সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৪

সালাফী শায়খ ওলামায়ে দেওবন্দের বিরুদ্ধে বলেছেন এমন কোন প্রমাণ কি কারো কাছে আছে?

প্রশ্নঃ আরবের কোন গ্রহনযোগ্য #সালাফী শায়খ ওলামায়ে দেওবন্দের বিরুদ্ধে বলেছেন এমন কোন প্রমাণ কি কারো কাছে আছে?

- এই প্রশ্ন আমি প্রথম শুনি আব্দুল মালেক কাউসারীর একটা লেখাতে। সত্যি কথা হচ্ছে, যারা এই প্রশ্ন তুলেন তারা আসলে বর্তমান সউদী ওলামাদের সম্পর্কে আসলে কতটুকু জানেন সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। বা জানলেও এই কাউসারী ভাইয়ের মতোই, আরব বিশ্ব সম্পর্কে যার ইলম আব্দুল ফাত্তাহ ও আবু গুদ্দাহ হচ্ছেন বড় আলেম এর মাঝেই সীমাবদ্ধ!
সতর্কতাঃ আব্দুল ফাত্তাহ ও আবু গুদ্দাহ হচ্ছেন একজন ইখওয়ানি, হানাফী মাযহাবের মুকাল্লিদ!!

#তাবলীগ জামাত ও #দেওবন্দিদের ব্যপারে বর্তমানে জীবিত আলেমদের মাঝে সবচাইতে সিনিয়র ও সম্মানিত একজন শায়খের বক্তব্যঃ

তাবলিগ জামাত ও চিল্লা সম্পর্কে শায়খ সালিহ আল-ফাওজানের ফাতওয়াঃ চিল্লা দেওয়া যাবে?

প্রশ্নকর্তাঃ আল্লাহ আপনার সাথে ভালো আচরণ করুন হে সম্মানিত শায়খ!
এটাকি জায়েজ কোথায় বেড়িয়ে পড়া এক মাসের জন্য, এক সপ্তাহের জন্য অথবা একদিনের জন্য যেইভাবে তাবলিগ জামাতের লোকেরা করে থাকে? এটা কি সুন্নত নাকি বিদআ?
শরীয়তের জ্ঞান অর্জনে অধ্যায়নরত এমন কারো জন্য এটাকি জায়েজ, এই জামাতের সাথে চিল্লা দেওয়া বা বের হওয়া?

শায়খ সালিহ ইবনে আব্দুল্ললাহ আল-ফওজান এর ফাতওয়াঃ
এটা জায়েজ নয়, কারণ এটা একটা বিদআত। এভাবে বেড়িয়ে যাওয়া ৪০ দিন, ৪ দিন, ৪ মাস এটা হচ্ছে বিদআত। এটা প্রমানিত যে, তাবলিগ জামাত হচ্ছে ভারতীয় দেওবন্দীদের মধ্য থেকে একটা #সূফী জামাত। তারা একদেশ থেকে অন্য দেশে যায় তাদের সূফীবাদ প্রচার করার জন্য। আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুসারী কোন ব্যক্তি, #তাওহীদের অনুসারী ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, তাদের সাথে তাবলীগে বেড়িয়ে পড়া। কারণ সে যদি এদের সাথে যায় তাহলে সে তাদেরকে বেদাত প্রচার করতে সাহায্য করলো। এবং লোকেরা তাকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করবে - অমুক (আলেম বা শিক্ষিত লোক) তাদের সাথে তাবলীগে গেছে, অথবা এটা বলবে সাধারণ মানুষ সবাই আমাদের সাথে যায়, অথবা তারা বলবে আরে তাবলিগ জামাত এইদেশে (সৌদি আরবে) বৈধ। এইজন্য তাদেরকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিব, তাদেরকে পরিত্যাগ করা ওয়াজিব এবং তাদের দিকে মনোযোগ দেওয়া যাবেনা (তাদের কথা শোনা যাবেনা)।

এটা এজন্য যে, তারা তাদের #বিদআত তাদের দেশে নিয়ে ফিরে যাবে, আমাদের আরব দেশগুলোর মাঝে ছড়াতে পারবেনা। এছাড়া তাদের সাথে গিয়ে তাদেরকে শিক্ষা দেওয়াও জায়েজ নয়। এটা ভুল, কারণ তারা দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করতে চায়না। তারা জ্ঞান অর্জন করতে চায়না কারণ তারা ধোকাবাজির লোক, তাদের বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। তারা এসেছে তোমাদেরকে (সূফীবাদ ও ইলিয়াসি তরীকা) শিক্ষা দেওয়ার জন্য, তারা এজন্য আসেনি যে তোমাদের কাছ থেকে কিছু শিখবে। তারা এসেছে তোমাদেরকে তাদের সূফীবাদ ও তাদের মাযহাব শিক্ষা দেওয়ার জন্য। তারা তোমাদের কাছে শিখতে আসেনাই, তারা যদি শিখতে আসতো তাহলে তারা আরব দেশের ওলামাদের সাথে মসজিদে বসতো এবং তাদের কাছ থেকে কিতাব অধ্যায়ন করতো। এসব ভুলের মধ্য থেকে এর দ্বারা ধোকায় পড়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নাআম।
-  আল্লামাহ, শায়খ সালিহ আল-ফওজান।

ফাতওয়াটা শায়খ ফাওজান এর নিজ মুখ থেকে শুনতে পারবেন নিচের এই লিঙ্কে
https://www.youtube.com/watch?v=WuP_bZ6RtNw 

এছাড়া কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে শায়খকে সরাসরি জিজ্ঞাস করতে চান, তাহলে শায়খের ফোন নাম্বার হচ্ছেঃ  +96614588570,  +96627332663.

তাবলিগ জামাতকে গোমরাহ, পথভ্রষ্ট ও শিরক ও বেদাতের দিকে আহবানকারী জামাত হিসেবে আখ্যায়িত করে আরব বিশ্বের যেই সমস্ত শীর্ষস্থানীয় আলেমে দ্বীনগণ ফাতওয়া দিয়েছেন তাদের সংক্ষিপ্ত লিস্ট দেওয়া হলো। আসলে এই লিস্ট অনেক বড়, শীর্ষস্থানীয় জীবিত ও মৃত ৫ জনের নাম দেওয়াই যথেষ্ঠ মনে করছি।

১. শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম আলে-শায়েখ রাহিমাহুল্লাহ - সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি, সৌদি আরাবিয়া।
২. শায়খ আবদুল আযীয বিন আবদুল্লাহ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ - সাবেক গ্র্যান্ড মুফতি, সৌদি আরাবিয়া।
৩. আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী রাহিমাহুল্লাহ - বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস, শায়খ বিন বাজ যাকে বিগত শতাব্দীর মুজাদ্দিদ বলে বিশ্বাস করতেন।
৪. শায়খ হামুদ আত-তুয়াইজিরি, সুন্নাহর অক্লান্ত সৈনিক। তাবলীগ জামাতের গোমরাহী জানার জন্য ও তাদের থেকে সতর্ক থাকার জন্য যার লেখা বই পড়ার জন্য শায়খ বিন বাজ রেকমেন্ড করেছেন।
৫. শায়খ আব্দুর রাজ্জাক আফিফী, প্রখ্যাত সৌদী আলেমে দ্বীন।

আর বর্তমান জীবিত শ্রেষ্ঠ আরব দেশের আলেম যারা তাবলীগ জামাতকে পথভ্রষ্ঠ বেদাতী ও এই উম্মতের জন্য ফেতনা বলে আখ্যায়িত করেছেন তাদের সংক্ষিপ্ত লিস্টঃ

১. আল্লামাহ শাইখ সালিহ বিন আবদুল্লাহ আল-ফাউজান। আরব, আজম নির্বিশেষে যেই আলেমের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানিত, শায়খ বিন বাজ, শায়খ উসাইমিন তাদের পরে যার ব্যপারে নির্ভর করার জন্য উম্মতেক উপদেশ দিয়ে গেছেন।
২. শায়খ সালিহ আশ-শুহাইমি
৩. শায়খ আব্দুল মুহসিন আল-আব্বাদ
৪. শায়খ রাবী বিন হাদী আল-মাদখালী
৫. শায়খ ওয়াসী উল্লাহ আব্বাস

সংক্ষেপে ওলামায়ে কিবাদেরর ভিউ জানার জন্য এই ভিডিওটা দেখুনঃ

https://www.youtube.com/watch?v=xr2Rv-M2TWw