সংগত কারণেই নামগুলো
প্রকাশ করা হলোনা।
=> এরূপ করলে আপনার
পেইজ থেকে লোকের আস্থা উঠে যাবে @এডমিন……
উত্তরঃ লোকের আস্থা থেকে
আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হক্ক বলা বেশি জরুরী, হক্ক বললে মানুষ অসন্তুষ্ট হবেই, আর
সবার মন জুগিয়ে চললে সেটা ইসলাম ধর্ম হবেনা, মিকচার মেশিন হবে।
১. “Jmb 100% right inshoallah.” (জেএমবি ১০০% সঠিক, ইন শা’ আল্লাহ)…
উত্তরঃ হক্ক আর বাতিলের
বিচার শুধু মুখের দাবী বা গায়ের জোরে প্রতিষ্ঠিত হয়না। বরং কুরান, হাদীস ও সাহাবীদের
আদর্শ দ্বারা প্রমানিত হতে হয়।
আমার বুঝে আসেনা, একজন
মুসলমানের কাছে জেএমবির মতো একটা সন্ত্রাসী সংগঠন ১০০% সঠিক হয় কি করে? হয় আপনি জেএমবি
কারা সেটা জানেন না, অথবা ইসলাম কি সে সম্পর্কে আপনার সঠিক কোন ধারণা নেই। দয়া করে
আলেমদের কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন, সঠিক আকীদাহ সম্পর্কে জানুন। জেএমবির
অপকর্মের সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ
ইসলাম কায়েমের জন্য #জিহাদ
নাম দিয়ে জেএমবি রাস্তায়, বাসে, অফিস-আদালতে নির্বিচারে বোমা মেরে নিরস্ত্র নিরীহ মানুষকে
হত্যা করা শুরু করে মানুষের মনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এদের কারণে আমাদের দেশে
অবস্থা এমন হয়েছিলো যে, একসময় বাসে বা ট্রেনে দাড়ি-টুপিওয়ালা কোন লোককে ব্যগ নিয়ে আসতে
দেখলেই মানুষ ভয় পেত, না জানি বোমা ফাটিয়ে দেয়! তারা মনে করতো এইভাবে তারা জিহাদ করছে,
এবং জিহাদ করে তারা দেশে ইসলাম কায়েম করে ফেলবে। তাদের এই জিহাদে (শয়তানের রাস্তায়)
যদি নিরপরাধ কোন মানুষ মারা যায়, তাহলে তাদের কোন পাপ হবেনা। আর আত্মঘাতী বোমা হামলা
করে কেউ মারা গেলে সে শহীদ হিসেবে জান্নাতে যাবে। জান্নাতের খেজুর ও হুরের লোভ দেখিয়ে
তারা ২০-২৫ বছরের কিছু বোকা কিসিমের আবেগী ছেলেকে আত্মঘাতী বোমা হামলার জন্য ব্রেইন
ওয়াশ করে। পরবর্তীতে এরা বিভিন্ন জায়গায় বোমা হামলা করে মানুষ হত্যার করার চেষ্টা করে।
এই সবই হচ্ছে জিহাদের #অপব্যখ্যা করে শয়তানের রাস্তায় যুদ্ধ! কোন মুসলমানকে হত্যা করাতো
দূরের কথা, মানুষের সামান্য রক্তপাত করার ফযীলতের বর্ণনা নিয়ে হাদীস দেখুনঃ
যে সকল সাহাবী খারিজীদের
বুঝাতে চেষ্টা করেন তাঁদের একজন জুনদুব ইবনু আব্দুল্লাহ (মৃত্যু ৬০ হি.) একবার তিনি ‘র্কুরা’ বা সদাসর্বদা কুরআন
তিলাওয়াত ও চর্চায় লিপ্ত খারিজীদের কতিপয় নেতাকে ডেকে বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি কাঠিন্য বা উগ্রতার পথ অবলম্বন করবে আল্লাহও তার জন্য কাঠিন্য বা উগ্রতার
পথ অবলম্বন করবেন। কেউ যদি কোনো মানুষের হাতের তালুতে রাখার মত সামান্য রক্তও প্রবাহিত
করে (যেন যে মুরগী জবাই করছে), তবে সেই রক্ত তার ও জান্নাতের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে
(সে জান্নাত দেখতে পাবে, কিন্তু সেই রক্ত তাকে জান্নাতে প্রবেশ করতে দিবে না) কাজেই
যদি কেউ পারে এইরূপ রক্তপাত থেকে আত্মরক্ষা করতে, তবে সে যেন আত্মরক্ষা করে।”
এ কথা শুনে উপস্থিত খারেজী
লোকগুলি খুব ক্রন্দন করতে লাগল। তখন জুনদুব (রাঃ) বলেন, এরা যদি সত্যবাদী হয় তবে এরা
মুক্তি পেয়ে যাবে।...কিন্তু পরে তারা আবার উগ্রতার পথে ফিরে
যায়।
জিহাদ আর বোমা
মেরে মানুষ হত্যা করা এক নয়, জিহাদ হয় কাফের-মুশরেকদের বিরুদ্ধ যখন মুসলমানদের
শক্তি-সামর্থ্য থাকে ও কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো শক্তি ও অবস্থার সৃষ্টি
হয় তখন। কোন বিপদগামী দল কোন সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে, সেই দেশের বিভিন্ন
জায়গাতে বোমা ফাটানো - এইগুলো জেহাদ নয়, এইগুলো নিকৃষ্ট ফাসাদ।
২. “জসিম উদ্দিন রহমানী এক জন মুসলিম”।
উত্তরঃ হ্যা তিনি মুসলিম,
কিন্তু তিনি জিহাদ, কিতাল (অস্ত্রের জিহাদ) ও তাকফীর (কাফের ফতোয়া দেওয়া) নিয়ে বিভ্রান্ত
হয়েছেন এবং অন্যদেরকেও বিভ্রান্ত করেছেন। তার মতো অল্প ইলম নিয়ে প্রবৃত্তির অনুসারে
কথা বলার মতো লোকের ওয়াজ শোনা, নিজের দ্বীনকে ধ্বংস করার শামিল।
৩. “বহু দিন পর আপনি নিজের মুখোশটা খুলে দিলেন।
কে যে খারায়েজী তা বোঝা যাচ্ছে”?
উত্তরঃ জ্বি,
অপেক্ষা করুন, ISIS এর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই অনেকখানি
পরিষ্কার হয়ে গেছে, ইন শা’ আল্লাহ সামনে আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে – কে কোন তরীকার অনুসারী।
৪. dhongsho hok tara jara andaje kotha bole, surah jariyat: 10.
“ধ্বংস হোক যারা আন্দাজে কথা বলে” –
সুরা জারিয়াতঃ ১০।
উত্তরঃ আল্লাহ আমাদেরকে
আন্দাজে কথা বলা থেকে বেঁচে থাকার তোওফিক দান করুন, আমিন।
৫. ভাই, একটু দয়া করে জানাবেন
‘জসীম উদ্দিন রাহমানী’ কি কি কারনে খারেজি? আমি শুধুমাত্র জানার
জন্যই আপনাকে এই প্রশ্ন টা করছি, জানালে উপকৃ্ত হব ইনশাআল্লাহ ।
উত্তরঃ প্রশ্ন
করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। প্রথম কথা হচ্ছে, আমি জসীম উদ্দিন রাহমানীকে খারেজী
বলিনি, আমি বলেছি তার মাঝে খারেজী আকীদা আছে। কাউকে বেদাতী বলা, আর কেউ কোন বেদাত
করে ২টা কথার মাঝে অনেক পার্থক্য, কেউ ভুল বুঝে কোন বেদাতে লিপ্ত হতে পারে, হয়তো
দলীল দিয়ে বুঝালে সে মেনে নিবে, কিন্তু তাকে বেদাতী বা জাহান্নামী বলা যাবেনা,
কারণ নাম ধরে কাউকে বেদাতী বলতে পারেন ওলামারা, কারণ তারাই বুঝতে পারবেন কোনটা ভুল
আর কোনটা বেদাত। আমরা মানুষের ভুল ধরিয়ে দেবো, কিন্তু নাম ধরে কোন মুসলিমকে কাফের,
বা বেদাতী লেবেল লাগাবোনা। আল্লাহ আমাদের বোঝার ও আমল করার তোওফিক দান করুন।
জসীম উদ্দিনের
ভুলগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলোঃ
ক. পাইকারী
হারে #তাকফীর বা কাফের বলে ফতোয়া দেওয়াঃ
খারেজীদের ১
নাম্বার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কবীরাহ গুনাহর কারণে শাসকদেরকে কাফের ফতোয়া দেওয়া ও তাদের
বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা, অথচ মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা হারাম ও বড় পাপ যা
খারেজীদের ধর্ম। জসীম উদ্দিন রাহমানী এবং তার দলের অনুসারীরা মনে করে বর্তমান
বিশ্বের সবগুলো মুসলিম দেশের শাসকেরা কাফের, মুর্তাদ এবং এই সরকারগুলো হচ্ছে #তাগুত।
এইজন্য তারা বিভিন্ন দেশে সরকারের বিরুদ্ধে বোমাবাজি করে অনেক নিরীহ মানুষকে হত্যা
করাকে জিহাদ মনে করে, এবং এইভাবে আত্মঘাতী বোমা হামলার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করে তারা
নিজেদেরকে জান্নাতী #শহীদ বলে মনে করে।
খ. আলেম ওলামা
সেই যেই হোকনা কেনো – তাদের চরমপন্থী মতবাদের সাথে একমত না হলে, তাদেরকে তারা দালাল, দরবারী,
তাগুতের পাচাটা গোলামের মতো জঘন্য ভাষায় গালি দেয়। যেমনটা আমরা দেখি – ডা আব্দুল্লাহ জাহাংগীর স্যারের
বেলায়, যিনি মানুষকে কোন দলের দিকে দাওয়াত না দিয়ে ক্বুরান ও সুন্নাহর দিকে দাওয়াত
দেন, তিনি খারেজী মতবাদের বিরুদ্ধে লেখালিখির কারণে তাকেও গালি ও মিথ্যা অপবাদ
দিয়েছে এই দলের লোকেরা। এছাড়াও তারা আমাদের দেশের কিছু দ্বাইয়ীকে নাম ধরে #মুর্তাদ
ফতোয়াও দিয়েছে। আশা করি সকলেই জানেন, খারেজীরা আলী রাঃ ও মুয়াবিয়া রাঃ ২ জনকেই
কাফের ফতোয়া দেওয়া দিয়েছিলো – শরীয়াহ বাস্তবায়ন করা হচ্ছেনা, এই দাবী করে। আর অন্য সাহাবীরা আলী ও মুয়াবিয়া
রাঃ কে কাফের বলে ঘোষণা করেনি, এইজন্য খারেজীরা অন্য সাহাবাদেরকেও কাফের বলে ফতোয়া
দিয়েছিলো।
গ. ISIS – জসীম উদ্দিনের
ভক্তরা হয়তো মনে করতে পারেন, এইগুলো ছোটাখাট ভুল, কিন্তু খারেজী আকীদা নয়। তাদের জ্ঞাতার্থে
বলছি – ইরাক ও সিরিয়াতে
খেলাফতের দাবীদার কথিত আমিরুল মুমিনুন আবু বকর আল-বাগদাদীর হাতে যারা বায়াত করবেনা
তাদেরকে তারা মুর্তাদ ঘোষণা করে হত্যা করার ফতোয়া দিয়েছে। বাগদাদীর অন্ধ অনুসারী
চরমপন্থীরা ইরাক ও সিরিয়ার বহু জায়গায় বাশার আল-খবিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে,
আন-নুসরাহ ও ইসলামিক ফ্রন্ট (বাশারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অন্য ২টী মুসলিম দল) তাদের
এলাকা দখল করে তাদের অনেক নেতা ও যোদ্ধাদেরকে হত্যা করেছে, তাদের গলা কাটা লাশ
নিয়ে উল্লাস করে তারা নিজেরাই সেইগুলোর ভয়ংকর ছবি প্রচার করেছে। একারণে ISIS
নিয়ে সিরিয়ান আলেম ও আরব দেশের শায়খরা কি বলেছেন দেখুনঃ
সিরিয়ার আলেমগণ বলেনঃ এই
সংগঠনটি অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করছে এবং মানুষের সম্পদের উপর আক্রমণ করছে। এদের
জিহাদ ইসলামী জিহাদ নয়; বরং পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টির শামিল। সিরিয়ার আলেমদের ফতোয়া
হচ্ছে এই দলে যোগ দেয়া এবং তাদের সাথে যোগ দিয়ে যুদ্ধ করা হারাম। কেননা তাদের দল ও
জিহাদ অস্পষ্ট ও অন্ধকারচ্ছন্ন। তাদের নেতা অপরিচিত, তাদের অর্থের উৎস অজ্ঞাত এবং তাদের
লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অস্পষ্ট।
শাইখ মুহাম্মাদ সালেহ আল-মুনাজ্জিদ
এই খারেজী দল সম্পর্কে বলেনঃ এরা মুসলিমদেরকে কাফের বলে এবং মুসলিমদের রক্তকে হালাল
মনে করে। সতরাং যেসব মুসলিম এদের সাথে যোগদান করেছে, তাদের উচিত এদের দল ত্যাগ করা।
শাইখ আদনান আল-আরউর বলেনঃ
এরা হাদীছের ভাষ্য মোতাবকে খারেজী অথবা বাশ্শার আল আসাদের তৈরী গুপ্তচর। এই সংগঠনের
লোকেরা মোট তিন প্রকারঃ
১. এদের মধ্যে রয়েছে এমন
কিছু লোক যারা মুসলমানদের জান-মালের উপর আক্রমণ করে। তারা খারেজদের মত আকীদাহ পোষণ
করে।
২. এদের মধ্যে রয়েছে ইসলামের
শত্রুদের পক্ষের দালাল ও গুপ্তচর। এদের কর্মতৎপরতা ইহুদী-খৃষ্টান এবং ইসলামের দুশমনদের
আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থাসমূহ দ্বারা পরিচালিত।
৩. আরেক শ্রেণীর লোক এদেরকে
সঠিক মনে করে ও ভুল বুঝে জিহাদী মনোভাব নিয়েই এদের সাথে যোগ দিয়েছে।
শাইখ আব্দুল আযীয আলফাওযান
বলেনঃ এই দল হচ্ছে পাপিষ্ঠ খারেজী দল। ইরাক, আফগানিস্থান ও সিরিয়াতে এরা বহু রক্তপাত
ঘটিয়েছে।
ISIS দলের
সাথে জেএমবি, জসীম উদ্দিন রাহমানী ও তার ভক্তদের কি সম্পর্ক আশা করি সেটা না বললেও
চলবে। ISIS আর জেএমবি, জসীম উদ্দিন রাহমানী ও তার ভক্তদের
মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে ISISর মতো ক্ষমতা তাদের ছিলোনা বলে
এতোদূর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। এদিকটা ছাড়া তাদের আকীদা ও চিন্তা-ভাবনা একই উতস
থেকে নেওয়া।
৬. #Admin Apnake onk
valo lagto kintu apni Andaze kotha bola start koresen...!!!!! Apni kothay
kothay Soudi Shaikh shaikh koren... Kno Quran hadis ki Tader Baper sompotti!!!
Apni Jakir naik e Hok bolen na... Apni Josim uddin vai ke hok bolen na... Apnar
soudir Shaikh gului ki amader standrad? Sudi Namaz ar Kisu pir/mazar er
buruddhe post diyei vabsen aitai Islam!!!!
উত্তরঃ কোন
কথাটা আন্দাজে বলেছি, প্রমান করুন।
Apni kothay kothay
Soudi Shaikh shaikh koren... Kno Quran hadis ki Tader Baper sompotti!!
জসীম উদ্দিন রাহমানী যে
তার ছাত্রদেরকে অহংকারী আর বেয়াদব বানিয়ে রেখে গেছে – এধরণের কথা থেকেই কি সেটা প্রমানিত হয়না?
‘ক্বুরান হাদীস কি তাদের বাপের সম্পত্তি” - ওলামাদের ব্যপারে যাদেরকে নবী সাঃ তাঁর
ওয়ারিশ বলছেন, এই ভাষায় কথা বলা কি তাদের মানহানী করার মাঝে পড়েনা?
রাসুল সাঃ এর যুগে মক্কা
মদীনাই ছিলো ইসলামের সেন্টার, সেই থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত সমস্ত যুগেই মক্কা মদীনা হচ্ছে
ইসলামের প্রাণকেন্দ্র, আলেম-ওলামাদের মিলনমেলা। ইমাম মালেকের সময় মানুষ ২-৩ মাসের পথের
দূরত্ব পার দিয়ে আসতো মদীনার আলেমের (ইমাম মালেকের) কাছ থেকে ফতোয়া নেওয়ার জন্য। বর্তমানেও
যদি বলা হয় কোন দেশে সবচাইতে বড় আলেম, সেটা সৌদি আরবেই সবচেয়ে বেশি। আরব দেশের এবং
বিশেষ করে সৌদি আরবের ওলামাদের মতো ক্বুরান ও হাদীসের জ্ঞানী অন্য দেশে কম, একথা অজ্ঞ
ও বেদাতী লোক ছাড়া কেউই অস্বীকার করেনা। তার মানে এইনা যে, অন্য কোথাও আলেম নেই। বরং,
ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম নববী, ইমাম ইবনে তাইমিয়া, ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী
ইনাদের কেউই মক্কা-মদীনার নন, তারপরেও এমন বহু ইমাম তারা ছিলেন শ্রেষ্ঠ আলেমদের মাঝে
অন্যতম। ভারতীয় উপমহাদেশের কথা যদি বলেন শাহ ওয়ালী উল্লাহ দেহলবী, উবাইদুল্লাহ মুবারকপুরী,
শফিউর রহমান মুবারকপুরীসহ আরো আলেম ছিলেন, আছেন। বর্তমানে সৌদি আরব ছাড়াও অন্য দেশেও
আলেম আছেন।
বর্তমানে ওহাবী গালি দিয়ে
মক্কা-মদীনার আলেমদের বিরোধীতা করে বেরেলবী কবর পূজারীরা। আলেমদের ব্যপারে বিদ্বেষ
রাখা বেদাতীদের প্রধান একটা লক্ষণ।
আর আমি কোথায় ডা জাকির
নায়েককে #বাতিল বলেছি? বরং এই পেইজ থেকে ডা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে কবর পূজারীরা যা
বলে তার প্রতিবাদ করা হয়েছে। তবে তিনি যদি কোন ভুল করে থাকেন, সেই ব্যপারে আমরা তার
সাথে একমত নই। তার মানে এইনা যে, আমরা তাকে বাতিল বলেছি, ভুল সবাই করতে পারে। নবী রাসুল
ছাড়া কেউই ভুলের উর্ধে নয়।
৬. জসিম উদ্দিন রহমানীর
দোষ একটাই কেন ঊনি জিহাদের কথা বলে, কেন ঊনি জিহাদের আসল অর্থ মানুষের কাছে উপস্থাপন
করে। আর জিহাদের কথা শুনলে যাদের কপালে ভাঁজ দেখা যায়, তারাই জসিম উদ্দিন রহমানীকে
জংগী/খারেজী/চরমপন্থী/সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেয়। তবে জসিম উদ্দিন রহমানী ১০০ ভাগ
হক্বের পথে আছেন কিনা তা একমাত্র আল্লাহ্ই ভাল জানেন।
উত্তরঃ জ্বি,
জসীম উদ্দিন যেই জিহাদের কথা বলেন আমরা তার ঘোরতর বিরোধী। তার জিহাদ হচ্ছে বাঘের
মতো হুংকার দিয়ে জিহাদের ফতোয়া দাও, জিহাদ ফরযে আইন হয়ে গেছে ফতোয়া দাও, এর পরে
নিজেই সেই জিহাদ থেকে পালিয়ে যাও। হয় তিনি ভুয়া জিহাদের ফতোয়া দিয়ে এতোদিন #বেদাত
করেছেন, অথবা নিজে জিহাদের ফতোয়া সেই জিহাদ থেকে পালিয়ে থেকে কবীরা গুনাহ করেছেন,
আপনাদের শায়খকে বলুন – সে কোনটা থেকে তোওবা করবে? জেহাদের ফতোয়া দিয়ে, নাকি জেহাদ থেকে পালিয়ে থাকার
গুনাহ থেকে?
আর হ্যা,
আপনারা যেই জিহাদের কথা বলেন সেইটা শুনে সত্যিই একজন বিবেকবান ঈমানদারের চিন্তার
বিষয়। আপনারা দিন-রাত জিহাদ ফরয হয়ে গেছে, জিহাদ ফরয হয়ে গেছে, অন্যরা জিহাদ না
করে দরবারী, দালাল, মুনাফেক হয়ে গেছে বলে ফতোয়াবাজি করেন – কিন্তু আপনারা নিজেরাও সেই জিহাদ
করছেন না। আপনাদের জিহাদ শুধু যারা আপনাদের মতবাদের সাথে একমত না হয় তাদেরকে
গালি-গালাজ করার মাঝেই সীমাবদ্ধ। আপনার যদি বিশ্বাস হয় জিহাদ ফরয হয়ে গেছে, তাহলে
জিহাদে বেড়িয়ে পড়ু, কেনো অন্যদেরকে গালি-গালাজ করার জন্য বসে আছেন? জিহাদ নিয়ে
ফতোয়াবাজি কেনো করছেন? আমরা নামাযের ওয়াক্ত হলে মসজিদে যাই নামায পড়ার জন্য, নিজে
নামায না পড়ে বেনামাযীদেরকে নামায ফরয হয়ে গেছে, নামায ফরয হয়ে গেছে গিয়ে বলতে
থাকিনা। আপনাদের উচিত হচ্ছে, আপনাদের মতে যদি আপনাদের উপর জিহাদ ফরয হয়ে গেছে তাহলে
সব ছেড়ে জিহাদে চলে যান।
এটা হচ্ছে কি-বোর্ড
মুজাহিদিনদের বৈশিষ্ট্য - জিহাদ ফরয হয়ে গেছে, জিহাদ ফরয হয়ে গেছে বলে ফতোয়া দেবে,
এটা নিয়ে অন্যদেরকে গালি-গালাজ করবে কিন্তু নিজে জিহাদ করবেনা। আর আমাদের দেশে
জসীম উদ্দিন রাহমানী হচ্ছে এইরকম কি-বোর্ড মুজাহিদিনদের নেতা, যেকিনা সমস্ত
মুসলিমদের উপরে বার্মাতে জিহাদ করা ফরয হয়ে গেছে বলে জিহাদের ফতোয়া দেয়, পরে নিজেই
সেই জিহাদ থেকে পালিয়ে থাকে।
৭. Yahudi o Christan ra Oikko boddho tai tara sokti sali. R mosalmanra oikko
boddho noy bole tara dorbol.
উত্তরঃ
ক্বুরানে এইজন্যই মতবিরোধ করা হারাম করা হয়েছে, উম্মতের ঐক্য চান মানুষকে সহীহ
আকীদা ও শির্ক বেদাতমুক্ত আমলের দিকে দাওয়াত দিন। সঠিক ঈমান ও আমল উম্মতের ঐক্যের
জন্য পূর্বশর্ত। শায়খ সালেহ আল-ফাওজানের বক্তব্য শুনুন –
https://www.youtube.com/watch?v=DR3nKeF937w
৮. Some Words About Fake Salafi - Sheikh Jashim Uddin Rahmani
এটা একটা ভিডিওর লিংক দিয়েছেন
একজন, যেইখানে জসীম উদ্দিন #সালাফী আলেমদের সম্পর্কে জঘন্য মিথ্যাচার করেছেন। জসীম
উদ্দিন নামের এক লোক এই ভিডিওতে মিথ্যা কথা প্রচার করেছে, সালাফী ওলামারা নাকি রাফা
ইয়াদাইন না করলে, জোরে আমীন না বললে কাফের বলে।
অন্ধ মুকাল্লিদ এই লোকটা
কি জঘন্য মিথ্যাচার করেছে আলেমদের সম্পর্কে! রাফা ইয়াদাইন করা, আমিন জোরে বলা সুন্নত,
না করলেও নামায হয়ে যাবে, কাফের হওয়ার প্রশ্নই আসেনা, কোন আলেম কোনদিন এইরকম গাজাখুরি
ফতোয়া দেন না। তারপরেও হাওয়া অনুযায়ী কথা বলতে অভ্যস্ত এই জাহেল লোকটা নিজে না জেনে
ওলামাদের ব্যপারে জঘন্য মিথ্যাচার করে বসল! “মিথ্যাবাদীদের প্রতি আল্লাহর লানত” – আল-ক্বুরান।
আর কি আশ্চর্যের বিষয়,
কতো মারাত্মক অন্ধভক্ত তৈরী হয়েছে জসীম উদ্দিনের, এইরকম খোলাখুলি মিথ্যা কথা বললো,
আর তার মুরিদ কোনরকম যাচাই-বাছাই ছাড়াই সেটা এসে প্রচার করে বেড়াচ্ছে, আল্লাহু মুস্তায়ান!
৯. apnara je sob alem er puja koren tara tho America r saudi er kina golam
tara ja sikhaiya dai tai bole r apni tader theke sune apni bolen... apni ulta
palta bolle apnar gunah hobe amr ki tai valo moto study chara aisob boilen
na...apnar kon alem ra ai sob niriho manus er pokke kotha bole hok kotha bole
1ta link den- r jassimuddin rahmani se hok kotha bolei tho ajke koste ase r
apnar posonder alem ra arame gumacche r fotoa dicche- ai sunun hok kotha kake
bole…
উত্তরঃ
নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক, এটাই হচ্ছে জসীম উদ্দিন রাহমানী ভক্তদের আসল পরিচয় – তাদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিলে জঘন্য গালি
দেওয়া শুরু করে, কাফের ফতোয়া দেয়। ‘আপনারা আলেমদের পূজা করেন’ – ডাইরেক্ট মুশরেক বানিয়ে দিলো?? এরা না জানে ঈমান, আকীদা, না জানে তাওহীদ কি,
শিরক কি? এইজন্যই কারো কথা মনমতো না হলেই তাকে #মুশরেক বানিয়ে দেয় এই ফতোয়াবাজ
লোকেরা।
আপনি মিথ্যা
অপবাদ দিয়েছেন আমাদের উপরে, আমাদের উপরে শিরকের অভিযোগ এনেছেন – আগে তোওবা করবেন, এর পরে আপনার
অজ্ঞতাপ্রসূত যে প্রশ্ন, তার উত্তর দেওয়া হবে। আর যদি তোওবা না করেন, আমাদের উপর অন্যায়
শিরকের অপবাদ দেওয়ার জন্য কাল কেয়ামতের মাঠে মোলাকাত বাকী থাকবে।
১০. vi josimuddin refaranes cara kota bole na. kintu apni refaranes cara
josimuddin nie likcen ata tic noy.oner vul gule jante cai. jihad somporke jante
cai.
উত্তরঃ সত্যি নাকি? বার্মাতে জিহাদের ডাক দিলো কোন রেফারেন্সের ভিত্তিতে, পরে নিজেই জিহাদের
ডাক দিয়ে সেই জিহাদ থেকে পালিয়ে গেলো কোন রেফারেন্সের ভিত্তিতে?