাছে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু
অনৈসলামকে ইসলাম বলে চালিয়ে দেবেন তা গ্রহণ যোগ্য হতে পারেনা।
- Shaikh Muzammel Al-hoque